বনানীতে দাফন করা হবে মুর্তজা বশীরকে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ আগস্ট, ২০২০ ১২:০৪
স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীরকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা যান খ্যাতিমান এই চিত্রশিল্পী।
শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
মুর্তজা বশীরের মেয়ে মুনীরা বশীর জানান, স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত কাগজপত্র হাতে পাওয়া সাপেক্ষে শনিবার জোহর থেকে আসরের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে তার বাবাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খ্যাতিমান এই চিত্রশিল্পী। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
দীর্ঘদিন হৃদ্রোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন এ চিত্রশিল্পী। এর আগেও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
বহু ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে মুর্তজা বশীর ১৯৩২ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার রমনায় জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশে বিমূর্ত বাস্তবতার চিত্রকলার অন্যতম পথিকৃৎ মুর্তজা বশীরের ‘দেয়াল’, ‘শহীদ শিরোনাম’, ‘পাখা’ ছাড়াও বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য চিত্রমালা রয়েছে।
চিত্রকলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে একুশে পদক পান মুর্তজা বশীর আর স্বাধীনতা পুরস্কার পান ২০১৯ সালে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ আগস্ট, ২০২০ ১২:০৪

স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীরকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা যান খ্যাতিমান এই চিত্রশিল্পী।
শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
মুর্তজা বশীরের মেয়ে মুনীরা বশীর জানান, স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত কাগজপত্র হাতে পাওয়া সাপেক্ষে শনিবার জোহর থেকে আসরের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে তার বাবাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খ্যাতিমান এই চিত্রশিল্পী। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
দীর্ঘদিন হৃদ্রোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন এ চিত্রশিল্পী। এর আগেও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
বহু ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে মুর্তজা বশীর ১৯৩২ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার রমনায় জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশে বিমূর্ত বাস্তবতার চিত্রকলার অন্যতম পথিকৃৎ মুর্তজা বশীরের ‘দেয়াল’, ‘শহীদ শিরোনাম’, ‘পাখা’ ছাড়াও বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য চিত্রমালা রয়েছে।
চিত্রকলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে একুশে পদক পান মুর্তজা বশীর আর স্বাধীনতা পুরস্কার পান ২০১৯ সালে।