জামিন দেওয়ার ক্ষমতা ও এখতিয়া একমাত্র আদালতের: ডিএজি রূপা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:৩৮
সরকারি আইনজীবীদের কথায় আদালত কাউকে জামিন দেয় না, জামিন দেওয়ার ক্ষমতা ও এখতিয়া একমাত্র আদালতের বলে মন্তব্য করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপা। বুধবার দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব বলেন রূপা।
ঘুষ নিয়ে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া (জিকে) শামীমসহ কয়েক আসামির জামিন করানো ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তাকে বুধবার দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএজি রূপা জামিন জালিয়াতি নিয়ে তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘জামিন দেওয়ার ক্ষমতা ও এখতিয়া একমাত্র আদালতের। জামিন দেওয়ার বিষয়ে বিচারকগণ স্বাধীন। আদালতের বিচারকগণ মামলার গুণাগুণ বিচার করে জামিন দিয়ে থাকেন। এখানে এএজি বা ডিএজির কথায় জামিন দেওয়ার নজির সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে নেই।’
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সম্পর্কে রূপা বলেন, ‘অভিযোগটি সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও প্রোপাগান্ডা, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই বিষয়টি আমি লিখিতভাবে দুদককে জানিয়েছি’।
রূপাকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব মুহা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ গ্রহণ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপাকে তলব করে। তিনি বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যান। আমাদের জানা মতে, আদালত তাকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দুদকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। গত ২৭ জানুয়ারির মধ্যে রূপাকে তলব করে দ্বিতীয়বারের মতো গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে নোটিশ পাঠান অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তদন্ত কর্মকর্তা স্বাধীনভাবে বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন। আমরা প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছি’।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, ক্ষমতার অবব্যহার করে জিকে শামীমসহ কয়েকজনকে জামিন পেতে সহযোগিতার অভিযোগ জমা হয় দুদকে। দুদক বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছরের ৪ নভেম্বর রূপাকে তলবী নোটিশ পাঠায় দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন ডিএজি রূপা। গত ৩ ডিসেম্বর ওই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
ওই সময় রূপা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থাকায় দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে সময় দেয় আদালত।
রূপাকে তলবের নোটিশে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তা বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে ‘ঘুষ গ্রহণ করে’ জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে ‘আঁতাত করা’র মাধ্যমে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:৩৮

সরকারি আইনজীবীদের কথায় আদালত কাউকে জামিন দেয় না, জামিন দেওয়ার ক্ষমতা ও এখতিয়া একমাত্র আদালতের বলে মন্তব্য করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপা। বুধবার দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব বলেন রূপা।
ঘুষ নিয়ে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া (জিকে) শামীমসহ কয়েক আসামির জামিন করানো ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তাকে বুধবার দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএজি রূপা জামিন জালিয়াতি নিয়ে তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘জামিন দেওয়ার ক্ষমতা ও এখতিয়া একমাত্র আদালতের। জামিন দেওয়ার বিষয়ে বিচারকগণ স্বাধীন। আদালতের বিচারকগণ মামলার গুণাগুণ বিচার করে জামিন দিয়ে থাকেন। এখানে এএজি বা ডিএজির কথায় জামিন দেওয়ার নজির সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে নেই।’
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সম্পর্কে রূপা বলেন, ‘অভিযোগটি সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও প্রোপাগান্ডা, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই বিষয়টি আমি লিখিতভাবে দুদককে জানিয়েছি’।
রূপাকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব মুহা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ গ্রহণ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপাকে তলব করে। তিনি বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে যান। আমাদের জানা মতে, আদালত তাকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দুদকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। গত ২৭ জানুয়ারির মধ্যে রূপাকে তলব করে দ্বিতীয়বারের মতো গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে নোটিশ পাঠান অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তদন্ত কর্মকর্তা স্বাধীনভাবে বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন। আমরা প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছি’।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, ক্ষমতার অবব্যহার করে জিকে শামীমসহ কয়েকজনকে জামিন পেতে সহযোগিতার অভিযোগ জমা হয় দুদকে। দুদক বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছরের ৪ নভেম্বর রূপাকে তলবী নোটিশ পাঠায় দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন ডিএজি রূপা। গত ৩ ডিসেম্বর ওই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
ওই সময় রূপা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থাকায় দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে সময় দেয় আদালত।
রূপাকে তলবের নোটিশে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রের এই আইন কর্মকর্তা বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে ‘ঘুষ গ্রহণ করে’ জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে ‘আঁতাত করা’র মাধ্যমে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।