নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গলও সুবিধায় বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
খুলনা-১ (দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ভোটের মাঠে আছে মহাজোটভুক্ত জাতীয় পার্টির প্রার্থী। সংখ্যালঘু ভোটার অধ্যুষিত এ এলাকায় নৌকা-লাঙ্গলের লড়াইয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বিএনপি।
দুই উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভা নিয়ে এ আসন। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের পঞ্চানন বিশ্বাস, বিএনপির আমীর এজাজ খান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবু সাঈদ ও সিপিবির অশোক কুমার বিশ্বাস।
১৯৯১ সালের পর থেকে এখানে টানা বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী। ফলে আসনটি নৌকার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। নব্বইয়ে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে জাতীয় পার্টির তেমন কোনো সাফল্য নেই। দুই লাখ ৫৯ হাজার ভোটারের অর্ধেকের বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়ায় তাদের বড় একটি অংশের সমর্থন পাওয়ার আশা করছেন লাঙ্গলের প্রার্থী সুনীল শুভ রায়। অন্যদিকে খুলনা নগরীর পার্শ¦বর্তী জলমা ইউনিয়নে নতুন ভোটার বেড়েছে। বিএনপি প্রার্থী তাদের ভোট পেতে চান।
বর্তমান সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস এ আসনে তিনবার জয় পেয়েছেন। ১৯৯৬ সালের উপনির্বাচনে শেখ হাসিনার ছেড়ে দেওয়া আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০১ ও সর্বশেষ ২০১৪ সালে নৌকার প্রার্থী হিসেবে সংসদে যান পঞ্চানন বিশ্বাস। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগের ননী গোপাল ম-ল।
পঞ্চানন বিশ্বাস বলেন, এ আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। দলের সকল স্তরের নেতাকর্মী তাকে সমর্থন দিয়েছেন। ফলে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
আমীর এজাজ খান বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হলে ধানের শীষ প্রতীকে তিনি জয়ী হবেন। ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবু সাঈদ জানান, ভোটারদের কাছ থেকে তিনি অনুকূল সাড়া পাচ্ছেন। প্রচারে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন সিপিবির প্রার্থীও।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

খুলনা-১ (দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ভোটের মাঠে আছে মহাজোটভুক্ত জাতীয় পার্টির প্রার্থী। সংখ্যালঘু ভোটার অধ্যুষিত এ এলাকায় নৌকা-লাঙ্গলের লড়াইয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বিএনপি।
দুই উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভা নিয়ে এ আসন। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের পঞ্চানন বিশ্বাস, বিএনপির আমীর এজাজ খান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবু সাঈদ ও সিপিবির অশোক কুমার বিশ্বাস।
১৯৯১ সালের পর থেকে এখানে টানা বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী। ফলে আসনটি নৌকার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। নব্বইয়ে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে জাতীয় পার্টির তেমন কোনো সাফল্য নেই। দুই লাখ ৫৯ হাজার ভোটারের অর্ধেকের বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়ায় তাদের বড় একটি অংশের সমর্থন পাওয়ার আশা করছেন লাঙ্গলের প্রার্থী সুনীল শুভ রায়। অন্যদিকে খুলনা নগরীর পার্শ¦বর্তী জলমা ইউনিয়নে নতুন ভোটার বেড়েছে। বিএনপি প্রার্থী তাদের ভোট পেতে চান।
বর্তমান সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস এ আসনে তিনবার জয় পেয়েছেন। ১৯৯৬ সালের উপনির্বাচনে শেখ হাসিনার ছেড়ে দেওয়া আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০১ ও সর্বশেষ ২০১৪ সালে নৌকার প্রার্থী হিসেবে সংসদে যান পঞ্চানন বিশ্বাস। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগের ননী গোপাল ম-ল।
পঞ্চানন বিশ্বাস বলেন, এ আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। দলের সকল স্তরের নেতাকর্মী তাকে সমর্থন দিয়েছেন। ফলে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
আমীর এজাজ খান বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হলে ধানের শীষ প্রতীকে তিনি জয়ী হবেন। ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবু সাঈদ জানান, ভোটারদের কাছ থেকে তিনি অনুকূল সাড়া পাচ্ছেন। প্রচারে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন সিপিবির প্রার্থীও।