‘সাধুর চরণধূলি লাগিয়ে’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২৩:২৯
‘সাধুর চরণধূলি লাগিয়ে’ শ্রোতারা উপভোগ করলেন রুবেল সাইদুল আলমের একক লোকসঙ্গীত সন্ধ্যা। বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছিলো একক লোক সঙ্গীত সন্ধ্যার।
‘কবে সাধুর চরণধূলি মোর লাগবে গায়’ শিরোনামে আয়োজিত সঙ্গীত সন্ধ্যায় রুবেল সাইদুল আলমের পরিবেশনায় ছিল সৃষ্টিতত্ত্ব, গুরুতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, বিরহতত্ত্ব, মুর্শিদতত্ত্বসহ বিভিন্ন ভাববাদী গান।
লালন সাঁই, শাহ আব্দুল করিম, রাধা রমন ও উকিল মুন্সি, চাঁন মিয়া ফকির, মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ান, বাউল হালিম চিশতীর জনপ্রিয় গানে শ্রোতারা কণ্ঠ মিলিয়েছেন। মাতিয়ে রেখেছিলেন মিলনায়তন।
কখনো লালই সাঁইয়ের, ‘গুরু আমারে কি রাখবেন আপনার চরণদাসী’ গানে কখনো বা শাহ আব্দুল করিমের ‘প্রাণনাথ ছাড়িয়া যাইওনা মোরে’, কিংবা ‘কেন পিড়িতি বাড়াইলারে বন্ধু’ গানে সুর মিলিয়েছেন শ্রোতারা।
জনপ্রিয় গান ‘গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান’ গানের সময় অনেক ফিরে গিয়েছিলেন শৈশবে। আবার শ্রোতাদের অনেকে উদাসী হয়েছেন রাধা রমনের ‘ভ্রমর কইয়ো গিয়া’ গান পরিবেশনের সময়।
এভাবে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক উকিল মুন্সীর ‘নিলুয়া বাতাসে প্রাণ না জুড়ায়’, বাউল হালিম চিশতির ‘তুমি এমন কইরা ছাইড়া যাইবা দয়াল’, ‘এলাহি আমিন গো আল্লাহ’, ‘ভজ মুর্শিদের চরণ এই বেলা’ ও ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’র মতো জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত গেয়ে মঞ্চ মাতিয়ে রাখেন রুবেল সাইদুল আলম।
তিনি বলেন, লালন সাঁইজির গান হলো জ্ঞান। এ জ্ঞান লাভ করলে ভাব হয়, ভাব করলে লাভ হয়। এ জ্ঞান কিংবা ভাব অর্জন করতে হলে কোনো মসজিদ, মন্দির কিংবা গির্জায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। সৎ গুরুর কৃপা লাভে, নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ দেহে ও সুস্থ শরীরে নিজের ঘরের এক কোণে বসে এ দেহ খাঁচায় যে অচিন পাখি আছে তার সন্ধান করলেই এ জ্ঞান লাভ করা যায়, পাওয়া যায় আপন আপন কেবলা।
রুবেল সাইদুল আলম কর্মজীবনে বাংলাদেশ কাস্টমসের একজন ডেপুটি কমিশনার।
রুবেল সাইদুল আলমের একক সঙ্গীত সন্ধ্যায় এসেছিলন তার সহকর্মী, বন্ধু, স্বজন, বাউল শিল্পীরা।
উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনার জনাব মইনুল খাঁন , কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনার জনাব শওকাত হোসেন, অতিরিক্ত কমিশনার জনাব শামসুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ডেপুটি চিফ জনাব এম এ আখের, বাংলাদেশ বিমানের সাবেক পাইলট জনাব কামাল মাহমুদ, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জনাব এফ এম মাসুদ পারভেজ, মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক জনাব কাজী মুনতাসির মোর্শেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব জনাব আক্তার হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব নাজমুস সাকিব খাঁন, বাংলাদেশ কাস্টমস ও ভ্যাট এর অন্যান্য ডেপুটি কমিশনার, সহকারী কমিশনার, ডেপুটি কর কমিশনার, বাংলাদেশ গণপূর্ত অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ গবেষক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, নাট্যকর্মী ও বাউল সাধক উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২৩:২৯

