মামুনুল হক: ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ সভাপতিসহ ৩ জনের সাক্ষ্য
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:০৫
হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় করা ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সহ ৩জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এ সময় মামুনুল হক কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য শুনেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে ধর্ষণ মামলায় তৃতীয় দফায় এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।
এরআগে সকাল ৯টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়।
এদিকে মামুনুল হকের সঙ্গে তার ছোট ভাই, ছোট বোন, ভাগনে সহ পরিবারের অনেকেই সাক্ষাত করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ রকিব বলেন, রয়েল রিসোর্টের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান, আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেন ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু সাক্ষী দিয়েছেন। তারা তিনজনই ঘটনার দিনের নানা বিষয় তুলে ধরে সাক্ষী দিয়েছেন।
মামুনুল হকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক। সহযোগীতায় ছিলেন অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা। ওমর ফারুক বলেন, প্রথম দফায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বাদী। দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩ জন। তৃতীয় দফায় ৩ জন। এ নিয়ে মামলায় ৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীদের আমরা জেরা করেছি।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-ক সার্কেল নাজমুল আলম জানান, পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্যসহ তিন স্তরের নিরাপত্তায় মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ফের কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতা কর্মী ও সমর্থকেরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী।
তবে, ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:০৫

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় করা ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সহ ৩জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এ সময় মামুনুল হক কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য শুনেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে ধর্ষণ মামলায় তৃতীয় দফায় এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।
এরআগে সকাল ৯টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়।
এদিকে মামুনুল হকের সঙ্গে তার ছোট ভাই, ছোট বোন, ভাগনে সহ পরিবারের অনেকেই সাক্ষাত করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ রকিব বলেন, রয়েল রিসোর্টের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান, আনসার সদস্য ইসমাইল হোসেন ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু সাক্ষী দিয়েছেন। তারা তিনজনই ঘটনার দিনের নানা বিষয় তুলে ধরে সাক্ষী দিয়েছেন।
মামুনুল হকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক। সহযোগীতায় ছিলেন অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা। ওমর ফারুক বলেন, প্রথম দফায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বাদী। দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩ জন। তৃতীয় দফায় ৩ জন। এ নিয়ে মামলায় ৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীদের আমরা জেরা করেছি।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-ক সার্কেল নাজমুল আলম জানান, পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্যসহ তিন স্তরের নিরাপত্তায় মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ফের কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতা কর্মী ও সমর্থকেরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী।
তবে, ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।