চট্টগ্রাম-৪
সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগে উৎসব, আতঙ্কে বিএনপি
সীতাকু- (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার খ্যাত চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকু-) আসনে চলছে অনেকটা একতরফা নির্বাচনী প্রচারণা। এ আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েটি রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিলেও অনেকটা একতরফা প্রচার চলাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও অন্যান্য দলের প্রার্থীদের প্রচার নেই বললেই চলে।
সীতাকু- আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান সাংসদ দিদারুল আলম। গণসংযোগ, কর্মিসভা ও মতবিনিময় সভার পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শুক্রবার তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
দিদারুল আলম বলেন, বিগত পাঁচ বছরে সীতাকু- শান্তির শহরে পরিণত হয়েছে। এখানে কোনো চাঁদাবাজি-বোমাবাজি নেই। মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। আবার সুযোগ পেলে সীতাকু-কে মডেল উপশহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ইসহাক কাদের চৌধুরী। তিনি দলের কেন্দ্রীয় যুগ্মœ-সম্পাদক আসলাম চৌধুরীর বড় ভাই। এ আসন থেকে আসলাম চৌধুরীর নির্বাচন করার কথা থাকলেও ঋণখেলাপের অভিযোগে তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী ইসহাক কাদের চৌধুরী। তবে হামলা-মামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাদেরকে নির্বাচনী মাঠে দেখা যাচ্ছে না।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইসহাক চৌধুরী বলেন, গত এক দশকে সরকারদলীয় ক্যাডার ও পুলিশি নির্যাতনে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী ঘরছাড়া। অনেকেই কারাগারে রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে এসব নির্যাতনের জবাব দেবে।
এ ছাড়া জাতীয় পার্ট (এরশাদ) থেকে দিদারুল কবির, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাসার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এই আসনে নির্বাচন করছেন ।
সীতাকু--৪ আসনে মোট ১১ জন মনোনয়ন জমা করেন। যাচাই-বাছাইকালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া এবং বিএনপির আসলাম চৌধুরী বাদ পড়েন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং শিল্পাঞ্চল হওয়ায় এ আসনের গুরুত্ব বরাবরই বেশি। তাই বড় দুই দলের দৃষ্টি থাকে এই আসনে।
শেয়ার করুন
সীতাকু- (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার খ্যাত চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকু-) আসনে চলছে অনেকটা একতরফা নির্বাচনী প্রচারণা। এ আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েটি রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিলেও অনেকটা একতরফা প্রচার চলাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও অন্যান্য দলের প্রার্থীদের প্রচার নেই বললেই চলে।
সীতাকু- আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান সাংসদ দিদারুল আলম। গণসংযোগ, কর্মিসভা ও মতবিনিময় সভার পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শুক্রবার তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
দিদারুল আলম বলেন, বিগত পাঁচ বছরে সীতাকু- শান্তির শহরে পরিণত হয়েছে। এখানে কোনো চাঁদাবাজি-বোমাবাজি নেই। মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। আবার সুযোগ পেলে সীতাকু-কে মডেল উপশহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ইসহাক কাদের চৌধুরী। তিনি দলের কেন্দ্রীয় যুগ্মœ-সম্পাদক আসলাম চৌধুরীর বড় ভাই। এ আসন থেকে আসলাম চৌধুরীর নির্বাচন করার কথা থাকলেও ঋণখেলাপের অভিযোগে তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী ইসহাক কাদের চৌধুরী। তবে হামলা-মামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাদেরকে নির্বাচনী মাঠে দেখা যাচ্ছে না।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইসহাক চৌধুরী বলেন, গত এক দশকে সরকারদলীয় ক্যাডার ও পুলিশি নির্যাতনে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী ঘরছাড়া। অনেকেই কারাগারে রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে এসব নির্যাতনের জবাব দেবে।
এ ছাড়া জাতীয় পার্ট (এরশাদ) থেকে দিদারুল কবির, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাসার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এই আসনে নির্বাচন করছেন ।
সীতাকু--৪ আসনে মোট ১১ জন মনোনয়ন জমা করেন। যাচাই-বাছাইকালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া এবং বিএনপির আসলাম চৌধুরী বাদ পড়েন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং শিল্পাঞ্চল হওয়ায় এ আসনের গুরুত্ব বরাবরই বেশি। তাই বড় দুই দলের দৃষ্টি থাকে এই আসনে।