‘স্বরূপ-অরূপ প্রাণতোষ চৌধুরী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১১:৪৪
অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে প্রাণতোষ চৌধুরী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি অঙ্গনের অন্যতম পুরোধা প্রাণতোষ চৌধুরীর ৮৮তম জন্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে সাহিত্য একাডেমির উদ্যোগে প্রকাশ হয়েছে ‘স্বরূপ-অরূপ প্রাণতোষ চৌধুরী’।
বইটির সম্পাদকমণ্ডলীর প্রধান জয়দুল হোসেন এবং সম্পাদনা করেছেন মানিকরতন শর্মা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন মিলনায়তনে শনিবার ‘স্বরূপ- অরূপ প্রাণতোষ চৌধুরী’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়ে। আলোচক ছিলেন দৈনিক সমতট বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম, নারী নেত্রী নন্দিতা গুহ ও বইটির সম্পাদক মানিকরতন শর্মা। সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট আবু তাহের। সঞ্চালনা করেন পাভেল রহমান।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কবি জয়দুল হোসেন। এ সময় প্রাণতোষ চৌধুরীকে ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায় সাহিত্য একাডেমি, তিতাস ললিতকলা একাডেমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী কল্যাণ পরিষদ ও পরিমল ভৌমিকসহ অনেকে।
স্বাগত বক্তব্যে জয়দুল হোসেন বলেন, “প্রাণতোষ চৌধুরী আমাদের বটবৃক্ষ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি অঙ্গনকে দীর্ঘদিন ছায়া দিয়ে রেখেছেন। তার জন্মদিন উদ্যাপন করতেই বইটি প্রকাশ করেছে সাহিত্য একাডেমি।”
মনজুরুল আলম বলেন, “প্রাণতোষ চৌধুরী ১৯৫৩ সাল থেকে আলোকচিত্রশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু তাকে শুধুমাত্র আলোকচিত্রশিল্পী হিসেবেই দেখলে হবে না। তিনি শিল্পী-সাহিত্য-সংগীত নিয়ে কাজ করেছেন। নাটকের চর্চা করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সৃজনশীল কাজ যেখানে হয়েছে, তিনি সেখানেই সহযাত্রী হয়েছেন, আমাদের অভিভাবকত্ব দিয়েছেন।”
নন্দিতা গুহ বলেন, “প্রাণতোষ চৌধুরী আমাকে মা বলে ডাকেন। আমাকে নানাভাবে অনুপ্রেরণা দেন। শিল্প-অঙ্গনে আমার বিচরণে তার উৎসাহ আমাকে আরও বেশি সক্রিয় হতে সাহস জোগায়।”
‘স্বরূপ-অরূপ প্রাণতোষ চৌধুরী’ গ্রন্থের সম্পাদক মানিকরতন শর্মা বলেন, “প্রাণতোষ চৌধুরীর মতো গুণী মানুষকে সম্মান জানাতেই এই বইটি করা হয়েছে। সাহিত্য একাডেমির কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, বইটি সম্পাদনা করতে ভালো লাগছে। সাধারণত গুণী মানুষেরা মারা যাওয়ার পর স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ হয়। এই বইটি প্রাণতোষ চৌধুরী জীবিত থাকতেই করতে পেরেছি। তার হাতে তুলে দিতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। বইটি হাতে পেয়ে প্রাণতোষ দা অঝোর ধারায় কেঁদেছেন।”
অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন রিপন নাথ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিতাস ললিতকলা একাডেমির সভাপতি সেহেলী মাসুদ, সাহিত্য একাডেমির পরিচালক পরিমল ভৌমিক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আব্দুর নূর, সাহিত্য একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক জামিনুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন, প্রাণতোষ চৌধুরীর মেয়ে মীনাক্ষী চৌধুরী, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, নাঈম রহমান, ফয়জুল করিম, জাহাঙ্গীর আলম, শফিকুল ইসলাম তৌছির, নবনিতা রায় বর্মণ, নেলি আক্তার, খালেদা মুন্নী, রবিন, সোহেল রানা প্রমুখ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১১:৪৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি অঙ্গনের অন্যতম পুরোধা প্রাণতোষ চৌধুরীর ৮৮তম জন্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে সাহিত্য একাডেমির উদ্যোগে প্রকাশ হয়েছে ‘স্বরূপ-অরূপ প্রাণতোষ চৌধুরী’।
