
তরুণ চাকরিপ্রত্যাশীদের তাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ করে দিতে রাজধানীর উত্তরার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইইউবিএটি) অনুষ্ঠিত হয়েছে আইইউবিএটি ন্যাশনাল ক্যারিয়ার ফেস্টিভাল-২০২৩।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দিনব্যাপী চলে এ আয়োজন।
দেশি-বিদেশি মোট ১০১টি প্রতিষ্ঠান আট শতাধিক পদে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে নিতে অংশ নেয় এই আয়োজনে। সারা দেশের চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল এ আয়োজন।
আয়োজন চলাকালে ১১টি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান সরাসরি জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ, বাছাই ও সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলে আয়োজক কমিটি জানান।
ফেস্টিভ্যালে চাকরি প্রার্থীরা দেশের নামীদামি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে তাদের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে সে অনুযায়ী নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তৈরি করতে পারবেন।
আইইউবিএটির প্লেসমেন্ট অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য ন্যাশনাল ক্যারিয়ার ফেস্টিভাল-২০২৩ পাওয়ার্ড বাই টিসিএল গ্লোবাল। সহযোগী পার্টনার হিসেবে ছিল ডেইলি স্টার ও কমিউনিটি পার্টনার ভ্যাকান্সি অ্যানাউন্সমেন্ট ইন বিডি।
এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পেইন্ট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এশিয়ান পেইন্টস একটি সমন্বিত রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ২০২৩ সালের ‘কালার অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান পেইন্টস গ্লোবালের রিজিওনাল হেড সিরিশ রাও। এ সময় এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড বুধাদিত্য মুখার্জিসহ এশিয়ান পেইন্টসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে যোগদান করেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা স্থপতি, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
‘কালার নেক্সট’ গ্রাহকদের রঙ ও রঙের উপাদান পছন্দ ও তাদের চাহিদা বুঝে নেবার একটি প্রক্রিয়া। এতে এশিয়ান পেইন্টসের সঙ্গে যুক্ত থাকেন উপমহাদেশ-জুড়ে স্থপতি, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার, শিল্পী, সমাজবিজ্ঞানী এবং অন্যান্য সংস্কৃতমনা ব্যক্তিরা। যারা এশিয়ান পেইন্টসকে উপমহাদেশের মধ্যে পরিবর্তিত সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ল্যান্ডস্কেপ শনাক্ত করতে এবং সমসাময়িক ‘ট্রেন্ড’ খুঁজে পেতে সহযোগিতা করেন।
‘কালার নেক্সট’ মানুষের আবেগের সৃজনশীল প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন এশিয়ান পেইন্টস এর মারিশা রেগো ডি'সুজা। তিনি এই বছরের চারটি কালার ‘ট্রেন্ড’ ঘোষণা করেছেন- যা হলো গথেলিসিয়াস, যা প্রাচীন আচ্ছাদিত রঙের তীব্রতা প্রকাশ করে। শ্রুম, যা প্রাকৃতিক উপাদানের সমস্ত অপরূপ শক্তি ও দৃঢ়তার কথা মনে করিয়ে দেয়। এজ অব দ্য ফরেস্ট, যা আমাদের স্থায়িত্ব, বিস্ময় এবং আশার প্রয়োজনীয়তা প্রতিফলিত করে এবং স্লিপ সেন্স যা শান্ত এবং স্থির অনুভূতির জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই ট্রেন্ডের মাধ্যমে আমরা সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো, যেমন কীভাবে আমরা নিজেকে প্রকাশ করি তা থেকে শুরু করে আমাদের কল্যাণের জন্য উপলব্ধ তাগিদ এবং অন্যদের ও আমাদের চারপাশের বিশ্বের সঙ্গে গভীর সংযোগ তৈরি করে। ‘সিলভার এসক্যাপেড’কে ২০২৩ সালের ‘কালার অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এশিয়ান পেইন্টস গ্লোবালের রিজিওনাল হেড সিরিশ রাও বলেন, ‘এশিয়ান পেইন্টস মানেই গ্রাহকদের ঘরকে সুন্দর করে তোলার প্রচেষ্টা। ধারাবাহিকভাবে মান-সম্পন্ন সল্যুশন প্রদানের পাশাপাশি আমাদের ট্রেন্ডসমূহকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করতে এবং গ্রাহকদের তাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে অনুপ্রেরণা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘দ্য কালার নেক্সট-২০২৩ ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট’-এ এমন একটি প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে। যেখানে আপনি বর্তমান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর নতুন ট্রেন্ডগুলো বুঝতে পারবেন। কালার নেক্সট-২০২৩’র মাধ্যমে আমরা রঙ নির্বাচনের বিষয়ে ক্রমাগত পরিবর্তনগুলো বুঝতে ও কাজ করতে চেষ্টা করছি এবং সেইসঙ্গে চেয়েছি গ্রাহকদের জন্য ইতিবাচক ও প্রাণবন্ত রঙের সমাহার নিয়ে হাজির হতে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত পরিসরের পেইন্টিং সল্যুশন প্রদানের জন্য ভবিষ্যতের ‘ট্রেন্ড’ সমূহ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
