উইলস লিটল ফ্লাওয়ার ছাত্রী রিশা হত্যায় আসামির মৃত্যুদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ অক্টোবর, ২০১৯ ১৯:২৭
রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলার আসামি ওবায়দুল খানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিনি এ মামলার একমাত্র আসামি।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আসামি ওবায়দুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, রায় ঘোষণা উপলক্ষে ওবায়দুলকে সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
রিশার হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে রায় ঘোষণার আগে আদালত প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা মানববন্ধন করেন।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ওবায়দুলের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় রিশা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট তার মৃত্যু হয়। রিশা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এ ঘটনায় ওই দিন রিশার মা তানিয়া বেগম বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। পরে রিশা মারা গেলে এটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়। পুলিশ ওই বছরের ৩১ আগস্ট নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার করে আসামি ওবায়দুলকে। তিনি রিশাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর ওই বছরের ১৪ নভেম্বর রমনা থানার পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়।
২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল রিশা হত্যা মামলার একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু করেন আদালত।
গত ১১ সেপ্টেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হলে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন আদালত। ৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন আসামি না আসায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ১০ অক্টোবর ধার্য করেন আদালত।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ অক্টোবর, ২০১৯ ১৯:২৭

রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলার আসামি ওবায়দুল খানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিনি এ মামলার একমাত্র আসামি।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আসামি ওবায়দুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, রায় ঘোষণা উপলক্ষে ওবায়দুলকে সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
রিশার হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে রায় ঘোষণার আগে আদালত প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা মানববন্ধন করেন।
২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট ওবায়দুলের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় রিশা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট তার মৃত্যু হয়। রিশা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এ ঘটনায় ওই দিন রিশার মা তানিয়া বেগম বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। পরে রিশা মারা গেলে এটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়। পুলিশ ওই বছরের ৩১ আগস্ট নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার করে আসামি ওবায়দুলকে। তিনি রিশাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর ওই বছরের ১৪ নভেম্বর রমনা থানার পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়।
২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল রিশা হত্যা মামলার একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু করেন আদালত।
গত ১১ সেপ্টেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হলে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন আদালত। ৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন আসামি না আসায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ১০ অক্টোবর ধার্য করেন আদালত।