পিপলস লিজিংয়ের ২৮০ ঋণখেলাপিকে তলব হাইকোর্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:১৬
কানাডায় পালিয়ে থাকা পি কে হালদার সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফএস) থেকে ঋণ নিয়ে কেন তা পরিশোধ করা হয়নি তা জানতে ২৮০ ঋণ গ্রহিতাকে তলব করেছে উচ্চ আদালত। ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
পিপলস লিজিং অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সংস্থাটির সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের দাখিলকৃত তালিকা উপস্থাপনের পর নজিরবিহীন এ আদেশ আসে। কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছেন এমন ২৮০ জনকে তলব করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
অবসায়ক মো. আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম। মেজবাহুর রহমান দেশ রূপান্তরকে জানান, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হাইকোর্টে আবেদন করে। ওই দিন হাইকোর্ট আবেদনটি গ্রহণ করে সাময়িক অবসায়ককে তলব করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এ-সংক্রান্ত বেশ কিছু আদেশ হয় হাইকোর্ট থেকে। গত বছরের নভেম্বরে আদালত অবসায়ককে পিপলস লিজিংয়ের ঋণ গ্রহিতাদের একটি তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেয়। গত ২৩ নভেম্বর আদালতে তালিকা উপস্থাপন করেন। পরে হাইকোর্ট প্রায় ৫০০ জন ঋন গ্রহিতাদের মধ্যে থেকে যাদের ঋনের পরিমাণ ৫ লাখ টাকা এবং এর বেশি তাদের একটি তালিকা তৈরি করেন। এর মধ্যে ঋণখেলাপি হিসেবে ২৮০ জনের নাম আসে। এই খেলাপিদের কারণ দর্শানোর নির্দেশসহ ২৩ ফেব্রুয়ারি হাজির হতে তলব করা হয়েছে।
আদেশটি নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আদালত ওই দিন সবাইকে একসঙ্গে আসতে বলেছেন। এখন কীভাবে তাদের বক্তব্য শুনবে সেটি আদালতই নির্ধারণ করবেন।’
অর্থপাচার করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার আগে পি কে হালদারের নিয়ন্ত্রণাধীন চারটি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একটি পিপলস লিজিং। আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটিকে ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে লোকসান গুণতে থাকে সংস্থাটি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির আমানত দেখানো হয় ২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। আর ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৪৮ কোটি টাকা খেলাপি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:১৬

কানাডায় পালিয়ে থাকা পি কে হালদার সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফএস) থেকে ঋণ নিয়ে কেন তা পরিশোধ করা হয়নি তা জানতে ২৮০ ঋণ গ্রহিতাকে তলব করেছে উচ্চ আদালত। ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
পিপলস লিজিং অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সংস্থাটির সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের দাখিলকৃত তালিকা উপস্থাপনের পর নজিরবিহীন এ আদেশ আসে। কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছেন এমন ২৮০ জনকে তলব করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
অবসায়ক মো. আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম। মেজবাহুর রহমান দেশ রূপান্তরকে জানান, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হাইকোর্টে আবেদন করে। ওই দিন হাইকোর্ট আবেদনটি গ্রহণ করে সাময়িক অবসায়ককে তলব করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এ-সংক্রান্ত বেশ কিছু আদেশ হয় হাইকোর্ট থেকে। গত বছরের নভেম্বরে আদালত অবসায়ককে পিপলস লিজিংয়ের ঋণ গ্রহিতাদের একটি তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেয়। গত ২৩ নভেম্বর আদালতে তালিকা উপস্থাপন করেন। পরে হাইকোর্ট প্রায় ৫০০ জন ঋন গ্রহিতাদের মধ্যে থেকে যাদের ঋনের পরিমাণ ৫ লাখ টাকা এবং এর বেশি তাদের একটি তালিকা তৈরি করেন। এর মধ্যে ঋণখেলাপি হিসেবে ২৮০ জনের নাম আসে। এই খেলাপিদের কারণ দর্শানোর নির্দেশসহ ২৩ ফেব্রুয়ারি হাজির হতে তলব করা হয়েছে।
আদেশটি নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আদালত ওই দিন সবাইকে একসঙ্গে আসতে বলেছেন। এখন কীভাবে তাদের বক্তব্য শুনবে সেটি আদালতই নির্ধারণ করবেন।’
অর্থপাচার করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার আগে পি কে হালদারের নিয়ন্ত্রণাধীন চারটি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একটি পিপলস লিজিং। আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটিকে ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে লোকসান গুণতে থাকে সংস্থাটি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির আমানত দেখানো হয় ২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। আর ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৪৮ কোটি টাকা খেলাপি।