দেবর-ভাবির লড়াইয়ে প্রার্থীশূন্য বিএনপি
বগুড়া প্রতিনিধি | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন দেবর-ভাবি দুজনই। শেষ পর্যন্ত ভাবিকে টপকে ধানের শীষ পেলেও উচ্চ আদালতের আদেশে প্রার্থিতা আটকে গেছে আবদুল মুহিত তালুকদারের। এর ফলে এ আসনে এখন বিএনপির প্রার্থী নেই।
এর আগে মাছুদা মোমিনকে ধানের শীষ দেওয়া হলেও হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে মনোনয়ন ফিরে পেলে আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিত তালুকদার দলের প্রার্থী হন। হাইকোর্টের ওই আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত হয়ে যায়। আপিল বিভাগ গত ১৭ ডিসেম্বর ওই স্থগিতাদেশ চলমান রেখেছে। এতে মুহিত আর নির্বাচন করতে পারছেন না।
বগুড়া-৩ আসনে ১২ মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে বিএনপির প্রাথমিক প্রত্যয়ন পেয়েছিলেন একই পরিবারের তিনজন। তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা, তাঁর স্ত্রী মাছুদা মোমিন ও ছোট ভাই আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মুহিত তালুকদার। আবদুল মোমিন তালুকদার যুদ্ধাপরাধ মামলায় পলাতক থাকায় তার স্ত্রী ও ভাই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বাছাইয়ে মুহিত তালুকদারের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এতে প্রথমে দলীয় মনোনয়ন পান মুহিতের ভাবি মাছুদা মোমিন।
হাইকোর্টের আদেশে মুহিতের ভোটের আশা তৈরি হওয়ায় ৮ ডিসেম্বর রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিঠিতে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়। মাছুদার পরিবর্তে বিএনপির প্রার্থী হন তার দেবর মুহিত।
ধানের শীষ প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারও শুরু করেন মুহিত।
শেয়ার করুন
বগুড়া প্রতিনিধি | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন দেবর-ভাবি দুজনই। শেষ পর্যন্ত ভাবিকে টপকে ধানের শীষ পেলেও উচ্চ আদালতের আদেশে প্রার্থিতা আটকে গেছে আবদুল মুহিত তালুকদারের। এর ফলে এ আসনে এখন বিএনপির প্রার্থী নেই।
এর আগে মাছুদা মোমিনকে ধানের শীষ দেওয়া হলেও হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে মনোনয়ন ফিরে পেলে আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিত তালুকদার দলের প্রার্থী হন। হাইকোর্টের ওই আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত হয়ে যায়। আপিল বিভাগ গত ১৭ ডিসেম্বর ওই স্থগিতাদেশ চলমান রেখেছে। এতে মুহিত আর নির্বাচন করতে পারছেন না।
বগুড়া-৩ আসনে ১২ মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে বিএনপির প্রাথমিক প্রত্যয়ন পেয়েছিলেন একই পরিবারের তিনজন। তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা, তাঁর স্ত্রী মাছুদা মোমিন ও ছোট ভাই আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মুহিত তালুকদার। আবদুল মোমিন তালুকদার যুদ্ধাপরাধ মামলায় পলাতক থাকায় তার স্ত্রী ও ভাই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বাছাইয়ে মুহিত তালুকদারের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এতে প্রথমে দলীয় মনোনয়ন পান মুহিতের ভাবি মাছুদা মোমিন।
হাইকোর্টের আদেশে মুহিতের ভোটের আশা তৈরি হওয়ায় ৮ ডিসেম্বর রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিঠিতে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়। মাছুদার পরিবর্তে বিএনপির প্রার্থী হন তার দেবর মুহিত।
ধানের শীষ প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারও শুরু করেন মুহিত।