১৫ হাজার বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও গণসাক্ষরতা অভিযানের
অনলাইন ডেস্ক | ৩ জুলাই, ২০২২ ২১:৪৮
সিলেটের বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও গণসাক্ষরতা অভিযান। ইতিমধ্যে ৫ হাজার মানুষকে শুকনো খাবার, ওষুধ, সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং শিগগিরই আরও ১০ হাজার মানুষ সহায়তা পাবে।
সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে প্রতি প্যাকেজে ৫ সদস্যের পরিবারে ২ সপ্তাহের খাবার ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে। নিজেদের ও আশপাশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় সামগ্রীও প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত।
যথাযথ পুষ্টি ও ক্যালরিযুক্ত খাবারের নির্দেশিকা মোতাবেক এই ১৫ হাজার মানুষকে খাবার এবং পানিবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে ওরস্যালাইন-এন প্রদান করে হচ্ছে।
দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে স্বল্প আয় ও আয়হীন পরিবার, নারী ও বিধবা নারীর পরিবার, বস্তিতে বসবাসকারী পরিবার, প্রতিবন্ধী রয়েছে এমন পরিবার এবং জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীরা এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের আওতাধীন।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাজের এজাজ বিজয় বলেন, ‘তথ্য মতে, সিলেটের প্রায় ৭২ শতাংশ স্থান পানির নিচে ছিল। একে বিগত কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা বলা হচ্ছে। আমি আশা করি, এই ত্রাণ সহায়তার মাধ্যমে আগামী ২ সপ্তাহ পর্যন্ত তাঁরা খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রীর প্রয়োজন মেটাতে পারবে। আমরা গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব এবং সুবিধাবঞ্চিতরা যেন যথাযথ সাহায্য পায়, তা নিশ্চিতে কাজ করব।’
গণসাক্ষরতা অভিযানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, ‘সাম্প্রতিক এই বন্যা পরিস্থিতি একদিকে যেমন আমাদের প্রকৃতির ক্ষমতার জানান দিয়েছে, অন্যদিকে আবারও প্রমাণ করেছে যে আমরা কখনো হার মানি না। আমাদের ও অন্যান্য স্থানীয় সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসামগ্রী নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে তাদের পুনরায় স্কুলে ফিরতে সাহায্য করতে এই অংশীদারত্ব অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশ যেভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়’।
উল্লেখ্য, ১৫ হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের পর, বন্যা-পরবর্তী ক্ষতি সামাল দিতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড দীর্ঘমেয়াদি পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, অংশীদারদের সাথে নিয়ে ২টি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড; স্বাস্থ্যসেবা ও সম্পদের ঘাটতি মোকাবিলা এবং কর্মহীনতা ও অর্থনীতিকে সচল করা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ৩ জুলাই, ২০২২ ২১:৪৮

সিলেটের বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও গণসাক্ষরতা অভিযান। ইতিমধ্যে ৫ হাজার মানুষকে শুকনো খাবার, ওষুধ, সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং শিগগিরই আরও ১০ হাজার মানুষ সহায়তা পাবে।
সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে প্রতি প্যাকেজে ৫ সদস্যের পরিবারে ২ সপ্তাহের খাবার ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে। নিজেদের ও আশপাশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় সামগ্রীও প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত।
যথাযথ পুষ্টি ও ক্যালরিযুক্ত খাবারের নির্দেশিকা মোতাবেক এই ১৫ হাজার মানুষকে খাবার এবং পানিবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে ওরস্যালাইন-এন প্রদান করে হচ্ছে।
দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে স্বল্প আয় ও আয়হীন পরিবার, নারী ও বিধবা নারীর পরিবার, বস্তিতে বসবাসকারী পরিবার, প্রতিবন্ধী রয়েছে এমন পরিবার এবং জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীরা এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের আওতাধীন।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাজের এজাজ বিজয় বলেন, ‘তথ্য মতে, সিলেটের প্রায় ৭২ শতাংশ স্থান পানির নিচে ছিল। একে বিগত কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা বলা হচ্ছে। আমি আশা করি, এই ত্রাণ সহায়তার মাধ্যমে আগামী ২ সপ্তাহ পর্যন্ত তাঁরা খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রীর প্রয়োজন মেটাতে পারবে। আমরা গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব এবং সুবিধাবঞ্চিতরা যেন যথাযথ সাহায্য পায়, তা নিশ্চিতে কাজ করব।’
গণসাক্ষরতা অভিযানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, ‘সাম্প্রতিক এই বন্যা পরিস্থিতি একদিকে যেমন আমাদের প্রকৃতির ক্ষমতার জানান দিয়েছে, অন্যদিকে আবারও প্রমাণ করেছে যে আমরা কখনো হার মানি না। আমাদের ও অন্যান্য স্থানীয় সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসামগ্রী নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে তাদের পুনরায় স্কুলে ফিরতে সাহায্য করতে এই অংশীদারত্ব অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশ যেভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়’।
উল্লেখ্য, ১৫ হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের পর, বন্যা-পরবর্তী ক্ষতি সামাল দিতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড দীর্ঘমেয়াদি পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, অংশীদারদের সাথে নিয়ে ২টি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড; স্বাস্থ্যসেবা ও সম্পদের ঘাটতি মোকাবিলা এবং কর্মহীনতা ও অর্থনীতিকে সচল করা।