চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার সর্বোচ্চ সাজা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ অক্টোবর, ২০১৮ ১৪:১৬
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এই মামলায় প্রচলিত আইনে এটিই সর্বোচ্চ সাজা।
অন্য মামলায় সাজাভোগরত খালেদা জিয়া ছাড়াও তিন আসামিকে একই শাস্তি দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান এবং হারিস চৌধুরীর একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না।
ক্ষমতার অপব্যবহারসহ ১৫টি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সোমবার পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
ক্ষমতার সর্বোচ্চ পদে থেকে এ ধরনের অপরাধ যেন কেউ না করে, সে জন্য কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত বলেও রায়ের পর্যবেক্ষণে মন্তব্য করে এই আদালত।
এদিকে রায় ঘোষণার সময় আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজলসহ আরও কয়েকজন প্রসিকিউটর।
এর আগে কারাবন্দি অসুস্থ খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই মামলার বিচার চলবে বলে জানিয়ে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করেছিলেন খালেদার আইনজীবীরা। সে বিষয়ে শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচাপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার তা খারিজ করে দেয়।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে আবেদন করে বলেন, খালেদা জিয়াসহ মামলার অপর আসামিদের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন না। খালেদা জিয়া আদালতে আসতে চান না। তাই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ চেয়ে আবেদন করেন তিনি।
এরপর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে তার আইনজীবীদের করা আবেদন ১৭ অক্টোবর নাকচ করে দিয়ে ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন বিচারক।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় একই আদালতে পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া প্রায় আট মাস কারাগারে আছেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারাসেলে চিকিৎসাধীন।
মামলার অভিযোগে কী বলা হয়েছে?
দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে বলে মামালার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ টাকার কোনো উৎস তারা দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ অক্টোবর, ২০১৮ ১৪:১৬

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এই মামলায় প্রচলিত আইনে এটিই সর্বোচ্চ সাজা।
অন্য মামলায় সাজাভোগরত খালেদা জিয়া ছাড়াও তিন আসামিকে একই শাস্তি দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান এবং হারিস চৌধুরীর একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না।
ক্ষমতার অপব্যবহারসহ ১৫টি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সোমবার পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
ক্ষমতার সর্বোচ্চ পদে থেকে এ ধরনের অপরাধ যেন কেউ না করে, সে জন্য কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত বলেও রায়ের পর্যবেক্ষণে মন্তব্য করে এই আদালত।
এদিকে রায় ঘোষণার সময় আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজলসহ আরও কয়েকজন প্রসিকিউটর।
এর আগে কারাবন্দি অসুস্থ খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই মামলার বিচার চলবে বলে জানিয়ে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করেছিলেন খালেদার আইনজীবীরা। সে বিষয়ে শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচাপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার তা খারিজ করে দেয়।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে আবেদন করে বলেন, খালেদা জিয়াসহ মামলার অপর আসামিদের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন না। খালেদা জিয়া আদালতে আসতে চান না। তাই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ চেয়ে আবেদন করেন তিনি।
এরপর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে তার আইনজীবীদের করা আবেদন ১৭ অক্টোবর নাকচ করে দিয়ে ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন বিচারক।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় একই আদালতে পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া প্রায় আট মাস কারাগারে আছেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারাসেলে চিকিৎসাধীন।
মামলার অভিযোগে কী বলা হয়েছে?
দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে বলে মামালার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ টাকার কোনো উৎস তারা দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।