দেশের তিন জেলায় শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করল বসুন্ধরা
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:১৬
ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরে শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ। এই কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ।
ঠাকুরগাঁও জেলার জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার ৭১ এর শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ৩০০ কম্বল উপহার দেওয়া হয়।
কম্বল পেয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের ৮০ বছরের রসমনি বলেন, “হামরা ৭১ যুদ্ধাহত সবাইকে মারে ফেলছে, অনেক কষ্টে দিন পার করছি। কেউ কিছু দেয় নাই, এইবার হামক কম্বল দিছে বসুন্ধরা।”
এছাড়া, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অসহায় হতদরিদ্রদের মধ্যে কম্বল দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে শীতার্তদের মাঝে ৩০০ কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল পেয়ে ৯ বছরের ছোট নাফি বলে, এইবার নতুন কম্বল গায়ে দিয়ে রাতে ঘুমাইতে পারব।
দিনাজপুর একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার বিকেল ৩টায় অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে ৩০০ কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল পেয়ে ৬০ বছরের মিনা বেগম বলেন, এই শীতত কম্বলখান পায়া মোক খুব ভালো লাগিছে।
৭০ বছরের কালাম মিয়া বলেন, মোক কম্বল টা দিছে, বসুন্ধরার মালিক ভেল্লাদিন বাঁচে থাকুক।
ঠাকুরগাঁও জেলার বড় বালিয়া আদিবাসী পাড়ার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মাঝে শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল পেয়ে ৪৫ বছরের ধানী সরেন বলেন, কম্বল ঞিয়াম কেতেজ আডি রেসক্য (কম্বল পেয়ে আমি খুব খুশি)।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে উপজেলার খয়খাটপাড়া নুরানিয়া ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার ১০০ জন শিক্ষার্থীর হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেয়া হয়। বিজয়ের দিনে হাতে নতুন শীতবস্ত্র হাতে পেয়ে খুশি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
এতিম শিক্ষার্থী আল আমিন বলে, বিজয় দিবসে হঠাৎ কম্বল পেয়ে আমরা অবাক হয়েছি।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইউসুফ আলী বলেন, এর আগেও করোনার দুঃসময়ে তারা এতিম শিশুদের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছে। এবার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন নিয়ে যখন সবাই যে যার মতো উৎসব আয়োজনে ব্যস্ত ঠিক তখন তারা এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য কম্বল নিয়ে এসেছে। এমন ভালোবাসা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যাশা তারা সব সময় ভালো কাজে সবার পাশে থাকবে।
পঞ্চগড় শুভসংঘের সভাপতি ফিরোজ আলম রাজিব বলেন, আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলার ২ হাজার মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিচ্ছি। এই শীতে পঞ্চগড়ের নিম্ন আয়ের মানুষকে শীতে কিছুটা উষ্ণতা দিতে পেরে আমরাও খুশি। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়ের প্রতি। আমাদের ভালো কাজে তিনি সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রেখেছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:১৬

ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরে শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ। এই কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ।
ঠাকুরগাঁও জেলার জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার ৭১ এর শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ৩০০ কম্বল উপহার দেওয়া হয়।
কম্বল পেয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের ৮০ বছরের রসমনি বলেন, “হামরা ৭১ যুদ্ধাহত সবাইকে মারে ফেলছে, অনেক কষ্টে দিন পার করছি। কেউ কিছু দেয় নাই, এইবার হামক কম্বল দিছে বসুন্ধরা।”
এছাড়া, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অসহায় হতদরিদ্রদের মধ্যে কম্বল দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে শীতার্তদের মাঝে ৩০০ কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল পেয়ে ৯ বছরের ছোট নাফি বলে, এইবার নতুন কম্বল গায়ে দিয়ে রাতে ঘুমাইতে পারব।
দিনাজপুর একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার বিকেল ৩টায় অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে ৩০০ কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল পেয়ে ৬০ বছরের মিনা বেগম বলেন, এই শীতত কম্বলখান পায়া মোক খুব ভালো লাগিছে।
৭০ বছরের কালাম মিয়া বলেন, মোক কম্বল টা দিছে, বসুন্ধরার মালিক ভেল্লাদিন বাঁচে থাকুক।
ঠাকুরগাঁও জেলার বড় বালিয়া আদিবাসী পাড়ার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মাঝে শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল পেয়ে ৪৫ বছরের ধানী সরেন বলেন, কম্বল ঞিয়াম কেতেজ আডি রেসক্য (কম্বল পেয়ে আমি খুব খুশি)।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে উপজেলার খয়খাটপাড়া নুরানিয়া ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার ১০০ জন শিক্ষার্থীর হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেয়া হয়। বিজয়ের দিনে হাতে নতুন শীতবস্ত্র হাতে পেয়ে খুশি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
এতিম শিক্ষার্থী আল আমিন বলে, বিজয় দিবসে হঠাৎ কম্বল পেয়ে আমরা অবাক হয়েছি।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইউসুফ আলী বলেন, এর আগেও করোনার দুঃসময়ে তারা এতিম শিশুদের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছে। এবার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন নিয়ে যখন সবাই যে যার মতো উৎসব আয়োজনে ব্যস্ত ঠিক তখন তারা এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য কম্বল নিয়ে এসেছে। এমন ভালোবাসা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যাশা তারা সব সময় ভালো কাজে সবার পাশে থাকবে।
পঞ্চগড় শুভসংঘের সভাপতি ফিরোজ আলম রাজিব বলেন, আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলার ২ হাজার মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিচ্ছি। এই শীতে পঞ্চগড়ের নিম্ন আয়ের মানুষকে শীতে কিছুটা উষ্ণতা দিতে পেরে আমরাও খুশি। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়ের প্রতি। আমাদের ভালো কাজে তিনি সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রেখেছেন।