অর্থপাচার মামলায় সম্রাট-আরমানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৪ মার্চ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩ মার্চ, ২০২১ ১৪:২১
অর্থপাচার মামলায় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৪ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা আজ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে অর্জিত ১৯৫ কোটি টাকা সহযোগী মো. এনামুল হক আরমানের সহায়াতায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন।
তিনি আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা এনামুল হক আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন।
আসামিদের বিদেশ গমনের তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায়, সম্রাট ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিন বার, দুবাই দু’বার এবং একবার হংকং ভ্রমণ করেছেন। একই সময়ে আরমান ২৩ বার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেছেন।
২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম উঠে আসে। এ সময় তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ওই দিন দুপুর দুইটার দিকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে।
কার্যালয়ে অবৈধভাবে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩ মার্চ, ২০২১ ১৪:২১

অর্থপাচার মামলায় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৪ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা আজ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে অর্জিত ১৯৫ কোটি টাকা সহযোগী মো. এনামুল হক আরমানের সহায়াতায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন।
তিনি আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা এনামুল হক আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন।
আসামিদের বিদেশ গমনের তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায়, সম্রাট ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিন বার, দুবাই দু’বার এবং একবার হংকং ভ্রমণ করেছেন। একই সময়ে আরমান ২৩ বার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেছেন।
২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম উঠে আসে। এ সময় তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ওই দিন দুপুর দুইটার দিকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে।
কার্যালয়ে অবৈধভাবে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।