‘সাধুর চরণধূলি লাগিয়ে’ শ্রোতারা উপভোগ করলেন রুবেল সাইদুল আলমের একক লোকসঙ্গীত সন্ধ্যা। বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছিলো একক লোক সঙ্গীত সন্ধ্যার।
‘কবে সাধুর চরণধূলি মোর লাগবে গায়’ শিরোনামে আয়োজিত সঙ্গীত সন্ধ্যায় রুবেল সাইদুল আলমের পরিবেশনায় ছিল সৃষ্টিতত্ত্ব, গুরুতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, বিরহতত্ত্ব, মুর্শিদতত্ত্বসহ বিভিন্ন ভাববাদী গান।
লালন সাঁই, শাহ আব্দুল করিম, রাধা রমন ও উকিল মুন্সি, চাঁন মিয়া ফকির, মাতাল কবি রাজ্জাক দেওয়ান, বাউল হালিম চিশতীর জনপ্রিয় গানে শ্রোতারা কণ্ঠ মিলিয়েছেন। মাতিয়ে রেখেছিলেন মিলনায়তন।
কখনো লালই সাঁইয়ের, ‘গুরু আমারে কি রাখবেন আপনার চরণদাসী’ গানে কখনো বা শাহ আব্দুল করিমের ‘প্রাণনাথ ছাড়িয়া যাইওনা মোরে’, কিংবা ‘কেন পিড়িতি বাড়াইলারে বন্ধু’ গানে সুর মিলিয়েছেন শ্রোতারা।
জনপ্রিয় গান ‘গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান’ গানের সময় অনেক ফিরে গিয়েছিলেন শৈশবে। আবার শ্রোতাদের অনেকে উদাসী হয়েছেন রাধা রমনের ‘ভ্রমর কইয়ো গিয়া’ গান পরিবেশনের সময়।
এভাবে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক উকিল মুন্সীর ‘নিলুয়া বাতাসে প্রাণ না জুড়ায়’, বাউল হালিম চিশতির ‘তুমি এমন কইরা ছাইড়া যাইবা দয়াল’, ‘এলাহি আমিন গো আল্লাহ’, ‘ভজ মুর্শিদের চরণ এই বেলা’ ও ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’র মতো জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত গেয়ে মঞ্চ মাতিয়ে রাখেন রুবেল সাইদুল আলম।
তিনি বলেন, লালন সাঁইজির গান হলো জ্ঞান। এ জ্ঞান লাভ করলে ভাব হয়, ভাব করলে লাভ হয়। এ জ্ঞান কিংবা ভাব অর্জন করতে হলে কোনো মসজিদ, মন্দির কিংবা গির্জায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। সৎ গুরুর কৃপা লাভে, নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ দেহে ও সুস্থ শরীরে নিজের ঘরের এক কোণে বসে এ দেহ খাঁচায় যে অচিন পাখি আছে তার সন্ধান করলেই এ জ্ঞান লাভ করা যায়, পাওয়া যায় আপন আপন কেবলা।
রুবেল সাইদুল আলম কর্মজীবনে বাংলাদেশ কাস্টমসের একজন ডেপুটি কমিশনার।
রুবেল সাইদুল আলমের একক সঙ্গীত সন্ধ্যায় এসেছিলন তার সহকর্মী, বন্ধু, স্বজন, বাউল শিল্পীরা।
উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনার জনাব মইনুল খাঁন , কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনার জনাব শওকাত হোসেন, অতিরিক্ত কমিশনার জনাব শামসুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ডেপুটি চিফ জনাব এম এ আখের, বাংলাদেশ বিমানের সাবেক পাইলট জনাব কামাল মাহমুদ, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জনাব এফ এম মাসুদ পারভেজ, মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক জনাব কাজী মুনতাসির মোর্শেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব জনাব আক্তার হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব নাজমুস সাকিব খাঁন, বাংলাদেশ কাস্টমস ও ভ্যাট এর অন্যান্য ডেপুটি কমিশনার, সহকারী কমিশনার, ডেপুটি কর কমিশনার, বাংলাদেশ গণপূর্ত অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ গবেষক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, নাট্যকর্মী ও বাউল সাধক উপস্থিত ছিলেন।