বাংলাদেশে ২০২১ সালে ‘কালার নেক্সট’ উদ্যোগটি যাত্রা শুরুর পর থেকে এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ এর আর্কিটেক্ট, ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার কমিউনিটির (এআইডি) সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যারা এই ‘ট্রেন্ড’ সমূহ বুঝতে এবং ডিজাইন ও গৃহসজ্জায় (ডেকোর) তা বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করেছেন। এ বছর এশিয়ান পেইন্টসের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বরা হচ্ছেন- ‘ফোর ওয়ালস ইনসাইড আউটসাইড’-এর ওয়াহিদ আসিফ, ‘ইনসিগনিয়া স্টুডিও’-এর মেহেদি জামান, ‘সিনথেসিস আর্কিটেক্ট’-এর একেএম তানভীর হাসান নীরু। ‘কালার নেক্সট ২০২৩’ ও ‘ট্রেন্ড’ অ্যান্ড ‘ম্যাটেরিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বিশদ ব্যাখ্যায় অভিজ্ঞ এসব পেশাদাররা এই আয়োজনে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি তারা তাদের বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে এই সেক্টরে ভূমিকা রেখে চলেছেন।
একটি অভিনব প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘এশিয়ান পেইন্টস’ ২০০৩ সাল থেকে বিভিন্ন ‘ট্রেন্ড’ সম্পর্কে ধারণা বিষয়ে গবেষণা করে আসছে। এ প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানটি আসন্ন ট্রেন্ডগুলো বিশ্লেষণ করে থাকে। ‘ট্রেন্ড’ এমন একটি অনুষঙ্গ, যা ইতোমধ্যে শিল্প, সংস্কৃতি, সমাজব্যবস্থা, নকশা ও গৃহসজ্জার ক্ষেত্রে ছোট ও বড় উভয় উপায়ে ঘটছে। এশিয়ান পেইন্টস একমাত্র পেইন্ট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যারা ‘ট্রেন্ড’ নিয়ে গবেষণা করে এবং উদ্ভাবনী সমাধানে প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। এতে নিশ্চিত হয় গ্রাহকদের সন্তুষ্টি।
আজ সোমবার প্রসিদ্ধ দেশী ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস যাচাই ডট কমের সহযোগিতায় একশপের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ই-কমার্স পার্টনার্স মীটআপ। রাজধানীর আগারগাঁও-এ অবস্থিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই মীটআপে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারের আইসিটি বিভাগ পরিচালিত এটুআই - এসপায়ার টু ইনোভেট-এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন যাচাই ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আজিজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন এটুআই-এর কমার্শিয়াল স্ট্র্যাটেজি বিভাগের প্রধান রেজওয়ানুল হক জামি । এই অনুষ্ঠানে একশপ ও যাচাই ডট কমের ইকমার্স প্ল্যাটফর্মে সদ্য সংযুক্ত হওয়া বিভিন্ন সেক্টরের, অত্যন্ত জনপ্রিয় বেশ কিছু ব্র্যান্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে স্বশরীরে পরিচিত হওয়া এবং তাদের স্বাগতম জানানো হয়।
একই সাথে, এই অনুষ্ঠানে মধ্যে দিয়েই ঘোষনা করা হল যে, ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস যাচাই ডট কম এখন থেকে তাদের ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের আইসিটি ডিভিশন পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের একশপ-এর পেমেন্ট ইকোসিস্টেম ব্যবহার করবে। যাচাই মার্কেটপ্লেসে যেসকল মার্চেন্ট আছেন তারা এই প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে একশপের পেমেন্ট, লজিস্টিক্স, ডেলিভারি সহ ডিজিটাল অবকাঠামো সেবাগুলোর সুবিধা পাবেন।
শুরুতেই একশপের পক্ষে জামি বলেন, বাংলাদেশের এটুআই-এর একশপ বিশ্বের প্রথম সহায়ক গ্রামীণ ই-কমার্স আর্কিটেকচার ইকোসিস্টেম এবং বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র ই-কমার্স ডিপিআই (ডিজিটাল পাব্লিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার)। একশপ নিজে মার্কেটপ্লেস হিসেবে কোন পণ্য বিক্রয়ের সাথে জড়িত না, বরং সরকারের পক্ষ থেকে মার্কেটের সব ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের জন্য সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে কাজ করে থাকে। এভাবে, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৩৬,০০০ এসএমই মার্চেন্ট একশপের সাথে যুক্ত আছেন। শুধু তাই নয়, দেশের সকল বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো প্রযুক্তিগতভাবে একশপের সাথে সংযুক্ত।
