মানবতাবিরোধী অপরাধ: এনএসআইয়ের সাবেক প্রধান
ওয়াহিদুল হকের বিচার শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ অক্টোবর, ২০১৯ ০১:১৪
একাত্তরে হত্যা ও গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের (৭০) বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৪ নভেম্বর দিন ঠিক করে দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম দেশ রূপান্তরকে জানান, বিচারকালে ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে ৫৪ জন সাক্ষ্য দেবেন। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে আরও ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও মোখলেসুর রহমান বাদল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার ও সৈয়দ মিজানুর রহমান।
প্রসিকিউশন জানায়, ১৯৬৬ সালের অক্টোবরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ওয়াহিদুল হক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি রংপুর সেনানিবাসে ২৯ ক্যাভালরি রেজিমেন্টের অ্যাডজুট্যান্টের দায়িত্বে ছিলেন। একই বছরের ২৮ মার্চ বিকেলে ওয়াহিদুল হকের নেতৃত্বে চারটি সামরিক জিপে মেশিনগান লাগিয়ে গুলিবর্ষণ করে রংপুর সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকায় ৫০০-৬০০ স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে হত্যা, গণহত্যা ও অসংখ্য মানুষকে গুরুতর আহত করার পাশাপাশি তাদের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে দেশে ফেরেন ওয়াহিদুল হক। পরে ১৯৭৬ সালে পুলিশে যোগ দেন তিনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে পুলিশের উচ্চপদে থেকে ১৯৯৬ সালে তিনি এনএসআইর ভারপ্রাপ্ত ডিজি ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজি হন। ২০০৫ সালে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে অবসর নেন ওয়াহিদুল হক।
গত বছর ২৪ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর রাজধানীর বারিধারার বাসা থেকে ওয়াহিদুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে কারাগারে তিনি। সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত সম্পন্ন করে গত বছর ৩০ অক্টোবর প্রসিকিউশনে দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। পরে গত ৪ মার্চ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৭ অক্টোবর, ২০১৯ ০১:১৪

একাত্তরে হত্যা ও গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের (৭০) বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৪ নভেম্বর দিন ঠিক করে দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম দেশ রূপান্তরকে জানান, বিচারকালে ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে ৫৪ জন সাক্ষ্য দেবেন। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে আরও ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও মোখলেসুর রহমান বাদল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার ও সৈয়দ মিজানুর রহমান।
প্রসিকিউশন জানায়, ১৯৬৬ সালের অক্টোবরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ওয়াহিদুল হক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি রংপুর সেনানিবাসে ২৯ ক্যাভালরি রেজিমেন্টের অ্যাডজুট্যান্টের দায়িত্বে ছিলেন। একই বছরের ২৮ মার্চ বিকেলে ওয়াহিদুল হকের নেতৃত্বে চারটি সামরিক জিপে মেশিনগান লাগিয়ে গুলিবর্ষণ করে রংপুর সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকায় ৫০০-৬০০ স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে হত্যা, গণহত্যা ও অসংখ্য মানুষকে গুরুতর আহত করার পাশাপাশি তাদের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে দেশে ফেরেন ওয়াহিদুল হক। পরে ১৯৭৬ সালে পুলিশে যোগ দেন তিনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে পুলিশের উচ্চপদে থেকে ১৯৯৬ সালে তিনি এনএসআইর ভারপ্রাপ্ত ডিজি ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজি হন। ২০০৫ সালে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে অবসর নেন ওয়াহিদুল হক।
গত বছর ২৪ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর রাজধানীর বারিধারার বাসা থেকে ওয়াহিদুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে কারাগারে তিনি। সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত সম্পন্ন করে গত বছর ৩০ অক্টোবর প্রসিকিউশনে দাখিল করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। পরে গত ৪ মার্চ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।