মসজিদে শিশু ধর্ষণ: মাদ্রাসা শিক্ষকের ৮ বছর কারাদণ্ড
জামালপুর প্রতিনিধি | ১১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৫২
জামালপুরে মসজিদের ভেতরে শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে মাদ্রাসা শিক্ষককে আট বছরের সশ্রম কারাদাণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামের বাবা ও মা ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করায় তাদের পাঁচ বছর বয়সের মেয়ে নানীর কাছে থাকত। ওই শিশুকে একটি জামে মসজিদে মসজিদভিত্তিক শিশু শিক্ষালয়ে ভর্তি করা হয়। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সকালে শিক্ষালয়ের হুজুর মনিরুল ইসলাম সব ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে ওই শিশুকে মসজিদে ধর্ষণ করে।
পরে ওই শিশুর নানী বাদী হয়ে মনিরুল ইসলামকে আসামি করে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আসামি মনিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদয়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পিপি মোহাম্মদ আকরাম হোসেন ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. রেজাউল আমিন শামীম।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
জামালপুর প্রতিনিধি | ১১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৫২

জামালপুরে মসজিদের ভেতরে শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে মাদ্রাসা শিক্ষককে আট বছরের সশ্রম কারাদাণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামের বাবা ও মা ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করায় তাদের পাঁচ বছর বয়সের মেয়ে নানীর কাছে থাকত। ওই শিশুকে একটি জামে মসজিদে মসজিদভিত্তিক শিশু শিক্ষালয়ে ভর্তি করা হয়। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সকালে শিক্ষালয়ের হুজুর মনিরুল ইসলাম সব ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে ওই শিশুকে মসজিদে ধর্ষণ করে।
পরে ওই শিশুর নানী বাদী হয়ে মনিরুল ইসলামকে আসামি করে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আসামি মনিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদয়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পিপি মোহাম্মদ আকরাম হোসেন ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. রেজাউল আমিন শামীম।