সাড়ে ৪৮ হাজার শিক্ষকের ‘টাইম স্কেল’-এর রিট মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:০১
চাকরি জাতীয়করণ হওয়ার পর সাড়ে ৪৮ হাজারের বেশি প্রাথমিক শিক্ষকের ভোগ করা টাইম স্কেলের সুবিধা ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনটি হাইকোর্টে নিষ্পত্তির আদেশ এসেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে।
এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত ভাচুয়াল আপিল বিভাগ আবেদনটি নিষ্পত্তির এ নির্দেশ দেয়। শুনানির জন্য বিচারপতি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
ভিডিও কনফারেন্সে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোকছেদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছিল, যে টাইম স্কেলটা দেওয়া হচ্ছে সেটি সঠিকভাবে দেওয়া হয়নি। এ বিষয়টিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। আপিল বিভাগ একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত রিট আবেদনটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে প্রাথমিক শিক্ষক সমাবেশে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১ লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। ঘোষণা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির আদেশে পরিপত্র ও গেজেট প্রকাশিত হয়। এর ভিত্তিতে জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকরা সরকারের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছিলেন। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় গত বছরের ১২ আগস্ট ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে। এমন সিদ্ধা‡ন্তর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট এক আদেশে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুল দেয়।
হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত এক আদেশে হাইকোর্টের আদেশটির ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। এরপর চেম্বার আদালতের আদেশ বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রিট আবেদনকারী পক্ষ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:০১

চাকরি জাতীয়করণ হওয়ার পর সাড়ে ৪৮ হাজারের বেশি প্রাথমিক শিক্ষকের ভোগ করা টাইম স্কেলের সুবিধা ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনটি হাইকোর্টে নিষ্পত্তির আদেশ এসেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে।
এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত ভাচুয়াল আপিল বিভাগ আবেদনটি নিষ্পত্তির এ নির্দেশ দেয়। শুনানির জন্য বিচারপতি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
ভিডিও কনফারেন্সে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোকছেদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছিল, যে টাইম স্কেলটা দেওয়া হচ্ছে সেটি সঠিকভাবে দেওয়া হয়নি। এ বিষয়টিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। আপিল বিভাগ একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত রিট আবেদনটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে প্রাথমিক শিক্ষক সমাবেশে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১ লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। ঘোষণা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির আদেশে পরিপত্র ও গেজেট প্রকাশিত হয়। এর ভিত্তিতে জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকরা সরকারের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে আসছিলেন। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় গত বছরের ১২ আগস্ট ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে। এমন সিদ্ধা‡ন্তর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট এক আদেশে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুল দেয়।
হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত এক আদেশে হাইকোর্টের আদেশটির ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। এরপর চেম্বার আদালতের আদেশ বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রিট আবেদনকারী পক্ষ।