বইটির সম্পাদকমণ্ডলীর প্রধান জয়দুল হোসেন এবং সম্পাদনা করেছেন মানিকরতন শর্মা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন মিলনায়তনে শনিবার ‘স্বরূপ- অরূপ প্রাণতোষ চৌধুরী’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়ে। আলোচক ছিলেন দৈনিক সমতট বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম, নারী নেত্রী নন্দিতা গুহ ও বইটির সম্পাদক মানিকরতন শর্মা। সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট আবু তাহের। সঞ্চালনা করেন পাভেল রহমান।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কবি জয়দুল হোসেন। এ সময় প্রাণতোষ চৌধুরীকে ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায় সাহিত্য একাডেমি, তিতাস ললিতকলা একাডেমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী কল্যাণ পরিষদ ও পরিমল ভৌমিকসহ অনেকে।
স্বাগত বক্তব্যে জয়দুল হোসেন বলেন, “প্রাণতোষ চৌধুরী আমাদের বটবৃক্ষ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি অঙ্গনকে দীর্ঘদিন ছায়া দিয়ে রেখেছেন। তার জন্মদিন উদ্যাপন করতেই বইটি প্রকাশ করেছে সাহিত্য একাডেমি।”
মনজুরুল আলম বলেন, “প্রাণতোষ চৌধুরী ১৯৫৩ সাল থেকে আলোকচিত্রশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু তাকে শুধুমাত্র আলোকচিত্রশিল্পী হিসেবেই দেখলে হবে না। তিনি শিল্পী-সাহিত্য-সংগীত নিয়ে কাজ করেছেন। নাটকের চর্চা করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সৃজনশীল কাজ যেখানে হয়েছে, তিনি সেখানেই সহযাত্রী হয়েছেন, আমাদের অভিভাবকত্ব দিয়েছেন।”
নন্দিতা গুহ বলেন, “প্রাণতোষ চৌধুরী আমাকে মা বলে ডাকেন। আমাকে নানাভাবে অনুপ্রেরণা দেন। শিল্প-অঙ্গনে আমার বিচরণে তার উৎসাহ আমাকে আরও বেশি সক্রিয় হতে সাহস জোগায়।”
‘স্বরূপ-অরূপ প্রাণতোষ চৌধুরী’ গ্রন্থের সম্পাদক মানিকরতন শর্মা বলেন, “প্রাণতোষ চৌধুরীর মতো গুণী মানুষকে সম্মান জানাতেই এই বইটি করা হয়েছে। সাহিত্য একাডেমির কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, বইটি সম্পাদনা করতে ভালো লাগছে। সাধারণত গুণী মানুষেরা মারা যাওয়ার পর স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ হয়। এই বইটি প্রাণতোষ চৌধুরী জীবিত থাকতেই করতে পেরেছি। তার হাতে তুলে দিতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। বইটি হাতে পেয়ে প্রাণতোষ দা অঝোর ধারায় কেঁদেছেন।”
অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন রিপন নাথ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিতাস ললিতকলা একাডেমির সভাপতি সেহেলী মাসুদ, সাহিত্য একাডেমির পরিচালক পরিমল ভৌমিক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আব্দুর নূর, সাহিত্য একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক জামিনুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন, প্রাণতোষ চৌধুরীর মেয়ে মীনাক্ষী চৌধুরী, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, নাঈম রহমান, ফয়জুল করিম, জাহাঙ্গীর আলম, শফিকুল ইসলাম তৌছির, নবনিতা রায় বর্মণ, নেলি আক্তার, খালেদা মুন্নী, রবিন, সোহেল রানা প্রমুখ।