রামপালে যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন, আটক ৪
বাগেরহাট প্রতিনিধি | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
বাগেরহাটের রামপালে যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের সোনাতুনিয়া গ্রামের সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।
রামপাল থানার ওসি মো. লুৎফর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন দেয়। এতে কার্যালয়ের বাঁশ, কাঠ ও টিনের বেড়া, টেবিল, প্লাস্টিকের চেয়ারসহ সেখানে রাখা পোস্টার ও ব্যানার পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক চারজনকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তারা হলেন রামপালের কদমী গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে রেজাউল হাওলাদার (৪৫), সোলাকুড়া গ্রামের মাওলানা আমির আলীর ছেলে আবদুল কাদের (৬১), গিলাতলা গ্রামের সুলতান আহম্মেদের ছেলে মাসুদ পারভেজ (৪২) এবং বর্নি গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে খবিরউদ্দিন (৪৫)। তারা সবাই জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী।
বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাংসদ হাবিবুন নাহারের সঙ্গে জামায়াতের নেতা মোহম্মদ আবদুল ওয়াদুদ শেখ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আহাদ শেখ সাংবাদিকদের বলেন, সোনাতুনিয়া গ্রামের সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয় থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুন নাহারের নির্বাচন পরিচালিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আমরা নির্বাচনী প্রচার কাজ শেষ করে কার্যালয়ের তালা বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। আমরা যাওয়ার পর প্রতিপক্ষ জামায়াত প্রার্থীর সমর্থকরা আমাদের অফিসে আগুন দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করছি।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জামায়াতের প্রার্থী ওয়াদুদ শেখ বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা জামায়াতের নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করতে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। এরই মধ্যে আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করেছে। আগুনের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবি জানান তিনি।
এর আগে গত বুধবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়।
শেয়ার করুন
বাগেরহাট প্রতিনিধি | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

বাগেরহাটের রামপালে যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের সোনাতুনিয়া গ্রামের সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।
রামপাল থানার ওসি মো. লুৎফর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন দেয়। এতে কার্যালয়ের বাঁশ, কাঠ ও টিনের বেড়া, টেবিল, প্লাস্টিকের চেয়ারসহ সেখানে রাখা পোস্টার ও ব্যানার পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক চারজনকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তারা হলেন রামপালের কদমী গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে রেজাউল হাওলাদার (৪৫), সোলাকুড়া গ্রামের মাওলানা আমির আলীর ছেলে আবদুল কাদের (৬১), গিলাতলা গ্রামের সুলতান আহম্মেদের ছেলে মাসুদ পারভেজ (৪২) এবং বর্নি গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে খবিরউদ্দিন (৪৫)। তারা সবাই জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মী।
বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাংসদ হাবিবুন নাহারের সঙ্গে জামায়াতের নেতা মোহম্মদ আবদুল ওয়াদুদ শেখ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আহাদ শেখ সাংবাদিকদের বলেন, সোনাতুনিয়া গ্রামের সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয় থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুন নাহারের নির্বাচন পরিচালিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আমরা নির্বাচনী প্রচার কাজ শেষ করে কার্যালয়ের তালা বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। আমরা যাওয়ার পর প্রতিপক্ষ জামায়াত প্রার্থীর সমর্থকরা আমাদের অফিসে আগুন দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করছি।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জামায়াতের প্রার্থী ওয়াদুদ শেখ বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা জামায়াতের নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করতে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। এরই মধ্যে আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করেছে। আগুনের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবি জানান তিনি।
এর আগে গত বুধবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়।