পরকীয়ায় বাধা পেয়ে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:২১
পরকীয়ার বাধা দেওয়ায় স্ত্রী ও চার মাস বয়সী শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেন সোলেমান হোসেন (৩৫)। ঘটনার ১০ দিন পর জোড়া খুনের হোতা সোলেমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এসব জানান।
পুলিশ সুপার মুক্তাধর জানান, ২০১৩ সালে পারিবারিকভাবে সোলেমানের সঙ্গে খালেদা আক্তার পিংকির বিয়ে হয়। এ দম্পতির ফারিয়া সুলতানা ও সালমা আক্তার জান্নাত নামে দুটি কন্যা সন্তান আছে। ফারিয়া সুলতানার বয়স পাঁচ বছর ও চার মাসের শিশু সালমা আক্তার জান্নাত। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে কাটলেও হঠাৎ সোলেমান পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরকীয়ায় বাধা দিলে গত ৩০ ডিসেম্বর তার স্ত্রী খালেদা আক্তার ও চার মাসের কন্যা সালমা আক্তার জান্নাতকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় সোলায়মান। ৩ জানুয়ারী পিংকির বাবা আব্দুল খালেক দুলাল বাদী হয়ে জামাতাকে আসামি করে রামগড় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, ওই মামলার একমাত্র আসামি সোলায়মানকে সোমবার গভীর রাতে হবিগঞ্জের চুনারঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন সোলেমান। হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নজরে আসার পর থেকে সিআইডি হত্যার রহস্য উদঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু করে। সোলেমান গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলে অপারেটর হিসেবে কাজ করত। ২০১৩ সালে পারিবারিকভাবে তার সঙ্গে পিংকির বিয়ে হয়। বিয়ের পর সোলেমান গ্রামের বাড়িতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। সম্প্রতি এক নারীর সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:২১

পরকীয়ার বাধা দেওয়ায় স্ত্রী ও চার মাস বয়সী শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেন সোলেমান হোসেন (৩৫)। ঘটনার ১০ দিন পর জোড়া খুনের হোতা সোলেমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এসব জানান।
পুলিশ সুপার মুক্তাধর জানান, ২০১৩ সালে পারিবারিকভাবে সোলেমানের সঙ্গে খালেদা আক্তার পিংকির বিয়ে হয়। এ দম্পতির ফারিয়া সুলতানা ও সালমা আক্তার জান্নাত নামে দুটি কন্যা সন্তান আছে। ফারিয়া সুলতানার বয়স পাঁচ বছর ও চার মাসের শিশু সালমা আক্তার জান্নাত। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে কাটলেও হঠাৎ সোলেমান পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরকীয়ায় বাধা দিলে গত ৩০ ডিসেম্বর তার স্ত্রী খালেদা আক্তার ও চার মাসের কন্যা সালমা আক্তার জান্নাতকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় সোলায়মান। ৩ জানুয়ারী পিংকির বাবা আব্দুল খালেক দুলাল বাদী হয়ে জামাতাকে আসামি করে রামগড় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, ওই মামলার একমাত্র আসামি সোলায়মানকে সোমবার গভীর রাতে হবিগঞ্জের চুনারঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন সোলেমান। হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নজরে আসার পর থেকে সিআইডি হত্যার রহস্য উদঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু করে। সোলেমান গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলে অপারেটর হিসেবে কাজ করত। ২০১৩ সালে পারিবারিকভাবে তার সঙ্গে পিংকির বিয়ে হয়। বিয়ের পর সোলেমান গ্রামের বাড়িতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। সম্প্রতি এক নারীর সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।