
দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদী খানম ইন্টিগ্রেটেড বিজনেস কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা অংশীদার সৈয়দ তাহসিন হকের নিকট নৌ কার্গো বীমা দাবীর ৪০ লাখ ৩ হাজার ১৮৪ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেছেন।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্টিগ্রেটেড বিজনেস কর্পোরেশনের অপর ব্যবস্থাপনা অংশীদার শফিক হোসাইন ও সিএফও মো. ফরিদুর রহমান এবং দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাং আবুল কাসেম, কাওরান বাজার শাখা প্রধান মো. শাহজাহান মিঞা ও কাওরান বাজার শাখার ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক মো. নুরুজ্জামান।
স্মার্ট, উন্নত ও সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে সরকার কর্তৃক যেকোনো কার্যক্রম বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে দক্ষিণ মুরাদনগর কল্যাণ সমিতি, ঢাকা। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পূর্তভবন সম্মেলন কক্ষে দক্ষিণ মুরাদনগর কল্যান সমিতি, ঢাকা এর ৬ষ্ঠ দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও সমিতির কার্যপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে এই অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেন সংগঠনের সদস্যরা।
সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক খাঁন সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমিতির আজীবন সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান সাহেব, উপদেষ্টা প্রফেসর সফিকুল ইসলাম ভূইয়া,জনাব এম,এ,খালেক ভুইয়া, জ্বালানি বিশেষঙ্গ বি,ডি, রহমত উল্লাহ, বুয়েটের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মো. আব্দুল হাকিম খাঁন প্রমুখ।
সাধারণ সম্পাদক ডা.এ,এফ,এম, কামাল উদ্দীন সেলিম সমিতির বার্ষিক রিপোর্ট ও অর্থ সম্পাদক জনাব আলী হোসেন খাঁন অর্থ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন।
সভাপতি কুমিল্লা নামে বিভাগ চাই, দাউদকান্দি, চান্দিনা, মুরাদনগর, হোমনা ও মেঘনা থানা নিয়ে দক্ষিণ মুরাদনগরের ঢাকা, চট্টগ্রাম রোডের পাশে মুরাদনগর জেলা চাই, গোমতী নদীর খনন বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি সহ সমিতির বক্তব্য দেন।
দক্ষিণ মুরাদনগর কল্যাণ সমিতি, ঢাকা স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একটি নির্দলীয় সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও সমাজ কল্যানমূলক সংগঠন। দক্ষিণ মুরাদনগরের গরীব ও মেধাবী ছাত্র -ছাত্রীদের বৃত্তি আর্থিক সহযোগিতা প্রদান, ভালো ফলাফল লাভকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করা যেকোনো সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারী সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাভাবিক শিক্ষার পাশাপাশি ভবিষ্যতের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম নৈতিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলা এবং সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ, শিশু ও নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করাই দক্ষিণ মুরাদনগর কল্যান সমিতি, ঢাকা এর উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সমতির ২০২৩-২০২৫ এর কার্যপরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রদান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সমিতির প্রধান উপদেষ্টা জনাব এম,এ,খালেক ভুইয়া। সহকারী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন সমিতির উপদেষ্টা প্রফেসর সফিকুল ইসলাম ভুইয়া ও আজীবন সদস্য সফিকুর রহমান।
দক্ষিণ মুরাদনগর কল্যাণ সমিতি, ঢাকা এর ২০২৩-২০২৫ এর কার্যপরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, অর্থ সম্পাদক মো. শাহ আলম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজালাল সামস,দপ্তর সম্পাদক সফি উল্লাহ সরকার সহ ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নাম ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এদেরকে শপথ পাঠ করিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) -এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান গতকাল ইউআইইউ ক্যম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউআইইউর মাননীয় উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউ’র ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চের (আইএআর) নির্বাহী পরিচালক এবং প্রফেসর এমেরিটাস ড. এম রিজওয়ান খান।
