গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
শরীয়তপুর প্রতিনিধি | ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ১৭:৪৮
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. ছালাম খান বুধবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা করে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মধ্য কোদালপুর গ্রামের মৃত লুৎফুল খবিরের ছেলে মো. মোর্শেদ উকিল (৫৬), ডামুড্যা উপজেলার চর ঘরোয়া গ্রামের মৃত খোরশেদ মুতাইতের ছেলে আব্দুল হক মুতাইত (৪২) ও দাইমী চর ভয়রা গ্রামের মৃত মজিত মুতাইতের ছেলে মো. জাকির হোসেন মুতাইত (৩৩)।
রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অন্য নয় আসামি দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ডামুড্যা উপজেলার চরভয়রা উকিলপাড়া গ্রামের গৃহবধূ (৪০) পাশের বাড়িতে মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে আর ঘরে ফিরে আসেননি। ওই রাতে মোর্শেদ, আব্দুল হক ও জাকির তাকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। পরে মাথায় আঘাত দিয়ে আহত করে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর ওই গ্রামের মজিবর চোকদারের দোচালা টিনের ঘরে লাশ ফেলে যায়। পরদিন সকালে পুলিশ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতপালে পাঠায়। পরে ওই দিন গৃহবধূর স্বামী ডামুড্যা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর পর্যায়ক্রমে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। মোর্শেদ, আব্দুল হক ও জাকির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
তদন্ত শেষে ডামুড্যা থানার পুলিশ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর নয়জনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
অপর দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল আউয়ালসহ অন্যান্য আইনজীবীরা জানান, তারা রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
শরীয়তপুর প্রতিনিধি | ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ১৭:৪৮

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. ছালাম খান বুধবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা করে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মধ্য কোদালপুর গ্রামের মৃত লুৎফুল খবিরের ছেলে মো. মোর্শেদ উকিল (৫৬), ডামুড্যা উপজেলার চর ঘরোয়া গ্রামের মৃত খোরশেদ মুতাইতের ছেলে আব্দুল হক মুতাইত (৪২) ও দাইমী চর ভয়রা গ্রামের মৃত মজিত মুতাইতের ছেলে মো. জাকির হোসেন মুতাইত (৩৩)।
রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অন্য নয় আসামি দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ডামুড্যা উপজেলার চরভয়রা উকিলপাড়া গ্রামের গৃহবধূ (৪০) পাশের বাড়িতে মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে আর ঘরে ফিরে আসেননি। ওই রাতে মোর্শেদ, আব্দুল হক ও জাকির তাকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। পরে মাথায় আঘাত দিয়ে আহত করে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর ওই গ্রামের মজিবর চোকদারের দোচালা টিনের ঘরে লাশ ফেলে যায়। পরদিন সকালে পুলিশ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতপালে পাঠায়। পরে ওই দিন গৃহবধূর স্বামী ডামুড্যা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর পর্যায়ক্রমে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। মোর্শেদ, আব্দুল হক ও জাকির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
তদন্ত শেষে ডামুড্যা থানার পুলিশ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর নয়জনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
অপর দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল আউয়ালসহ অন্যান্য আইনজীবীরা জানান, তারা রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।