ভাষাসৈনিক বিমল রায় আর নেই
যশোর প্রতিনিধি | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সমাজসেবক বিমল রায় চৌধুরী (৯৫) আর নেই। শনিবার সকাল ৯টায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
বিমল রায়ের মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে অনুপ রায় চৌধুরী। অনুপ জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
যশোর শহরতলির বিরামপুরের বিখ্যাত রায় চৌধুরী বংশে ১৯২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন বিমল রায় চৌধুরী। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে বিমল গ্রেপ্তার হন। এক মাস তাকে কারাগারে কাটাতে হয়েছিল। মাতৃভাষা রক্ষায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৫৪ সালের ৩০ মে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার হন এবং প্রায় দেড় বছর কারাভোগ করার পর ১৯৫৬ সালে মুক্তি পান।
১৯৬৬ সালে বিমল রায় চৌধুরী সমাজতান্ত্রিক সরকার কায়েমের শর্তে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মার্চ মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সরবরাহ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে বাকশালে যুক্ত হন। যশোর এলাকায় ৫৪টি মসজিদ ও ৮টি মন্দির প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা রয়েছে। গতকাল বিকেল ৪টায় নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে তার মরদেহ দাহ করা হয় বলে পৌত্র অতনু রায় চৌধুরী জানিয়েছেন।
শেয়ার করুন
যশোর প্রতিনিধি | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সমাজসেবক বিমল রায় চৌধুরী (৯৫) আর নেই। শনিবার সকাল ৯টায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
বিমল রায়ের মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে অনুপ রায় চৌধুরী। অনুপ জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
যশোর শহরতলির বিরামপুরের বিখ্যাত রায় চৌধুরী বংশে ১৯২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন বিমল রায় চৌধুরী। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে বিমল গ্রেপ্তার হন। এক মাস তাকে কারাগারে কাটাতে হয়েছিল। মাতৃভাষা রক্ষায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৫৪ সালের ৩০ মে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার হন এবং প্রায় দেড় বছর কারাভোগ করার পর ১৯৫৬ সালে মুক্তি পান।
১৯৬৬ সালে বিমল রায় চৌধুরী সমাজতান্ত্রিক সরকার কায়েমের শর্তে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মার্চ মাসে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সরবরাহ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে বাকশালে যুক্ত হন। যশোর এলাকায় ৫৪টি মসজিদ ও ৮টি মন্দির প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা রয়েছে। গতকাল বিকেল ৪টায় নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে তার মরদেহ দাহ করা হয় বলে পৌত্র অতনু রায় চৌধুরী জানিয়েছেন।