ইউআইইউ’র উপাচার্য এবং এআইইউবি’র উপাচার্য নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে ইউআইইউ’র পক্ষ থেকে স্কুল অফ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিন প্রফেসর ড. রাকিবুল মোস্তফা, স্কুল অফ হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন প্রফেসর ড. হামিদুল হক এবং এআইইউবি’র পক্ষ থেকে রিসার্চ অফিসের প্রধান প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন, ফ্যাকল্টি অব বিজনেস এডমিষ্ট্রেটরের সহযোগী ডিন ও আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. ফারহিন হাসান, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সহযোগী ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, কম্পিউটার সায়েন্সের সহযোগী ডিন প্রফেসর ড. দীপ নন্দী সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ গবেষণা সহযোগিতার মাধ্যম গবেষণা উন্নয়নের কাজ করবে এবং সম্মেলিত গবেষণা গুলোকে উচ্চ মানের প্রকাশনায় প্রকাশ বা স্বনামধন্য জার্নালে ইনডেক্সভূক্ত করবে। উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের বিভিন্ন গবেষণায় যৌথ ভাবে গবেষণা অনুদান প্রদান করবে।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চ (আইএআর) ইউনাইটেড গ্রুপের সক্রিয় আর্থিক সহায়তায় বিভিন্ন বিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রে গুণগত গবেষণা ও গবেষণা কার্যক্রমকে উন্নীত করার লক্ষে গবেষকদের জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল প্রদানের অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চ (আইএআর) ২০১৯ সাল থেকে ৫০ মিলিয়ন টাকারও বেশি বিভিন্ন গবেষণায় প্রদান করেছে। ইউআইইউ’র আইএআর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাগুলির সাথে সম্মেলিত গবেষণা সহযোগিতার পাশাপাশি গবেষণা অনুদান প্রদান করেছে। বর্তমানে আইএআর বছরে দুবার গবেষণা অনুদান প্রদান করে এবং ৮০টিরও বেশি গবেষণা প্রকল্প চলমান রয়েছে।
হাওর অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উগজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল, শান্তিগঞ্জে নির্বাচিত সুফল ভোগী পরিবারের মাঝে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এম পি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডা. মো. মারুফ হোসেন, পরিচালক, বিভাগীয় প্রানিসম্পদ দপ্তর, সিলেট।প্রকল্পের যাবতীয় কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ করণীয় যেমন , সুফলভোগী ও এলএফএফ ও , ভ্যাক্সিনেটর প্রশিক্ষণ, ইনপুট বিতরন যেমন হাস, মুরগী, ছাগল, ভেড়া সরবরাহকরন ইত্যাদি নিয়ে আলোকপাত করেন প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. গোলাম কবির।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. হাসনাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগ,শান্তিগঞ্জ।উক্ত উপকরন বিতরন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো. আনোয়ারুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ । উক্ত অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম সঞ্চালনা করেন মো. নুর হোসেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, শান্তিগঞ্জ।
অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নির্বাচিত সুফলভোগীদের মুরগী পালন প্যাকেজে ৪১৪টি সুফলভোগী পরিবার জন প্রতি ১৫টি সোনালী মুরগী,এবং ভেড়া পালন প্যাকেজে ১২০ টি সুফলভোগী পরিবার জন প্রতি ২ টি ভেড়া পেয়েছে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন প্যাকেজে সুফলভোগী প্রত্যেকে মুরগি/হাস/ছাগল/ভেড়া, নির্মাণ শেড/ ঘর,৭৫ দিনের দানাদার খাদ্য,ভ্যাক্সিন,ক্রিমিনাশক,ভিটামিন, চিকিৎসার ঔষধ ও পরামর্শ পাবেন। এতে তাদের পুঁজি সৃষ্টি হবে এবং আয় বৃদ্ধি পাবে, ডিম ও হাস / মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে আয় ও আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, ডিম দুধ ও মাংস খাওয়ার ফলে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে নিরাপদ প্রানিজ আমিষ সরবরাহের মাধ্যমে নিজেদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নসহ স্বাস্থ্যবান মেধাবী জাতি গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
হাওর এলাকার অনগ্রসর সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শরিক করার সরকারের এই মহতী উদ্যোগে অংশ হতে পেরে আমি ব্যক্তিগতভাবে উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে স্মার্ট লাইভষ্টক বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
চীনা কারখানা জয়েন উইন (বাংলাদেশ) কোম্পানি লিমিটেড ১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি স্যু এক্সেসরিজ কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এর সাথে আজ (২৫ মে) ঢাকাস্থ বেপজা কমপ্লেক্সে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আলী রেজা মজিদ এবং জয়েন উইন (বাংলাদেশ) কোম্পানি লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. জু তাইহুই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, এনডিসি, পিএসসি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