সুপ্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ব্র্যান্ড যারা নানান ক্যাটাগরির পণ্য নিয়ে দেশে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা করছেন, তাদেরকে পার্টনারশিপের মাধ্যমে একশপ নেটওয়ার্কের সকল সেবা এবং টুলসগুলো সম্পর্কে পরিচিত করা এবং যাচাই ডট কম প্ল্যাটফর্মে সেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের ব্যবসায় প্রসারের সম্ভাবনার দিকগুলো অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়।
একশপ বাংলাদেশ থেকে তৈরি একমাত্র আন্তর্জাতিক ডিপিআই বা ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার হিসাবে শুধু দেশীয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও যেকোনো ডিজিটাল কমার্স স্টার্ট-আপের প্রযুক্তি ও কর্মদক্ষতা উন্নয়নে ওপেন সোর্স সাপোর্ট দিয়ে থাকে। যাচাই ডট কম লি.-এর এক্ষেত্রে একশপের ডিপিআই প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত খুবই যুগোপযোগী, যা দেশব্যাপী যাচাই ডট কম-এর সেবা পরিধির ব্যপ্তি বৃদ্ধি ছাড়াও ক্রস-বর্ডার ই-কমার্স এবং পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে তার কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
এই অন্তর্ভুক্তির ফলে দেশীয় ই-কমার্স ক্রেতারা আরো অনেক নতুন পণ্যের সমাহারে সমৃদ্ধ যাচাই ডট কম ও একশপ প্ল্যাটফর্মে আরো স্বস্তিদায়ক, বর্ণাঢ্য অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন বলেই আশাবাদী যাচাই ডট কম এবং এটুআই একশপ কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে যাচাই ডট কম লি.-এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আজিজ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সবাইকে নিয়ে একসাথে কিভাবে কাজ করা যায়, সেই চেষ্টাই করছি আমরা। বেসরকারী সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়-এর প্রতিষ্ঠাতা জনাব আজিজ বলেন আমরা স্মার্ট সিটিজেন সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে যে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছি সেজন্য আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো টাকা নিচ্ছি না। বর্তমানে দেশে বেসরকারি কারিগরি পর্যায়ে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমি গর্ব করে বলতে চাই, সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী আমার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। বিশ্বব্যাংক আমার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থায়নও করেছে। আমরা মানের প্রশ্নে কোন আপোষ করিনা। তিনি আরও বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়ে আমি যাচাই ডট কমের মাধ্যমে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। ই-কমার্স আমার পছন্দের জায়গা। এখানে যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, সবাইকে এক সাথে নিয়ে কাজ করলে এই সংকট দূর হয়ে যাবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। যাচাই ডট কম নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। যাচাই হবে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে ক্রেতাদের বা গ্রাহকদের সব ধরনের সেবা থাকবে বা পাওয়া যাবে। বৈধ সকল ক্যাটেগরির পণ্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এক ছাদের নিচে বিক্রি করতে পারবে এই প্রতিষ্ঠান। আমি অভিজ্ঞদের পরামর্শ ও আপনাদের সাপোর্ট নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমরা যে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি তা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে আমরা ইনশা’আল্লাহ অবশ্যই সফল হবো।
