জুরাইনে পাভেল হত্যায় জড়িত সবাই কিশোর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:২৬
নিহত শেখ ইসলাম পাভেল
রাজধানীর জুরাইনে বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শেখ ইসলাম পাভেল হত্যায় জড়িত সবাই কিশোর বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, জড়িতরা ‘কিশোর গ্যাংস্টার’ গ্রুপের সদস্য। তবে পুলিশ বলছে, এ ধরনের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ছুরিকাঘাতে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের প্রত্যকের বয়স ১৪-১৫ বছরের মধ্যে। তারা সবাই নিহত পাভেলের প্রতিবেশী। ঘটনার পরপরই তারা পালিয়ে যায়।
ছুরিকাঘাতে জড়িত কিশোর অপরাধীদের কোনো সংগঠন বা গ্রুপ আছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই। সাময়িক উত্তেজনার বশেই তারা পাভেলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেছে।
এদিকে নিহতের বাবা মনির শিকদার গত রোববার রাতে ৫-৬ জনকে আসামি করে শ্যামপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। তিনি বলেন, গত মাসেই আমার ছেলের বউ ঘরে তুলেছিলাম। ছেলেকে এমনভাবে যারা হত্যা করলো তাদের শাস্তি চাই।
নিহতের বন্ধু হিমু দেশ রূপান্তরকে জানান, ছুরিকাঘাতে অংশ নেওয়া গ্রুপে মাসুম, বাঘা তুহিন, ইরফান ও রাব্বীসহ ছয়জন ছিল। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৪-১৬ বছরের মধ্যে। এরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজগামী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে আসছে। বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবনসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়। পাভেলের আরেক বন্ধু রবিন জানান, এই গ্রুপের সবাই ছিল বেপরোয়া।
গত শনিবার রাতে শ্যামপুরের জুরাইনের দনিয়া কলেজের বিপরীত পাশের রাস্তায় পাভেলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে মারা যান তিনি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:২৬

রাজধানীর জুরাইনে বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শেখ ইসলাম পাভেল হত্যায় জড়িত সবাই কিশোর বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, জড়িতরা ‘কিশোর গ্যাংস্টার’ গ্রুপের সদস্য। তবে পুলিশ বলছে, এ ধরনের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
শ্যামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ছুরিকাঘাতে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের প্রত্যকের বয়স ১৪-১৫ বছরের মধ্যে। তারা সবাই নিহত পাভেলের প্রতিবেশী। ঘটনার পরপরই তারা পালিয়ে যায়।
ছুরিকাঘাতে জড়িত কিশোর অপরাধীদের কোনো সংগঠন বা গ্রুপ আছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই। সাময়িক উত্তেজনার বশেই তারা পাভেলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেছে।
এদিকে নিহতের বাবা মনির শিকদার গত রোববার রাতে ৫-৬ জনকে আসামি করে শ্যামপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। তিনি বলেন, গত মাসেই আমার ছেলের বউ ঘরে তুলেছিলাম। ছেলেকে এমনভাবে যারা হত্যা করলো তাদের শাস্তি চাই।
নিহতের বন্ধু হিমু দেশ রূপান্তরকে জানান, ছুরিকাঘাতে অংশ নেওয়া গ্রুপে মাসুম, বাঘা তুহিন, ইরফান ও রাব্বীসহ ছয়জন ছিল। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৪-১৬ বছরের মধ্যে। এরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজগামী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে আসছে। বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবনসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়। পাভেলের আরেক বন্ধু রবিন জানান, এই গ্রুপের সবাই ছিল বেপরোয়া।
গত শনিবার রাতে শ্যামপুরের জুরাইনের দনিয়া কলেজের বিপরীত পাশের রাস্তায় পাভেলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে মারা যান তিনি।