সম্পূর্ণ আধুনিক স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির এ কারখানাটি বার্ষিক ৭০ লাখ জোড়া স্যু এক্সেসরিজ যেমন, পিইউ ইনসোল, পিইউ মিডসোল, পিইউ আউটসোল, টিপিইউ আউটসোল, রাবার আউটসোল এবং ওপেন সেল পিইউ ইনসোল উৎপাদন করবে। জয়েন উইন (বাংলাদেশ) খ্যাতনামা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতার যেমন- নাইকি, এডিডাস, পুমা, ক্যাটারপিলার প্রভৃতির এক্সেসরিজ তৈরি করবে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৯০০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
গত ৩০ বছর যাবৎ কোম্পানিটি এই সেক্টরে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। বিশ্বের ৬টি দেশে তাদের কারখানা রয়েছে যারা বিভিন্ন নামী দামি ব্র্যান্ডের জুতা তৈরি করছে।
অন্যান্যের মধ্যে বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) মোহাম্মদ ফারুক আলম, সদস্য (অর্থ) নাফিসা বানু, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসেন চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) নাজমা বিন্তে আলমগীর, নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. তানভীর হোসেন এবং নির্বাহী পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ সার্ভিসেস) মো. খুরশিদ আলম এবং বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক মো. এনামুল হক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে ১১৩৮.৫৫ একর জমির উপর বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠছে। জয়েন উইন (বাংলাদেশ) ছাড়াও ১৮ টি দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপনের জন্য বেপজার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যাদের মোট প্রন্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৪১ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। বেপজা আশা করছে, এ বছরের মধ্যে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে পণ্য রপ্তানী কার্যক্রম শুরু হবে।
বিআরবি হসপিটালস লিমিটেডে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস ও সেবা সপ্তাহ ২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
রাজধানীর পান্থপথে বিআরবি হসপিটালস লিমিটেডে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশের প্রখ্যাত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. মোফাজ্জেল হোসেন (লে. কর্নেল অব,), চিফ কনসালটেন্ট-মেডিকেল অনকোলজিস্ট, বিআরবি হসপিটালস লিমিটেড।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে সচেতনতামুলক আলোচনার মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়ে নানান কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. তানজিনা হোসেন এবং ডা. মোহাম্মদ অতিকুর রহমান, আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. নাদিয়া জান্নাত।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কর্ণেল হুসাইন ফারুখ, পিএসসি (অবসরপ্রাপ্ত), প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিআরবি হসপিটালস লিমিটেড। উক্ত অনুষ্ঠানে বিআরবি হসপিটালের কনসালটেন্টবৃন্দ, স্পেশালিস্ট, রেজিস্ট্রার, মেডিকেল অফিসার, নার্স, টেকনোলজিস্ট, অন্যান্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ হসপিটালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তরা দিবসটির তাৎপর্য ও ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধির উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন এবং থাইরয়েড সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন বিশ্ব থাইরয়েড দিবস উপলক্ষে বিআরবি হসপিটালস আয়োজন করেছে ফ্রি থাইরয়েড সেবা সপ্তাহ-২০২৩। ফ্রি রেজিস্ট্রেশনে বিনামূল্যে থাইরয়েড, ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর সুযোগসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা উপর ৪০% ছাড় দিচ্ছে । সেবা সপ্তাহ ২৫ শে মে থেকে ৩১ শে মে ২০২৩ পর্যন্ত চলবে। থাইরয়েড, ডায়াবেটিস ও হরমোন সমস্যায় রোগীরা প্রতিদিন সকাল ০৯:০০ টা থেকে সন্ধ্যা ০৬:০০টার মধ্যে বিআরবি হসপিটালে এসে এই সেবা নিতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন: ১০৬৪৭।
বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলের রক্ষণভাগের অন্যতম সেরা আঁখি খাতুন। সেই ছোট থেকেই গড়ন, উচ্চতা ও লড়াকু ফুটবল দিয়ে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন। মেয়েদের ফুটবলে বাংলাদেশের প্রায় সব সাফল্যেই ছিলেন অগ্রনায়ক হয়ে। সম্প্রতি তিনিও জাতীয় দলের ক্যাম্প ছেড়েছেন। তবে সতীর্থ সিরাত জাহান স্বপ্নার মতো অবসরের সিদ্ধান্ত নেননি। বরং নিজেকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাফুফের বন্দী জীবনকে বিদায় জানিয়েছেন।
