মেয়েকে এক বছর ধরে ধর্ষণ: সৎ বাবা গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ মে, ২০১৯ ১৯:৩৭
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মকবুল হোসেন (৪৫)। শুক্রবার সকালে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়া শাপলা মোড়ে ইউনুছের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তুরাগ থানার কর্তব্যরত এস আই মোজাম্মেল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মকবুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের জন্মদাতা বাবা তুরাগ থানায় মামলা করেন।
মামলার প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ধর্ষণের শিকার মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
মামলার এজাহারে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির উল্লেখ করেন, আমার মেয়ের বয়স ১৮। স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পাঁচ বছর আগে আমাদের বিচ্ছেদ ঘটে। আমার সাবেক স্ত্রী সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার বাসিন্দা মকবুল হোসেনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তুরাগ এলাকার কালিয়ারটেকে মেয়েকে নিয়ে তারা ভাড়া বাসায় ওঠে। মেয়ের মা কাজের জন্য বাইরে বের হলে মকবুল তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতে থাকে।
তিনি জানান, ২০১৮ সালের ২ মার্চ থেকে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বাধ্য হয়ে বিষয়টি আমাকে জানায়। এরপর সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে থানায় মামলা করি।
এস আই মোজাম্মেল হক বলেন, ভিকটিমের মা পোশাক শ্রমিক হওয়ায় তিনি কাজে বের হলে মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে মেয়েটির জন্মদাতা বাবাকে জানায়। মেয়ের সঙ্গে কথা বলে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ মে, ২০১৯ ১৯:৩৭

মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মকবুল হোসেন (৪৫)। শুক্রবার সকালে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়া শাপলা মোড়ে ইউনুছের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তুরাগ থানার কর্তব্যরত এস আই মোজাম্মেল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মকবুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের জন্মদাতা বাবা তুরাগ থানায় মামলা করেন।
মামলার প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ধর্ষণের শিকার মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
মামলার এজাহারে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির উল্লেখ করেন, আমার মেয়ের বয়স ১৮। স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পাঁচ বছর আগে আমাদের বিচ্ছেদ ঘটে। আমার সাবেক স্ত্রী সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার বাসিন্দা মকবুল হোসেনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তুরাগ এলাকার কালিয়ারটেকে মেয়েকে নিয়ে তারা ভাড়া বাসায় ওঠে। মেয়ের মা কাজের জন্য বাইরে বের হলে মকবুল তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতে থাকে।
তিনি জানান, ২০১৮ সালের ২ মার্চ থেকে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বাধ্য হয়ে বিষয়টি আমাকে জানায়। এরপর সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে থানায় মামলা করি।
এস আই মোজাম্মেল হক বলেন, ভিকটিমের মা পোশাক শ্রমিক হওয়ায় তিনি কাজে বের হলে মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে মেয়েটির জন্মদাতা বাবাকে জানায়। মেয়ের সঙ্গে কথা বলে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেন।