টাঙ্গাইল মুক্ত দিবস পালিত
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে টাঙ্গাইল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় টাঙ্গাইল।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিবসটি উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক।
পরে টাঙ্গাইল পৌরসভার আয়োজনে পৌর উদ্যান থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, সংরক্ষিত আসনের এমপি মনোয়ারা বেগমসহ বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। পরে উদ্যানের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
১৯৭১ সালের মার্চের শুরুতেই টাঙ্গাইল জেলা স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ গঠন করে সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ চলতে থাকে। ৩ এপ্রিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের সাটিয়াচড়ায় টাঙ্গাইল প্রবেশে পথে ইপিআর ও মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলেন। ঢাকার বাইরে প্রথম সেই যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে ইপিআর, মুক্তিযোদ্ধাসহ শতাধিক গ্রামাবাসী শহীদ হন। অবরোধ ভেঙে পাকিস্তানি বাহিনী টাঙ্গাইল শহরে প্রবেশ করে। পরে পাক বাহিনীকে হটাতে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৭২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে গড়ে ওঠে বিশাল কাদেরিয়া বাহিনী। তাদের পরিকল্পিত একের পর এক আক্রমণের ফলে পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি হয়।
পরে ১১ ডিসেম্বর সার্কিট হাউসে অবস্থানরত হানাদার সেনাদের কাদের সিদ্দিকীর কাছে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয় টাঙ্গাইল।
শেয়ার করুন
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে টাঙ্গাইল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় টাঙ্গাইল।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিবসটি উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক।
পরে টাঙ্গাইল পৌরসভার আয়োজনে পৌর উদ্যান থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, সংরক্ষিত আসনের এমপি মনোয়ারা বেগমসহ বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। পরে উদ্যানের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
১৯৭১ সালের মার্চের শুরুতেই টাঙ্গাইল জেলা স্বাধীন বাংলা গণমুক্তি পরিষদ গঠন করে সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ চলতে থাকে। ৩ এপ্রিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের সাটিয়াচড়ায় টাঙ্গাইল প্রবেশে পথে ইপিআর ও মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলেন। ঢাকার বাইরে প্রথম সেই যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে ইপিআর, মুক্তিযোদ্ধাসহ শতাধিক গ্রামাবাসী শহীদ হন। অবরোধ ভেঙে পাকিস্তানি বাহিনী টাঙ্গাইল শহরে প্রবেশ করে। পরে পাক বাহিনীকে হটাতে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৭২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে গড়ে ওঠে বিশাল কাদেরিয়া বাহিনী। তাদের পরিকল্পিত একের পর এক আক্রমণের ফলে পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ত্রাসের সৃষ্টি হয়।
পরে ১১ ডিসেম্বর সার্কিট হাউসে অবস্থানরত হানাদার সেনাদের কাদের সিদ্দিকীর কাছে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয় টাঙ্গাইল।