সম্প্রতি চীনের বন্দরনগরী হাইকোউ শহরের একটি ফুটবল অ্যাকাডেমিতে খেলার পাশাপাশি পড়ালেখার প্রস্তাব পেয়েছেন আঁখি। এখন চলছে চীনের ভিসা নেওয়ার প্রক্রিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে ঈদের পর দেশ ছাড়বেন তিনি। বিষয়টি দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন আঁখি।
তিনি যে আর দশজন ফুটবলারের মতো নন, তা আগেই বুঝিয়েছেন আঁখি। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের পর বিশ্ব ফুটবলের নজর কাড়েন দীর্ঘদেহী এই ডিফেন্ডার। তার নির্ভীক ফুটবল বড্ড মনে ধরে সুইডেনের শীর্ষ লিগের একটি ক্লাবের। সাফে বাংলাদেশ মাত্র একটি গোল হজম করেছিল।
এই কৃতিত্বের বড় দাবীদার সেন্টারব্যাক আঁখি। তাই সুইডিশ ক্লাবটি তাকে দলে নেওয়ার প্রস্তাবও দেয়। প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে ইউরোপের কোন দেশের শীর্ষ লিগে খেলার প্রস্তাবে আঁখি দেখতে শুরু করেছিলেন বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণের স্বপ্ন। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের হঠকারি সিদ্ধান্তে সুইডেনে খেলতে যাওয়া হয়নি। জাতীয় দলের খেলা থাকবে বলে সুইডেনের দরজা বন্ধ করে দেয় বাফুফে। পরে অবশ্য অর্থ সঙ্কটসহ নানা অযুহাতে জাতীয় দলকে সিঙ্গাপুরে ফিফা ফ্রেন্ডলি ও মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইপর্ব খেলতে পাঠানো হয়নি।
বিষয়টা ভীষণ কষ্ট দিয়েছিল সদ্য এইচএসসি পাস করা আঁখিকে। অভিমানে কিছুদিন ক্যাম্প ছেড়েও চলে গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য ক্যাম্পে যোগ দেন। তবে হতাশা একটুও কমেনি। দিনের পর দিন লক্ষ্যহীণ পথ চলতে কারই বা ভালো লাগে? দেশের ফুটবলের যে ভবিষ্যত নেই ঢের বুঝতে পেরেছিলেন। তাই চীনের প্রস্তাবটাকে লুফে নেন আঁখি।
দেশ রূপান্তরের কাছে ক্যাম্প ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'আমি ওখান থেকে চলে এসেছি ঠিক, তবে ফুটবলেই থাকবো। চীনে ভাল অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন ও লিগ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। তাই ওইখানে যাবো। এখন ভিসা নিয়ে কাজ করছি। আমার জন্য দোয়া করবেন।'
গত ফেব্রুয়ারিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সিরাজগঞ্জের গর্ব আঁখি। দেশে সুযোগ ছিল বেসরকারী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। তবে তিনি যে স্বপ্ন বুনেছেন চীনে লেখাপড়া করার, ‘মূলত আমি ওখানে পড়াশোনা ও খেলা এক সঙ্গে করবো। এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। তবে ভর্তি হইনি।’
তার এই সিদ্ধান্ত বাফুফেকে জানিয়েই নেওয়া। তবে জাতীয় দলের প্রয়োজনে যেখানেই থাকেন না কেন, চলে আসবেন, 'আমি পল স্যারকে (বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি) জানিয়েই ক্যাম্প ছেড়েছি। তাকে এটাও বলেছি আমি যেখানেই থাকি, জাতীয় দলের প্রয়োজন হলে চলে আসবো।'
সম্প্রতি মেয়েদের ক্যাম্পে লেগেছে দ্রোহের আগুন। তিনদিন আগে অভিমানে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের অন্যতম স্ট্রাইকার স্বপ্না। একই দিনে মেয়েদের ফুটবলের সকল সাফল্যের রূপকার অভিজ্ঞ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। মূলত বাফুফের গঞ্জনার শিকার হয়েই ছোটনের এই সিদ্ধান্ত। তাতেই হুলস্থুল লেগে গেছে ফুটবল অঙ্গনে। সালাউদ্দিন-কিরণের হাতে বন্দী নারী ফুটবল নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। প্রিয় কোচ ছোটনের জন্য ভীষণ মন খারাপ আঁখির, 'সত্যি খুব খারাপ লাগছে স্যারের সরে যাওয়ার কথা শুনে।'
তাকে সুইডেনে খেলতে যেতে দেওয়া হয়নি। স্বপ্নাকেও ভারতের লোভনীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। আঁখি অবশ্য এই অপ্রিয় বিষয়গুলো এড়িয়েই যেতে চাইলেন। শুধু বলেছেন, 'স্বপ্না আপুর ভারতে খেলার সুযোগ ছিল। তার সঙ্গে কী হয়েছে, সেটা সবার জানা। আমার সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে।'
শেষটায় আঁখি যা বলেছেন, তা দিয়েই নারী ফুটবলের ভেতরের চিত্রটা ফুটে উঠেছে। তারা দেশকে অসংখ্য সাফল্য এনে দিয়েছেন। গোটা দেশের কাছে তারা একেকজন খেলার মাঠের বীর সেনানী। তবে তাতে তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। বাফুফের চতুর্থ তলায় গাদাগাদি করে থাকতে হয়। মাস শেষে জুটে নামকোয়াস্তে পারিশ্রমিক। সেটা বাড়ানোর দাবী করলেই নাম কাটা যায় গুডবুক থেকে। আঁখির কথায়, 'ভাইয়া, আমরা তো মেয়ে। আর কত কষ্ট করবো যদি ঠিকভাবে পারিশ্রমিকই না পাই?'
দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দল হওয়ার পরও আঁখিদের আকাশ ঢেকে আছে নিকশ কালো অন্ধকারে। এর দায় কী এড়াতে পারবেন, বছরের পর বছর মসনদ আঁকড়ে রাখা ফুটবল কর্তারা?