অনুষ্ঠানের শেষভাগে পূর্বনির্ধারিত প্রশ্ন-উত্তর পর্বে আমন্ত্রিত ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর দেন যাচাই-এর পক্ষে জনাব আজিজ, একশপের পক্ষে জনাব জামি এবং অপারেশন্স প্রধান জনাব তৌফিক আহমেদ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসিআই লিঃ, সারা লাইফস্টাইল লিঃ, মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, আল হারামাইন পারফিউমস, বিডিশপ ডট কম, ব্লু ব্ল্যাক কর্পোরেশন, মোশন ভিউ, টেক ভ্যালি ডিস্ট্রিবিউশন লিঃ, টেকনো ওয়ার্ল্ড, ডাবুর বাংলাদেশ, এম কে ইলেক্ট্রনিক্স, আরএফএল প্লাস্টিক্স লিঃ, ট্রান্সকম ইলেক্ট্রনিক্স লিঃ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও ছিলেন এটুআই একশপ এবং যাচাই ডট কমের প্রতিনিধিরা।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন অব বিজনেস (ওয়ার্ল্ডকব) বিশ্বের ১৩০টি দেশের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কো-অপারেটিভ ব্যাংকিং ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ “দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড” (ডিএমসিবি) কে ‘দি বিজ ইউরেশিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ প্রদান করেছে।
ব্যাংকের প্রধান উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু জাফর চৌধুরী, পিএসসি, জিডি(পি) অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
দি বিজ ইউরেশিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানটি ২৫-২৮ মে, ২০২৩খ্রিঃ তারিখ কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানার হোটেল শেরাটন নূর-সুলতান এ অনুষ্ঠিত হয়। ডিএমসিবি’র প্রধান উপদেষ্টাসহ উক্ত অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন খান মোহাম্মদ নজিব (অবঃ) এবং প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
হ্যালো পয়সার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এ ক্যাশ রেমিট্যান্স গ্রাহকরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে ফ্রিজ জেতার সুযোগ রয়েছে। এ অফার চলবে ১ জুন থেকে ২৭ জুন ২০২৩ পর্যন্ত।
সোমবার (২৯ মে) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে প্রধান অতিথি হিসেবে ইসলামী ব্যাংক-হ্যালো পয়সা রেমিট্যান্স উৎসবের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ কায়সার আলী।
গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন হ্যালো পয়সার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সেইজিল ম্যাগান। অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মোঃ রেজাউল করিম এবং হ্যালো পয়সার বাংলাদেশ কান্ট্রি হেড ফজলুর রহমান।
এ সময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ নাইয়ার আজম, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার ও আবুল ফায়েজ মুহাম্মাদ কামালউদ্দিন এবং ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিফতাহ উদ্দীন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, সকল জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান এবং উপশাখা ইনচার্জগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।
বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে জীবিত ও মরণোত্তর অঙ্গদান বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে “নতুন জীবন” নামে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মরণশীল জীবনের পরও অন্যের দেহে নিজেকে নতুন জীবন দানের এক প্রয়াস 'নতুন জীবন'।
২৮ মে বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ও মূল আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দেশ বরেণ্য কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ।
কর্মশালায় বক্তারা অঙ্গ প্রতঙ্গ দান করার প্রয়োজনীয়তা এবং অঙ্গদানের এর জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি কে হতে পারে সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
জীবিত অবস্থায় রক্ত সম্পর্কিত নিকট আত্মীয় যেমন– মা-বাবা,ভাই -বোন, আপন মামা, চাচা, খালা, ফুফু, স্বামী- স্ত্রীকে কিডনি দান করতে পারবেন। এছাড়া চাচাতো ভাই ও বোন, মামাতো ভাই ও বোন, ফুফাতো ভাই ও বোন, খালাতো ভাই ও বোন এমনকি দাদা-দাদি, নানা-নানি অঙ্গ দান করতে পারবেন।
