ছিনতাইকারীর কবলে পুলিশের এসআই, গ্রেপ্তার ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ জুলাই, ২০১৯ ২০:৩৭
কেএম নূর-ই-আলম নামের এক এসআইকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বজলু আলমগীর, মাসুম বিল্লাহ, মুক্তার হোসেন ও আলী। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১ টি প্রাইভেটকার, ১ টি চাকু, লাঠি ও রড উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে মহাখালী আমতলী ফ্লাইওভারের নিচে এ ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন এসআই কেএম নূর-ই-আলম। ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে ১ টেলিভিশন, ১ টি মোবাইল, পুলিশের পোশাক নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে দেন।
মো. মাহবুব আলম সাংবাদিকদের বলেন, এসআই কেএম নূর-ই-আলম গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই দিন গভীর রাতে আমতলী ফ্লাইওভারের নিচে একটি সিলভার কালারের প্রাইভেট কারে ওঠেন। নেত্রকোনা পর্যন্ত যাবে বলে জন প্রতি ৩০০ টাকা ভাড়া ঠিক হয়। নূর-ই-আলম গাড়িতে ওঠা মাত্রই প্রাইভেট কারের পেছনের দুপাশের দরজা দিয়ে দুজন বসে এবং মাঝখানে তাকে বসিয়ে হাত, পা এবং চোখ বেঁধে ফেলে। ছিনতাইকারীরা তার শরীর তল্লাশি করে মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। মানিব্যাগে থাকা এটিএম কার্ড দিয়ে তারা এটিম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে অ্যাকাউন্টে কোন টাকা না থাকায় এসআই নূর-ই-আলমকে এলোপাথারি মারতে থাকে।
তিনি আরও জানান, কিছু সময় গাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরির পর ছিনতাইকারীরা এসআই নূর-ই-আলমের সমস্ত মালামাল ও নগদ টাকা রেখে দিয়ে তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় প্রাইভেট কার থেকে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। ছিনতাইকারীদের আঘাতে তার বাম চোখ গুরুতর জখম হয়।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাজধানীর বনানী থানায় একটি ছিনতাই মামলা করে নূর-ই-আলম।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ জুলাই, ২০১৯ ২০:৩৭

কেএম নূর-ই-আলম নামের এক এসআইকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বজলু আলমগীর, মাসুম বিল্লাহ, মুক্তার হোসেন ও আলী। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১ টি প্রাইভেটকার, ১ টি চাকু, লাঠি ও রড উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে মহাখালী আমতলী ফ্লাইওভারের নিচে এ ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন এসআই কেএম নূর-ই-আলম। ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে ১ টেলিভিশন, ১ টি মোবাইল, পুলিশের পোশাক নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে দেন।
মো. মাহবুব আলম সাংবাদিকদের বলেন, এসআই কেএম নূর-ই-আলম গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই দিন গভীর রাতে আমতলী ফ্লাইওভারের নিচে একটি সিলভার কালারের প্রাইভেট কারে ওঠেন। নেত্রকোনা পর্যন্ত যাবে বলে জন প্রতি ৩০০ টাকা ভাড়া ঠিক হয়। নূর-ই-আলম গাড়িতে ওঠা মাত্রই প্রাইভেট কারের পেছনের দুপাশের দরজা দিয়ে দুজন বসে এবং মাঝখানে তাকে বসিয়ে হাত, পা এবং চোখ বেঁধে ফেলে। ছিনতাইকারীরা তার শরীর তল্লাশি করে মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। মানিব্যাগে থাকা এটিএম কার্ড দিয়ে তারা এটিম বুথ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে অ্যাকাউন্টে কোন টাকা না থাকায় এসআই নূর-ই-আলমকে এলোপাথারি মারতে থাকে।
তিনি আরও জানান, কিছু সময় গাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরির পর ছিনতাইকারীরা এসআই নূর-ই-আলমের সমস্ত মালামাল ও নগদ টাকা রেখে দিয়ে তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় প্রাইভেট কার থেকে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। ছিনতাইকারীদের আঘাতে তার বাম চোখ গুরুতর জখম হয়।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাজধানীর বনানী থানায় একটি ছিনতাই মামলা করে নূর-ই-আলম।