হার দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ করলো চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। অন্যদিকে ৫-০ গোলের দাপুটে জয়ে শেষ করেছে দ্বিতীয় স্থানের আর্সেনাল। জিতেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর ৪-৪ গোলে ড্র করেছে লিভারপুল। সাউদাম্পটনের অবনমন আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। রবিবার তাদের সঙ্গে নেমে গেছে লিস্টার ও লিডস। লিডস ১-৪ গোলে হেরে গেছে টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে। আর ২-১ গোলে ওয়েস্টহ্যামকে হারিয়েও লাভ হয়নি লিস্টারের। বেন্টফোর্ডের মাঠে হালান্ড-গুনদোয়ানসহ প্রথমসারির কয়েকজনকে খেলানইনি পেপ গার্দিওলা। সামনে ছিলেন আলভারেজ, মাহরেজ, তাদের পেছেন ফোডেন। ৮৫ মিনিট পর্যন্ত অরক্ষিত রেখেছিল সিটি তাদের গোল। ঠিক ওই সময়ে ব্রেন্টফোর্ডের ইথান পিনোক। পঞ্চম হার দিয়ে লিগ শেষ করে সিটি।
নগর প্রতিদ্বন্দ্বি ম্যানইউ ঘরের মাঠে জেডন সানচো ও ব্রুনো ফার্নান্দেজের দ্বিতীয়ার্ধের দুগোলে ফুলহ্যামকে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছে। চেলসির সঙ্গে নিউক্যাসলে ১-১ গোলে ড্র করায় চতুর্থ স্থান নিয়ে শেষ করলো সৌদি যুবরাজের মালিকানধীন নিউক্যাসল। সাউদাম্পটনের সঙ্গে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও একপর্যায়ে ৪-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে হারের শঙ্কায় পড়েছিল লিভারপুল। ৭২ ও ৭৩ মিনিটে কোডি গাকপো ও ডিয়েগো জোতার গোল ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম হয়েছে লিভারপুল। ব্রাইটন হয়েছে ষষ্ঠ। ঘরে মাঠে জাকার দুই ও সাকার এক গোলে উলভসের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ৩-০তে এগিয়ে যায় গানার্সরা। দ্বিতীয়ার্ধে জেসুস ও কিইয়োর আরো দুই গোল করলে বড় জয়ের স্বস্তিতে মৌসুম শেষ করে একসময় শিরোপা লড়াইয়ে থাকা আর্সেনাল।
ত্রাসবুর্গের মাঠে তাদের বিপক্ষে ড্র করে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের শিরোপা নিশ্চিত করেছে পিএসজি। তাই সময়টা এখন তাদের উৎসবের। সময়টা উপভোগ করতে ঘোড়দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন পিএসজি গোলরক্ষক সার্জিও রিকো। কিন্তু সেখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন তিনি।
বর্তমান রিকোকে ইনটেনসিভ কেয়ারে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। পিএসজির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘রিকোর অবস্থা আশঙ্কাজনক।’ পরে ক্লাব থেকে জানানো হয়, তার প্রিয়জনদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ করা হচ্ছে।
লিগ ওয়ান শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার পর প্যারিসে ছুটি না কাটিয়ে নিজ দেশ স্পেনের সেভিয়ায় ফিরে যান রিকো। সেখানেই দুর্ঘটনার শিকার হোন তিনি।
স্পেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ২৯ বছর বয়সী রিকো স্পেনের হুয়েলভা অঞ্চলের এল রোসিওতে ঘোড়দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে দৌড়ে থাকা আরেকটি ঘোড়ার সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হোন তিনি। রিকোকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সেভিয়ার এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় হেলিকপ্টারে করে।
সেভিয়ার সাবেক এই গোলরক্ষক ২০২০ সালে পিএসজিতে যোগ দেন। তার আগে ২০১৮-১৯ মৌসুমে ধারে কাটান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ফুলহামে। পিএসজির হয়ে রিকো ২৯ ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সেভিয়া থেকে চলে যান তিনি।
নতুন পে-স্কেল কিংবা মহার্ঘ ভাতা নয়, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়বে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট অনুযায়ী। তাদের বেতন প্রতি বছর যতটা বাড়ার কথা এবার তার চেয়ে বেশি বাড়বে। আর তা চলতি বছরের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়ানো হবে। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশের বাইরে বাড়ানো হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত প্রায় এক বছর ধরে দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের বেশিরভাগের একমাত্র আয় বেতন-ভাতা। বৈশি^ক মন্দার কারণে সরকারও খানিকটা সংকটে আছে। এ পরিস্থিতিতে পে-স্কেল দেওয়ার মতো বড় ধরনের ব্যয় বাড়ানো সরকারের পক্ষে কঠিন হবে। ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হলে সরকারের ওপর চাপ বেশি হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সরকারি কর্মরতদের খানিকটা স্বস্তি দিতে কোন খাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় এমন প্রস্তাব চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বাজেটবিষয়ক বিভিন্ন বৈঠকে সরকারি নীতিনির্ধারকরাও এ বিষয়ে আলোচনা করেন। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাই করে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করে। চলতি মাসে গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী ওই বৈঠকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে কত বাড়তি ব্যয় হবে তা হিসাব করে পরের বৈঠকে উপস্থাপন করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বড় ধরনের ব্যয় না বাড়িয়ে একটা উপায় বের করতেও বলেন। শেষ পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে নিজেই জানিয়েছেন।
বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা ২০১৫ সালের বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এ বেতন কমিশন প্রণীত হয়েছিল। এ কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, আর নতুন বেতন কমিশন গঠন করা হবে না। প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বাড়ানো হবে। এ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তা হয়ে আসছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি হিসাব অনুযায়ী, দেশে সরকারি কর্মচারী ১৪ লাখ। বিভিন্ন করপোরেশন এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে হিসাব করলে প্রায় ২২ লাখ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটে নিয়মিত ইনক্রিমেন্টের বাইরে আরও কতটা বাড়ানো যায় তা হিসাব করে নির্ধারণ করা হবে। এ কাজ করতে বাজেট প্রস্তাব পেশ করার পর আলাদা কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে যাচাই-বাছাই শেষে ইনক্রিমেন্টের হার সুপারিশ করবে। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে বিদ্যমান ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে প্রতি মাসে বেতন বাড়ানো হবে, নাকি গড় মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানো হবে, তা খতিয়ে দেখা হবে। ২০তম গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেড পর্যন্ত সবার জন্য একই হারে বেতন বাড়নো হবে কি না, তা আরও খতিয়ে দেখা হবে। চূড়ান্ত হিসাব অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে প্রকাশ করা হবে। যে তারিখেই প্রকাশ করা হোক না কেন, আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকরী ধরা হবে।
এখানে মহার্ঘ ভাতা ১০ শতাংশ দেওয়া হলে এ হিসাবে ৪ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ৬ হাজার কোটি এবং ২০ শতাংশ দেওয়া হলে ৮ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে আগামী অর্থবছরে সরকারের ব্যয় বাড়বে। আর এতে সরকার ব্যয় কমিয়েও সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তুষ্টিতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো পথে হেঁটেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতা বাবদ রাখা হয়েছে ছিল ৭৪ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। খরচ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ১ হাজার ৯৩ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা বাজেট হওয়ার কথা আছে। এ বাজেট সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ ৭৭ হাজার কোটি টাকা রাখা হতে পারে। সরকারি কর্মকর্তাদের অনেক পদ এখনো খালি আছে। এতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো হলেও সরকারের ব্যয়ে বড় ধরনের চাপ বাড়বে না।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) নির্মিত হয়েছে বিশেষ কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান ‘ও ভোরের পাখি’। ঈমাম হোসাইনের প্রযোজনায় এটি উপস্থাপনা করেছেন তামান্ন তিথি। অনুষ্ঠানটিতে আবৃত্তি করেছেন আশরাফুল আলম, মীর বরকত, রফিকুল ইসলাম, পলি পারভিন, শাকিলা মতিন মৃদুলা, মাসকুর-এ সাত্তার কল্লোল, আসলাম শিশির, সংগীতা চৌধুরী, আহসান উল্লাহ তমাল। প্রচারিত হয় ২৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায়।
এছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আমারে দেবো না ভুলিতে’। অনুষ্ঠানটিতে গান, কবিতা ও আলোচনার সমন্বয়ে কবিকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বাচিকশিল্পীদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। ইয়াসমিন মুসতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, শেলু বড়ুয়া, ছন্দা চক্রবর্ত্তী ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন প্রফেসর মুন্সী আবু সাইফ। মনিরুল হাসানের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে ২৫ মে দুপুর ১ টা ০৫ মিনিটে। আরও প্রচারিত হবে সংগীতানুষ্ঠান ‘দোলনচাঁপা’ ও ‘সন্ধ্যামালতী’। রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটক ‘বনের পাপিয়া’ (পুনপ্রচার)।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এখন পর্যন্ত ৪৫০টি কেন্দ্রের প্রাথমিক ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৭৯ ভোট এবং টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৪১৩ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