মৃত্যুর পর যেকোনো ব্যক্তি আত্মীয় অথবা অনাত্মীয় সবাই অঙ্গ দান করতে পারবেন। একটি মৃতদেহের অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে ৯ জন মানুষের জীবন বাঁচানো যেতে পারে। মৃতদেহের ২টি কিডনি, ১ টি হৃদপিণ্ড, ১টি লিভার ও ফুসফুসসহ মোট ৮টি অঙ্গ দান করা যায়। এর বাইরে চোখ বা কর্নিয়ার টিস্যুসহ অন্যান্য অঙ্গের টিস্যু দান করা যায়। সেই লক্ষে সামাজিক আন্দোলন ও ধর্মীয় সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত প্রদান করেন এবং এই আন্দলোলনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনকে বলা হয় ‘লাশের সাক্ষ্য’। সেই প্রতিবেদনে প্রায়ই ভুল থাকছে। হত্যা হয়ে যাচ্ছে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা। দেশের মর্গগুলোর আধুনিকায়ন না হওয়া, চিকিৎসকদের অদক্ষতা এবং মর্গে আসার আগেই মরদেহের আলামত নষ্ট হয়ে যাওয়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ভুলের অন্যতম কারণ। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য এরকমই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের বেশিরভাগ মর্গে মরদেহের ভিসেরা বা বিভিন্ন নমুনা সংরক্ষণের আধুনিক সুবিধাসংবলিত জায়গা নেই। এসব ধারণের জন্য কনটেইনার, প্রিজারভেটিভ বা রাসায়নিকের সরবরাহও প্রয়োজনের তুলনায় কম। অনেক সময় প্রিজারভেটিভ না থাকলে লবণ পানির সাহায্যে মর্গে লাশ সংরক্ষণ করা হয় এবং হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল ল্যাবে যেসব স্যাম্পল বা নমুনা পাঠানো হয়, সেসব ভালোমানের ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষিত করে পাঠানো হয় না। ফলে আলামত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও ভুলের আশঙ্কা বাড়ে। কখনো চিকিৎসক প্রভাবিত হয়েও ভুল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেন।
ময়নাতদন্তসংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বলেন, আমাদের দেশে আধুনিক মর্গ ব্যবস্থাপনা নেই। তাছাড়া লাশ মর্গে আসার আগেই অনেক আলামত নষ্ট হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নেয়; তারপর থানা থেকে নেয় মেডিকেল কলেজে। এরপর অ্যাম্বুলেন্স, লেগুনা বা ট্রাকে বা ভ্যানে করে আনে মর্গে। এত আলামত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে। এসব কারণে ভুল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের ভুল প্রতিবেদনের প্রধান কারণ আধুনিক যন্ত্রপাতি ও আধুনিক মর্গের অভাব। দ্বিতীয় কারণ, লাশ যখন আমাদের কাছে আসে তখন আমরা সিন অব দ্য ক্রাইম (অপরাধের দৃশ্য) ভিজিট করি না। ফলে অনেক ইনফরমেশন ধরা পড়ে না। উন্নতবিশ্বে কোথাও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে পুলিশ ওই স্থানকে হলুদ টেপ দিয়ে ঘিরে রাখে এবং সবার আগে ভিজিট করে একজন ফরেনসিক স্পেশালিস্ট। ওখান থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগৃহীত হয়ে মর্গে চলে আসে। মর্গে লাশ পাঠায় পুলিশ, পরে পোস্টমর্টেম করে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে মরদেহের ফাইন্ডিংস মিলিয়ে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। সেটাই সঠিক ও নির্ভরযোগ্য হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এমন হয় না।’
ময়নাতদন্ত কী : খুন বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ভুক্তভোগীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য একজন ফরেনসিক চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞ মরদেহের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গ বা অঙ্গবিশেষের গভীর নিরীক্ষণ করেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করে মন্তব্যসহ যে প্রতিবেদন দেওয়া হয় তাই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন, ময়নাতদন্ত হওয়া জরুরি, তখন মৃতদেহ সিভিল সার্জন বা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
সম্প্রতি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা ও রেল দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর কথা উল্লেখ থাকা ২২টি মামলা তদন্ত করে পিবিআই জানায়, এগুলো ছিল পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ওই মামলাগুলোতে পুলিশের অন্যান্য সংস্থা তদন্ত করে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল।
পিবিআইপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘হত্যা বা অপমৃত্যুর মামলার তদন্তে ময়নাতদন্তের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ময়নাতদন্ত মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অন্যদিকে ময়নাতদন্ত সঠিক না হলে তদন্ত ভিন্ন পথে মোড় নেয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে সাহায্য করে, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে দারুণভাবে সহায়তা করে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিটফোর্ড বা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে ২০২১ সালে ৭৪০টি, ২০২২ সালে ৬০০টি ও চলতি বছর ১৫ মে পর্যন্ত ১৪৫টি মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। গত ১৫ মে দুপুরে সেখানকার মর্গে গিয়ে দেখা গেছে জরাজীর্ণ দশা। দুটি মরদেহ পড়ে আছে পোস্টমর্টেমের অপেক্ষায়। মর্গ সহকারী নাম প্রকাশ না করে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘মর্গের লাশ রাখার একমাত্র ফ্রিজটি তিন বছর ধরে নষ্ট। ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় মালামালের সংকট সবসময়ই থাকে। নেই আধুনিক কোনো সুবিধা। তিনজন মর্গ সহকারীই বছরের পর বছর চুক্তিভিত্তিতে কাজ করছেন।’
জানা গেছে, রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য মর্গের দশা একই।
ময়নাতদন্ত সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে পিবিআইয়ের এক প্রতিবেদনে দেশের মর্গসংশ্লিষ্টদের ফরেনসিক বিষয়ে আধুনিক ও বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের অভাব, বিশেষজ্ঞ ফরেনসিক চিকিৎসকের তুলনায় লাশের সংখ্যা বেশি, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও হিমাগারসহ মানসম্মত অবকাঠামো না থাকাকে ভুল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এ ছাড়া মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডোমের স্বল্পতা, জটিল ও চাঞ্চল্যকর মরদেহের ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত না করা, আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত কাজে অংশ নিতে চান না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ময়নাতদন্ত বিষয়ে পিবিআইয়ের প্রতিবেদন ও দেশ রূপান্তরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মর্গগুলোতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ও আলোর ব্যবস্থাসহ আধুনিক অবকাঠামো ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ঘাটতি রয়েছে। অনেক জেলায় মর্গে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে জেনারেটর নেই। অনেক জেলায় মর্গে পর্যাপ্ত দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল নেই। বংশ পরম্পরায় মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডোমরা ময়নাতদন্তের সহযোগী হিসেবে কাজ করলেও তাদের কোনো মৌলিক প্রশিক্ষণ নেই। তাছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ ব্যস্ত মর্গগুলোতে মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্টদের স্বল্পতা প্রকট। অনেক জায়গায় দেখা গেছে, লাশ সংরক্ষণের সুরক্ষিত পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার অভাব। বিদেশি নাগরিক ও বিশেষ ক্ষেত্রে মরদেহ প্রচলিত নিয়মে হিমঘরে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পড়ে। অল্পসংখ্যক মর্গে কুলিং বা ফ্রিজিং বা মর্চুয়ারি কুলার সিস্টেম থাকলেও অধিকাংশ সময় নষ্ট থাকে বলে গরমের সময় লাশে দ্রুত পচন ধরে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর সম্ভাব্য সময়ের উল্লেখ থাকা জরুরি। মর্গে আধুনিক প্রযুক্তি না থাকায় অভিমত প্রদানে বিশেষজ্ঞদের সমস্যা হয়। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১ জুন রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকায় নিজ বাসা থেকে ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি খুন হয়েছিলেন। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে। খুনের ধরন মোটামুটি স্পষ্ট হলেও ঘটনার রহস্য উন্মোচনে খুনের ‘সম্ভাব্য সময়’ জানার জন্য পিবিআই ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকদের সুযোগ-সুবিধা কম হওয়ায় চিকিৎসা শিক্ষায় এ শাখাটি অবহেলিত এবং কম গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। ফলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ ফরেনসিক ডাক্তারের স্বল্পতা রয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে আরেকটি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, সিএমএম আদালতের নির্দেশে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগরের লালমোহন থানা এলাকা থেকে কামাল মাঝির (৪৫) ৩৮ মাসের পুরনো মরদেহ তুলে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। সেখানে কর্মরতদের কারও এ ধরনের মরদেহের ময়নাতদন্তের অভিজ্ঞতা না থাকায় মরদেহটি ভোলা থেকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে নেওয়া হয়। দায়িত্বরত প্রভাষক জানান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের পদে কেউ কর্মরত নেই। তিনি মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য অন্য কোনো মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে নেওয়ার অনুরোধ করেন। পিবিআই মরদেহটি বরিশাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সংশ্লিষ্ট বিভাগে নিয়ে যায়।
হত্যা কেন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা হিসেবে আসে জানতে চাইলে ফরেনসিক চিকিৎসকরা জানান, কাউকে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রাখলে তার ওপর দিয়ে ট্রেন গিয়ে একেবারে ক্ষতবিক্ষত হয়ে হাড়গোড় বেরিয়ে দলিত হয়ে যায়। একে চিকিৎসাশাস্ত্রে মিউটিলেডেট লাশ বলে। ওইসব লাশের আলামত বোঝা যায় না। আগের আলামত নষ্ট হয়ে নতুন আলামত তৈরি হয়। তখন রেল দুর্ঘটনাই মনে হয়। এতে অনেক সময় চিকিৎসকরা মিসগাইডেড হয়।
ফরেনসিক বিভাগে চিকিৎসকের সংকট বিষয়ে এক চিকিৎসক বলেন, ‘আমি ঢাকায়ে আছি, অথচ আমাকে কক্সবাজার বা পঞ্চগড় গিয়ে স্বাক্ষর দিতে হচ্ছে। বাইরে যাওয়ার, বিশেষ করে একা, বিপদ আছে অনেক, সংক্ষুব্ধ পক্ষ হামলা চালাতে পারে। এজন্য অনেক চিকিৎসক এ বিভাগে থাকতে চান না। এখানে সুবিধাও অনেক কম। মফস্বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে মিসগাইড করে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট লেখানো হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রথম সেট ২৫ মিনিট, দ্বিতীয়টি ২৮ মিনিটে জিতলেন কার্লোস আলকারাজ। মনে হচ্ছিল কোয়ালিফায়ার ফ্যাভিও কোবোলিকে বুঝি উড়িয়েই দিচ্ছেন শীর্ষ বাছাই।
না, তৃতীয় সেটতে প্রতিরোধ গড়লেন ইতালিয়ান। সময় গড়ালো ঘন্টায়। শেষপর্যন্ত জয় এসেছে ৬৬ মিনিটে। ৬-০, ৬-২, ৭-৫ গেমে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ জিতে রাফায়েল নাদালের উত্তরসুরি ক্লে কোর্টের সর্বোচ্চ আসর শুরু করলেন।
নাদালের চোটজনিত অনুপস্থিতিতে শীর্ষবাছাই আলকারাজ। ২০২১ এ তৃতীয় রাউন্ড, গতবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন। এবার আরো এগোলে সেমিফাইনালে নোভাক জকোভিচের সংগে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা।
সে দেখা যাবে। আপাতত দ্বিতীয় রাউন্ডে আলকারাজকে টপকাতে হবে জাপানের টি. দানিয়লেকে।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখতে কুমিল্লায় উড়ে গেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে ম্যাচটি। সালাউদ্দিন ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে কুমিল্লায় পৌঁছান।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় পাড়ি দিতে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে সালাউদ্দিন দূরত্বটা পাড়ি দিয়েছেন হেলিকপ্টারে করে। যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
টাকার অভাবে কদিন আগে নারী ফুটবলারদের অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি বাফুফে। অথচ ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যেতে বাফুফে সভাপতি বেছে নিলেন হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে কুমিল্লার এই যাত্রায় বাফুফে সভাপতির সঙ্গী হয়েছেন সংস্থার নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
ফ্যাটি লিভার রোগটি এখন ঘরে ঘরে। প্রাথমিকভাবে এই রোগের লক্ষণ না বুঝতে পারলে, অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা জানান, এই রোগ থেকে বাঁচতে জীবনধারায় বদল আনতে হবে।
কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন? শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, হঠাৎ ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া, হলুদ রঙের দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব, ওজন অত্যন্ত বেড়ে যাওয়া, সারাক্ষণ ক্লান্তিভাব— এই উপসর্গগুলি ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ হতে পারে। অনেকের ধারণা, মদ্যপান করলেই এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তবে কেবল মদ্যপান ছেড়ে দিলেই এই রোগের ঝুঁকি কমবে না। কম তেলমশলার খাবার খাওয়া, বাড়ির খাবারে অভ্যস্ত হওয়া, মদ ছেড়ে দেওয়া— এই অভ্যাসগুলিই লিভারকে ভাল রাখার অন্যতম উপায়। এই অসুখকে ঠেকিয়ে রাখতে ডায়েটের ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে। তবে এগুলিই শেষ কথা নয়। লিভার ভাল রাখতে মেনে চলতে হয় আরও কিছু নিয়মকানুন। কিন্তু কী কী?
