সবজির বাজারে উত্তাপ বেড়েছে
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কাটেছে না। এর মধ্যে সবজির দাম আরও উত্তাপ ছড়িয়েছে। প্রকার ও মান ভেদে সবজির কেজিতে ১০-৪০ টাকা দাম বেড়েছে। গত বুধবার রাতে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও গতকাল শুক্রবারও সরবরাহ-সংকটের অজুহাতে বেশিরভাগ সবজিতে দাম বেশি নিয়েছেন বিক্রেতারা। গতকাল চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার, বক্সিরহাট, সদরঘাট, ফিরিঙ্গীবাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু ফুলকপির কেজিতে দাম ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যান্য সবজিও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। মাছের বাজার অপরিবর্তিত থাকলেও আদা-রসুনের দামও চড়া।
বাজারে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০-১২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। গত সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া শিম গতকাল বিক্রি হয় ১০০ টাকায়। এদিন গাজরের কেজি ৬০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, আকারভেদে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছিল ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া কাঁকরল, বেগুন ও কাঁচামরিচ সপ্তাহের ব্যবধানে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। থেমে নেই বরবটি ও শসার দামও। এ দুটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-২৫ টাকা। বরবটি, শসা মানভেদে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। মুলা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। বক্সিরহাট বাজারে খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. আলী বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে, আর পাইকারিতে দামও বেড়েছে। আড়তদাররা জানিয়েছেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দাম বেশি। রিয়াজউদ্দিন বাজারে সবজির আড়তদার শরীফ হোসেন বলেন, উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাক আসতে দেয়নি পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে সবজি আসতে পারেনি এবং বেশিরভাগ সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। একই বাজারের আরেক আড়তদার মো. আরিফ জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে সবজিবোঝাই ট্রাক না এলে রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ নগরীর সব বাজারে সবজি-সংকট সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে গত সপ্তাহের দাম বাড়তি ছিল ঘূর্ণিঝড়ে আর এই সপ্তাহে ট্রাক না আসায় দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-২০ টাকা।
দুই সপ্তাহ আগে সবজির দাম কমলেও গেল সপ্তাহ থেকে আবারও অস্থির সবজির বাজার। এতে সাধারণ ক্রেতারা জানিয়েছেন এটা সিন্ডিকেটের প্রভাব। বক্সিরহাটে ক্রেতা প্রবীর দাশ বলে, ‘মাস শেষে হাতে টাকা কম। এর মধ্যে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহের বাজার করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অনেক কিছু বাদ দিয়েই বাজার সেরেছি।’
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। আবার মানভেদে বিভিন্ন স্থানে মিসরের পেঁয়াজ কেজি ১০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় প্রতি কেজি আদা ২০০-২২০ টাকা ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। আদা দুই সপ্তাহ ধরে বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছিল। মাছের দাম গত সপ্তাহের মতো রয়েছে। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয় ৯০০-১০০০, চিংড়ি ৭০০-৮০০, আকারভেদে রুই ২২০-২৫০, তেলাপিয়া ১৩০, কৈ ২৫০, কাতলা মাছ ২৮০, পাঙ্গাশ ১৬০, চাপিলা ৩০০ টাকায়।
শেয়ার করুন
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কাটেছে না। এর মধ্যে সবজির দাম আরও উত্তাপ ছড়িয়েছে। প্রকার ও মান ভেদে সবজির কেজিতে ১০-৪০ টাকা দাম বেড়েছে। গত বুধবার রাতে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও গতকাল শুক্রবারও সরবরাহ-সংকটের অজুহাতে বেশিরভাগ সবজিতে দাম বেশি নিয়েছেন বিক্রেতারা। গতকাল চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার, বক্সিরহাট, সদরঘাট, ফিরিঙ্গীবাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু ফুলকপির কেজিতে দাম ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যান্য সবজিও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। মাছের বাজার অপরিবর্তিত থাকলেও আদা-রসুনের দামও চড়া।
বাজারে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০-১২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। গত সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া শিম গতকাল বিক্রি হয় ১০০ টাকায়। এদিন গাজরের কেজি ৬০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, আকারভেদে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছিল ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া কাঁকরল, বেগুন ও কাঁচামরিচ সপ্তাহের ব্যবধানে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। থেমে নেই বরবটি ও শসার দামও। এ দুটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-২৫ টাকা। বরবটি, শসা মানভেদে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। মুলা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০-৫০ টাকা। বক্সিরহাট বাজারে খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. আলী বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে, আর পাইকারিতে দামও বেড়েছে। আড়তদাররা জানিয়েছেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দাম বেশি। রিয়াজউদ্দিন বাজারে সবজির আড়তদার শরীফ হোসেন বলেন, উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাক আসতে দেয়নি পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে সবজি আসতে পারেনি এবং বেশিরভাগ সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। একই বাজারের আরেক আড়তদার মো. আরিফ জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে সবজিবোঝাই ট্রাক না এলে রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ নগরীর সব বাজারে সবজি-সংকট সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে গত সপ্তাহের দাম বাড়তি ছিল ঘূর্ণিঝড়ে আর এই সপ্তাহে ট্রাক না আসায় দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-২০ টাকা।
দুই সপ্তাহ আগে সবজির দাম কমলেও গেল সপ্তাহ থেকে আবারও অস্থির সবজির বাজার। এতে সাধারণ ক্রেতারা জানিয়েছেন এটা সিন্ডিকেটের প্রভাব। বক্সিরহাটে ক্রেতা প্রবীর দাশ বলে, ‘মাস শেষে হাতে টাকা কম। এর মধ্যে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহের বাজার করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অনেক কিছু বাদ দিয়েই বাজার সেরেছি।’
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। আবার মানভেদে বিভিন্ন স্থানে মিসরের পেঁয়াজ কেজি ১০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় প্রতি কেজি আদা ২০০-২২০ টাকা ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। আদা দুই সপ্তাহ ধরে বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছিল। মাছের দাম গত সপ্তাহের মতো রয়েছে। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয় ৯০০-১০০০, চিংড়ি ৭০০-৮০০, আকারভেদে রুই ২২০-২৫০, তেলাপিয়া ১৩০, কৈ ২৫০, কাতলা মাছ ২৮০, পাঙ্গাশ ১৬০, চাপিলা ৩০০ টাকায়।