গাজীপুর সিটিতে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের মধ্যে। দুজনই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। অপরদিকে ভোটের পরিবেশ ভালো বলে জানান আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনূর ইসলাম রনি।
কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়ার পরও বিসিএস পরীক্ষায় নারীদের চাকরি পাওয়ার হার প্রায় একই রয়েছে। ১০ শতাংশ কোটা থাকা অবস্থায় তারা যে পরিমাণ চাকরি পাচ্ছিলেন, কোটা তুলে দেওয়ার পরও প্রায় একই হারে চাকরি পাচ্ছেন। সাধারণ ক্যাডার বা কারিগরি ক্যাডারে পিছিয়ে পড়লেও শিক্ষার মতো পেশাগত ক্যাডারগুলোতে এগিয়ে গিয়ে বিসিএসে মোট চাকরি পাওয়ার হারে প্রায় একই অবস্থান ধরে রেখেছেন নারীরা।
অথচ কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় বলা হয়েছিল, কোটা তুলে দিলে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণের গ্রাফ নিম্নমুখী হবে। আসলে তা হয়নি। কোটা তুলে দেওয়ার পরও তারা প্রায় সমানতালে এগিয়ে চলছেন।
৪০তম বিসিএস দিয়ে চাকরিতে ঢুকে বর্তমানে ঢাকা বিভাগে কর্মরত একজন নারী কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, যে বয়সে ছেলেরা চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা করে সেই বয়সে অধিকাংশ নারীকেই বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করতে হয়। সংসার করে, সন্তান লালনপালন করে নারীরা ভালো প্রস্তুতি নিতে পারে না। ফলে অনেক মেধাবী নারী প্রতিযোগিতায় উতরে যেতে পারেন না। অনেক নারী পারিবারিক কারণে বিয়ের পর চাকরির আবেদনই করেন না। বিয়ের পর পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা আসে। এসব কাটিয়ে উঠে চাকরিতে প্রবেশ করা কঠিন। আর বিসিএসের চাকরি মানেই বদলিযোগ্য। সংসার-সন্তান রেখে বদলিকৃত পদে যোগ দেওয়া কঠিন বিষয়। সবকিছু মিলিয়ে নারীদের জন্য এ চাকরি সহজ নয়। একজন পুরুষ বেকার নারী বিয়ে করে, কিন্তু একজন নারী বেকার পুরুষ বিয়ে করে না। এ বিষয়টাও ছেলেদের প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। এ বাস্তবতা থেকেও পুরুষ প্রতিযোগী বেশি হয়। অন্যদিকে যোগ্য হলেও অনেক নারী প্রতিযোগিতাই করে না।
একজন নারী ইউএনও বলেন, পরীক্ষার হলে বা মৌখিক পরীক্ষার সময় অনেক নারীকে দুগ্ধপোষ্য সন্তানকে সঙ্গে আনতে হয়। এগুলোও অনেক সময় নারীকে চাকরির ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে। ঘরে ঘরে বাধা পায় নারীর অগ্রযাত্রার নানা চেষ্টা। নগর-জীবনে নারীর অস্তিত্ব অনেকটা স্বচ্ছন্দের। কিন্তু নগরসভ্যতার বাইরে বিশাল বিস্তৃত গ্রামীণ জনজীবনে পুরুষতন্ত্রের নানা ধরনের অনাকাক্সিক্ষত বেষ্টনী এখনো নারীকে ধরাশায়ী করে রাখে। হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীর পথ হাঁটছে নারী-পুরুষ। তবু তাদের মধ্যে ভারসাম্য নেই।
কোটা না থাকার পরও নারীরা তাদের অবস্থান কীভাবে ধরে রাখলেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রাথমিকের পর মাধ্যমিকেও মেয়েরা অনেক এগিয়েছে। উচ্চশিক্ষায়ও মেয়েদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে। সবকিছু মিলে বিসিএসে এর প্রতিফল ঘটেছে। যে পরিমাণ মেয়ে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে, সেই তুলনায় চাকরিতে প্রবেশের হার বেশি। উচ্চশিক্ষায় যায় হয়তো ৮০ ভাগ ছেলে। আর মেয়েদের মধ্যে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার হার ৩০ বা ৩৫ শতাংশ। তাদের মধ্যে ২৬ বা ২৭ শতাংশ মেয়ে বিসিএস দিয়ে চাকরি পাচ্ছে। এদিক দিয়ে চিন্তা করলে মেয়েরা অনেক ভালো করছে।’
এক প্রশ্নের জবাব ড. ইমতিয়াজ বলেন, ‘মেয়েদের কাছে শিক্ষা এখনো অপরচুনিটি (সুযোগ) আর ছেলেদের কাছে অধিকার। মেয়েরা যখন এ সুযোগটা পায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা কাজে লাগাতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের ছেলেসন্তানের জন্য যে বিনিয়োগ, মেয়েসন্তানের জন্য এখনো তার চেয়ে অনেক কম। এখনো মনে করা হয় মেয়ে তো অন্যের ঘরে চলে যাবে। অথচ মজার বিষয় হচ্ছে, পরিবারের দায়িত্ব উচ্চশিক্ষিত ছেলের তুলনায় উচ্চশিক্ষিত মেয়ে অনেক বেশি বহন করে। এসব প্রতিবন্ধকতা হাজার বছরে তৈরি হয়েছে। এগুলো দূর হতে আরও সময় লাগবে।’