চিনির মাত্রা কমানো
সহজে রোগা হতে চেয়ে অনেকেই নিজের খুশি মতো ডায়েট প্ল্যান বানিয়ে নেন। চিনি বাদ দিয়ে দেদারে কৃত্রিম চিনির উপরেই ভরসা করেন। এতেই আসলে চরম ক্ষতি করছেন শরীরের। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের লিভারের ব্যাপক ক্ষতি করে। ফ্রুকটোজ হোক কিংবা কৃত্রিম চিনি, লিভারের অসুখ ডেকে আনে।
ব্যথার ওষুধ কম খান
বেশকিছু বেদনানাশক ওষুধ লিভারের ক্ষতি করে। কিছু প্যারাসিটামল বা কোলেস্টেরলের ওষুধও লিভারের প্রভূত ক্ষতি করে। ঘুম না হলে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ খেতে শুরু করেন। এই অভ্যাসের কারণে লিভারের জটিল রোগে ভুগতে হতে পারে।
পানি বেশি করে খান
শরীর থেকে যতটা দূষিত পদার্থ বার করে দিতে পারবেন, লিভার ততটাই সুস্থ থাকবে। তাই বেশি করে পানি খেতে হবে। তবেই প্রস্রাবের সঙ্গে শরীরের টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যাবে। দিনে কয়েক বার গরম পানিতে পাতিলেবুর রস দিয়ে সেই পানি খান। ডায়েটে রাখুন টক দইয়ের মতো প্রোবায়োটিক।
পর্যাপ্ত ঘুম
সারাদিন কর্মব্যস্ততা আর রাত জেগে মোবাইলে চোখ রেখে সিনেমা দেখা— সব মিলিয়ে ঘুমের সঙ্গে আপস। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ঘুমের অভাব হলে তার প্রভাব পড়ে লিভারের উপরেও।
ওজন কমান
শুধু সুন্দর দেখানোর জন্যই নয়, লিভার সুরক্ষিত রাখতে চাইলেও কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আমাদের শরীরে কার্বহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাটের সঠিক ভারসাম্য থাকা ভীষণ জরুরি। তবে ইদানিং বাড়ির খাবার নয়, বরং রেস্তোরাঁর খাবার, রেড মিট, বাইরের ভাজাভুজি, প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খেয়ে অভ্যস্ত। আর এর জেরেই শরীরে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়ছে। লিভারের পক্ষে এই ফ্যাট মোটেই ভাল নয়।
আইপিএলের পঞ্চম শিরোপা জিততে চেন্নাই সুপার কিংসের চাই ১৫ ওভারে ১৭১ রান। আহমেদাবাদে রাত ১২.৪০ মিনিটে শুরু হবে খেলা। গুজরাট টাইট্যান্সের ২১৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৩ বলে ৪ রান করার পর বৃ্স্টিতে বন্ধ হয় ফাইনাল। অর্থাৎ বাকি ১৪.৩ ওভারে আরো ১৬৭ রান চাই ধোনীর দলের।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) নির্মিত হয়েছে বিশেষ কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান ‘ও ভোরের পাখি’। ঈমাম হোসাইনের প্রযোজনায় এটি উপস্থাপনা করেছেন তামান্ন তিথি। অনুষ্ঠানটিতে আবৃত্তি করেছেন আশরাফুল আলম, মীর বরকত, রফিকুল ইসলাম, পলি পারভিন, শাকিলা মতিন মৃদুলা, মাসকুর-এ সাত্তার কল্লোল, আসলাম শিশির, সংগীতা চৌধুরী, আহসান উল্লাহ তমাল। প্রচারিত হয় ২৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায়।
এছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আমারে দেবো না ভুলিতে’। অনুষ্ঠানটিতে গান, কবিতা ও আলোচনার সমন্বয়ে কবিকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বাচিকশিল্পীদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। ইয়াসমিন মুসতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, শেলু বড়ুয়া, ছন্দা চক্রবর্ত্তী ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন প্রফেসর মুন্সী আবু সাইফ। মনিরুল হাসানের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে ২৫ মে দুপুর ১ টা ০৫ মিনিটে। আরও প্রচারিত হবে সংগীতানুষ্ঠান ‘দোলনচাঁপা’ ও ‘সন্ধ্যামালতী’। রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটক ‘বনের পাপিয়া’ (পুনপ্রচার)।