সাইফুরপুত্র নাসেরের ঋণ ৯৪ কোটি ৮৯ লাখ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
মৌলভীবাজার-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের পুত্র মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান ৯৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ব্যাংকঋণে ডুবে আছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দাখিলকৃত হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামার সূত্রে জানা যায়, ৯৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যাংকঋণের মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকের ৮৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ঋণখেলাপি থাকা অবস্থায় হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত হয়েছে এবং এবি ব্যাংকে ২ কোটি টাকার ঋণখেলাপি ছিলেন নাসের। চলতি বছরের নভেম্বরের ২২ তারিখে ঋণ পুনঃতফসিল করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন।
তিনি ব্র্যাক ব্যাংক থেকে এককভাবে ৩২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, স্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার এবং প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বা ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৮৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং এবি ব্যাংক থেকে ৬ কোটি ১৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। নিজের পেশা দেখিয়েছেন ব্যবসা। তার বার্ষিক আয় ৮২ লাখ টাকার মধ্যে কৃষি খাত থেকে ১৮ লাখ, ভাড়া বাবদ ৪০ লাখ টাকা ও কোম্পানির পরিচালক হিসেবে ২৪ লাখ টাকার সম্মানীর কথা উল্লেখ করা আছে।
এম নাসের রহমানের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১ কোটি ৬৫ লাখ ২২ হাজার ৪৫৭ টাকা এবং তার স্ত্রী রেজিনা নাসেরের নামে অস্থাবর সম্পদ ৫ কোটি ৩২ লাখ ৮১ হাজার ৪২১ টাকা। স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ আছে স্ত্রীর নামে। এর বাইরে স্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে গুলশানে অ্যাপার্টমেন্ট আছে, যার মূল্য ১৯৯৭ সালের দাম হিসেবে ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং পৈতৃক সম্পদ ১৩ দশমিক ৪২ একরের পাহাড়ি টিলার ২৮ শতাংশ মালিকানা আছে, যার মূল্য অজানা।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে এম নাসের রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, তিনি নির্বাচনী প্রচার কাজে ব্যস্ত আছেন।
শেয়ার করুন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

মৌলভীবাজার-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের পুত্র মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান ৯৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার ব্যাংকঋণে ডুবে আছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দাখিলকৃত হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামার সূত্রে জানা যায়, ৯৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যাংকঋণের মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকের ৮৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ঋণখেলাপি থাকা অবস্থায় হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত হয়েছে এবং এবি ব্যাংকে ২ কোটি টাকার ঋণখেলাপি ছিলেন নাসের। চলতি বছরের নভেম্বরের ২২ তারিখে ঋণ পুনঃতফসিল করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন।
তিনি ব্র্যাক ব্যাংক থেকে এককভাবে ৩২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, স্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার এবং প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বা ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৮৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং এবি ব্যাংক থেকে ৬ কোটি ১৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। নিজের পেশা দেখিয়েছেন ব্যবসা। তার বার্ষিক আয় ৮২ লাখ টাকার মধ্যে কৃষি খাত থেকে ১৮ লাখ, ভাড়া বাবদ ৪০ লাখ টাকা ও কোম্পানির পরিচালক হিসেবে ২৪ লাখ টাকার সম্মানীর কথা উল্লেখ করা আছে।
এম নাসের রহমানের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১ কোটি ৬৫ লাখ ২২ হাজার ৪৫৭ টাকা এবং তার স্ত্রী রেজিনা নাসেরের নামে অস্থাবর সম্পদ ৫ কোটি ৩২ লাখ ৮১ হাজার ৪২১ টাকা। স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ আছে স্ত্রীর নামে। এর বাইরে স্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে গুলশানে অ্যাপার্টমেন্ট আছে, যার মূল্য ১৯৯৭ সালের দাম হিসেবে ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং পৈতৃক সম্পদ ১৩ দশমিক ৪২ একরের পাহাড়ি টিলার ২৮ শতাংশ মালিকানা আছে, যার মূল্য অজানা।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে এম নাসের রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, তিনি নির্বাচনী প্রচার কাজে ব্যস্ত আছেন।