অন্যান্য কোটার মতো প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা ছিল। নারীরা যোগ্যতা অনুযায়ী মেধা কোটায়ও নিয়োগ পেতেন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে মেধাভিত্তিক জেলা কোটার পাশাপাশি ১৫ শতাংশ নারী কোটা রয়েছে এখনো। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাভিত্তিক জেলা কোটার পাশাপাশি ৬০ শতাংশ নারী কোটা সংরক্ষিত রেখে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে নারীরা সরকারি চাকরিতে পুরুষ প্রার্থীর সঙ্গে মেধা কোটায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিয়োগ লাভের পাশাপাশি সংরক্ষিত কোটায়ও নিয়োগ লাভের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ছাত্রীর হার বাড়ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এক দশকের বেশি সময় ধরে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর হার বেশি। কলেজ পর্যায়ে ছাত্র ও ছাত্রীর হার প্রায় সমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর হার ৩৬ শতাংশের বেশি।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে সরকার। ৪০তম সাধারণ বিসিএস হচ্ছে কোটামুক্ত প্রথম বিসিএস। ধাপে ধাপে বাছাই করে গত বছর ৩০ মার্চ এই বিসিএসের চূড়ান্ত সুপারিশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রায় ১৩ মাস পর গত মাসে সেই সুপারিশের বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে পিএসসি। সেখানে বলা হয়েছে, ৪০তম বিসিএসে মোট ২৬ দশমিক ০৩ শতাংশ নারী চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পেয়েছেন। যা কোটাযুক্ত ৩৮তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ৯১ ও ৩৭তমে ২৪ দশমিক ৬০ শতাংশ ছিল। গত ১ নভেম্বর এ বিসিএসের কর্মকর্তারা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।
পিএসসির একজন সাবেক চেয়ারম্যান বলেছেন, কোটামুক্ত একটি সাধারণ বিসিএসে ২৬ দশমিক ০৩ শতাংশ নারী চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পেয়েছেন এটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় নারীদের শক্ত সক্ষমতা প্রকাশ করে। কারণ এর আগে কোটাযুক্ত ৩৮তম বিসিএসের তুলনায় মাত্র দশমিক ৮৮ শতাংশ কম। অর্থাৎ কোটা তুলে দেওয়ার পরও নারীরা ১ শতাংশও পিছিয়ে পড়েননি। আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, প্রত্যেক বিসিএসে নারীদের আবেদনের হার অর্থাৎ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের হার পুরুষের তুলনায় কম অর্থাৎ গড় হার কম। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতেও নারী প্রার্থীদের পুরুষের তুলনায় অনেক কম চোখে পড়ে। এমনকি কোনো কোনো কক্ষে নারী প্রার্থী থাকেই না। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ধাপগুলো অতিক্রম করার ক্ষেত্রে নারীদের অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরিমাণ বেশি থাকে। ৪০তম বিসিএসে যোগ্য আবেদনকারী নারী ছিলেন ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তাদের মধ্যে ১৯ দশমিক ১৯ শতাংশ নারী প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন। অথচ পুরুষদের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র। যোগ্য আবেদনকারী পুরুষ ছিলেন ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ পুরুষের হার ৮০ দশমিক ৮১ শতাংশ।
৪০তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে ২১ দশমিক ০৮ শতাংশ নারী সুপারিশ পেয়েছেন। এই হার ৩৮ ও ৩৭তম বিসিএসে ছিল যথাক্রমে ২৪ দশমিক ১৪ ও ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
৪০তম বিসিএসের কারিগরি ক্যাডারে ২৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ নারী সুপারিশ পেয়েছেন। এই হার ৩৮ ও ৩৭তম বিসিএসে ছিল যথাক্রমে ২৯ দশমিক ৫৩ ও ২৫ দশমিক ২ শতাংশ।
সাধারণ এবং কারিগরি ক্যাডারে নারীরা পিছিয়ে পড়লেও শিক্ষার মতো পেশাগত ক্যাডারে এগিয়েছেন। ৪০তম বিসিএসে ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ নারী সুপারিশ পেয়েছেন। যা ৩৮তমে ২৬ দশমিক ৩০ এবং ৩৭তমে ২৫ দশমিক ২ শতাংশ ছিল।
পুরোপুরি মেধার ভিত্তিতে নেওয়া ৪০তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারেও নারীরা পিছিয়েছেন। জেলা কোটাও না থাকায় নাটোর, ভোলা, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি থেকে প্রশাসন ক্যাডারে কেউ সুপারিশ পাননি।
গত বছর প্রকাশিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি চাকরিজীবীদের তথ্যসংক্রান্ত ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস’ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সিভিল প্রশাসনের ১৪ লাখ সরকারি কর্মচারীর মধ্যে ২৬ শতাংশ নারী। সরকারি দপ্তরের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কাজ করেন সবচেয়ে কমসংখ্যক নারী। মন্ত্রণালয়ের মোট জনবলের ১৯, অধিদপ্তরের ৩১, বিভাগীয় কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ের ১২ এবং আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ১২ শতাংশ কর্মী নারী।