নেত্রকোনা-৪ আসন
আলোচনায় ৩ নারী প্রার্থী
নেত্রকোনা প্রতিনিধি | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
নেত্রকোনা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী) আসনে নির্বাচনী প্রচার জমে উঠেছে। এ আসনে পৃথক তিনটি রাজনৈতিক দল থেকে মনোনীত হয়ে লড়ছেন তিন নারী।
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন রেবেকা মমিন। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে আছেন তাহমিনা জামান শ্রাবণী।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জলি তালুকদার দলীয় প্রতীক কাস্তে নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানকার ভোটের ময়দানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন এই তিন নারীপ্রার্থী।
সাবেক মন্ত্রী মরহুম আব্দুল মমিনের স্ত্রী রেবেকা মমিন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মমিন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর রেবেকা মমিন ২০০৮ সালে নবম জাতীয় নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ আসনে তখনকার স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর টানা দুইবার জাতীয় সংসদে এ আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হলে হাওর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের মাঠে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন রেবেকা।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাহমিনা জামান শ্রাবণী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সহধর্মিণী।
২১ আগস্ট বোমা হামলা মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত বাবর কারাগারে থাকায় এ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটারদের দ্বারে যাচ্ছেন শ্রাবণী। লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এলাকায় তার জনপ্রিয়তা কাজে লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বাবরপতœী। স্বামীর আমলে হাওর অঞ্চলের উন্নয়নে চিত্র তুলে ধরে ভোট চাইছেন। তাছাড়া ২০০৮ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া কর্নেল (অব.) আতিকুল হককে পাশে পেয়ে এ আসনে অনেকটাই নির্ভার শ্রাবণী।
অন্যদিকে সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা জলি তালুকদার হাওরাঞ্চলের কৃষক-শ্রমিকদের হয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
হাওরের সন্তান হিসেবে অবহেলিত জনপদের জলাশয়ের ইজারা প্রথা বাতিলের দাবিতে ‘জাল যার জলা তার’ নীতি বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটের মাঠে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন জলি।
শেয়ার করুন
নেত্রকোনা প্রতিনিধি | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

নেত্রকোনা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী) আসনে নির্বাচনী প্রচার জমে উঠেছে। এ আসনে পৃথক তিনটি রাজনৈতিক দল থেকে মনোনীত হয়ে লড়ছেন তিন নারী।
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন রেবেকা মমিন। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে আছেন তাহমিনা জামান শ্রাবণী।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জলি তালুকদার দলীয় প্রতীক কাস্তে নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানকার ভোটের ময়দানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন এই তিন নারীপ্রার্থী।
সাবেক মন্ত্রী মরহুম আব্দুল মমিনের স্ত্রী রেবেকা মমিন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মমিন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর রেবেকা মমিন ২০০৮ সালে নবম জাতীয় নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ আসনে তখনকার স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর টানা দুইবার জাতীয় সংসদে এ আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হলে হাওর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের মাঠে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন রেবেকা।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাহমিনা জামান শ্রাবণী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সহধর্মিণী।
২১ আগস্ট বোমা হামলা মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত বাবর কারাগারে থাকায় এ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটারদের দ্বারে যাচ্ছেন শ্রাবণী। লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এলাকায় তার জনপ্রিয়তা কাজে লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বাবরপতœী। স্বামীর আমলে হাওর অঞ্চলের উন্নয়নে চিত্র তুলে ধরে ভোট চাইছেন। তাছাড়া ২০০৮ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া কর্নেল (অব.) আতিকুল হককে পাশে পেয়ে এ আসনে অনেকটাই নির্ভার শ্রাবণী।
অন্যদিকে সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা জলি তালুকদার হাওরাঞ্চলের কৃষক-শ্রমিকদের হয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
হাওরের সন্তান হিসেবে অবহেলিত জনপদের জলাশয়ের ইজারা প্রথা বাতিলের দাবিতে ‘জাল যার জলা তার’ নীতি বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটের মাঠে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন জলি।