সাইয়িদ, টুকুর সঙ্গে লড়াইয়ে নিজামীর ছেলে
পাবনা প্রতিনিধি | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পাবনা-১ (সাঁথিয়া ও বেড়ার আংশিক) আসনে জটিল হয়ে উঠেছে ভোটের সমীকরণ। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর নৌকার বিপরীতে ধানের শীষের প্রার্থী আওয়ামী লীগ ছেড়ে গণফোরামে যোগ দেওয়া সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। আর ভোটের মাঠে প্রকাশ্য উপস্থিতি না থাকলেও আপেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আছেন জামায়াতের সাবেক নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নজিবুর রহমানও। নির্বাচনে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভোটের মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাত্র কদিন আগেও নৌকার প্রচারে ছিলেন আবু সাইয়িদ। তার হাতেই এখন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতীক ধানের শীষ। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে গণফোরামে যোগ দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের। আর এতে অনেকটা বাড়া ভাতে ছাই পড়েছে জামায়াতের। শক্ত অবস্থান থাকার পরও জোটের সমীকরণে মনোনয়ন হাতছাড়া হয়েছে তাদের।
১৯৯১ ও ২০০১ সালে আসনটিতে নির্বাচিত জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছে। নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দল হিসেবে কাগজে-কলমে জামায়াতের অস্তিত্ব না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে রয়েছেন নিজামীপুত্র নজিবুর রহমান।
প্রতীক বরাদ্দের পর আবু সাইয়িদ বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারে নেমেই দফায় দফায় হামলার শিকার হয়েছেন। গত ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর সাঁথিয়ার শিমুলতলা বাজার, জোড়গাছা বাজার এবং মাধপুর মোড়ে হামলার শিকার হন। এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। আবু সাইয়িদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শ প্রতিষ্ঠায় সময়ের প্রয়োজনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছি। কিন্তু প্রতিটি স্থানেই নৌকার প্রার্থীর নির্দেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। জনগণের ভোটে জিততে পারবে না বলে ভয় দেখিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে আমাদের সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে না।
আর ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীকে আদর্শচ্যুত উল্লেখ করে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিযুক্ত করে আবু সাইয়িদ পরিকল্পিত মিথ্যাচার করছেন। আদর্শবিচ্যুত হয়ে জামায়াতের সমর্থন পেতে তিনি নানা ছলচাতুরী করছেন। জামায়াতের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তার ওপর বিভিন্ন স্থানে হামলা করছেন।
শেয়ার করুন
পাবনা প্রতিনিধি | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পাবনা-১ (সাঁথিয়া ও বেড়ার আংশিক) আসনে জটিল হয়ে উঠেছে ভোটের সমীকরণ। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর নৌকার বিপরীতে ধানের শীষের প্রার্থী আওয়ামী লীগ ছেড়ে গণফোরামে যোগ দেওয়া সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। আর ভোটের মাঠে প্রকাশ্য উপস্থিতি না থাকলেও আপেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আছেন জামায়াতের সাবেক নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নজিবুর রহমানও। নির্বাচনে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভোটের মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাত্র কদিন আগেও নৌকার প্রচারে ছিলেন আবু সাইয়িদ। তার হাতেই এখন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতীক ধানের শীষ। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে গণফোরামে যোগ দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের। আর এতে অনেকটা বাড়া ভাতে ছাই পড়েছে জামায়াতের। শক্ত অবস্থান থাকার পরও জোটের সমীকরণে মনোনয়ন হাতছাড়া হয়েছে তাদের।
১৯৯১ ও ২০০১ সালে আসনটিতে নির্বাচিত জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছে। নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় দল হিসেবে কাগজে-কলমে জামায়াতের অস্তিত্ব না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে রয়েছেন নিজামীপুত্র নজিবুর রহমান।
প্রতীক বরাদ্দের পর আবু সাইয়িদ বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারে নেমেই দফায় দফায় হামলার শিকার হয়েছেন। গত ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর সাঁথিয়ার শিমুলতলা বাজার, জোড়গাছা বাজার এবং মাধপুর মোড়ে হামলার শিকার হন। এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। আবু সাইয়িদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শ প্রতিষ্ঠায় সময়ের প্রয়োজনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছি। কিন্তু প্রতিটি স্থানেই নৌকার প্রার্থীর নির্দেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। জনগণের ভোটে জিততে পারবে না বলে ভয় দেখিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে আমাদের সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে না।
আর ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীকে আদর্শচ্যুত উল্লেখ করে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিযুক্ত করে আবু সাইয়িদ পরিকল্পিত মিথ্যাচার করছেন। আদর্শবিচ্যুত হয়ে জামায়াতের সমর্থন পেতে তিনি নানা ছলচাতুরী করছেন। জামায়াতের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তার ওপর বিভিন্ন স্থানে হামলা করছেন।