প্রার্থীই করছেন মাইকিং
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম থেকে | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
দুপুর কিংবা সন্ধ্যা। হঠাৎ মাইকে ঘোষণা আসে, ‘আমি হাই মাস্টার। ভাইবোনদের বলে যাই, একটি করে ভোট চাই। আমাকে ভোট দিয়ে এলাকার সমস্যা সমাধানে সংসদে কথা বলার সুযোগ দিন।’ ছাদখোলা একটি ইজিবাইকে মাইক বেঁধে পুরো নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী) আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল হাই মাস্টার। তার এ প্রচার ভোটের মাঠে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নিজের প্রচারের জন্য নিজেই মাইকিং করছেন আব্দুল হাই মাস্টার। হাটে-বাজারে, সড়কের পাশে থামছেন। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন, ভোট প্রার্থনা করছেন। হাই মাস্টার দেশ রূপান্তরকে জানান, তার কোন কর্মী বাহিনী নেই, নিজেই প্রার্থী, নিজেই কর্মী এবং প্রচারক। তিনি সারা জীবন জনগণের জন্য কাজ করেছেন। নাগরিক সমস্যা, পরিবেশ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, তাই মানুষ ভোট দিয়ে তাকেই নির্বাচিত করবেন বলে আশাবাদী তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে পরাজিত হন আবদুল হাই মাস্টার। ২০০৮ সালে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। তখন পরিবেশ রক্ষায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ময়লার ভাগাড়ে নেমে ময়লা পরিষ্কার করতেন তিনি; বিষয়টি তখন বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে উঠে আসে। এর আগে উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন হাই মাস্টার।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর ছেলে আব্দুল হাই মাস্টার। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হলফনামা অনুসারে, তিনি বিএ পাস। সম্পত্তি বলতে তার বাড়িভিটাসহ ২৮ শতক জমি, একটি টিভি, পাঁচ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা রয়েছে। তার নামে কোনো ধরনের ঋণ বা মামলা নেই।
ভুরুঙ্গামারীর বঙ্গসোনাহাট গ্রামের মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘হাই মাস্টার খুব ভালো মানুষ। আমরা তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি। নাগেশ্বরী বাজারের সমশের মিয়া বলেন, ‘ভালো মানুষদের ভোট দেয় না জনগণ। হাই মাস্টার জিতবেন কেমন করে?’
শেয়ার করুন
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম থেকে | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

দুপুর কিংবা সন্ধ্যা। হঠাৎ মাইকে ঘোষণা আসে, ‘আমি হাই মাস্টার। ভাইবোনদের বলে যাই, একটি করে ভোট চাই। আমাকে ভোট দিয়ে এলাকার সমস্যা সমাধানে সংসদে কথা বলার সুযোগ দিন।’ ছাদখোলা একটি ইজিবাইকে মাইক বেঁধে পুরো নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী) আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল হাই মাস্টার। তার এ প্রচার ভোটের মাঠে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নিজের প্রচারের জন্য নিজেই মাইকিং করছেন আব্দুল হাই মাস্টার। হাটে-বাজারে, সড়কের পাশে থামছেন। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন, ভোট প্রার্থনা করছেন। হাই মাস্টার দেশ রূপান্তরকে জানান, তার কোন কর্মী বাহিনী নেই, নিজেই প্রার্থী, নিজেই কর্মী এবং প্রচারক। তিনি সারা জীবন জনগণের জন্য কাজ করেছেন। নাগরিক সমস্যা, পরিবেশ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, তাই মানুষ ভোট দিয়ে তাকেই নির্বাচিত করবেন বলে আশাবাদী তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে পরাজিত হন আবদুল হাই মাস্টার। ২০০৮ সালে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। তখন পরিবেশ রক্ষায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ময়লার ভাগাড়ে নেমে ময়লা পরিষ্কার করতেন তিনি; বিষয়টি তখন বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে উঠে আসে। এর আগে উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন হাই মাস্টার।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর ছেলে আব্দুল হাই মাস্টার। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হলফনামা অনুসারে, তিনি বিএ পাস। সম্পত্তি বলতে তার বাড়িভিটাসহ ২৮ শতক জমি, একটি টিভি, পাঁচ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা রয়েছে। তার নামে কোনো ধরনের ঋণ বা মামলা নেই।
ভুরুঙ্গামারীর বঙ্গসোনাহাট গ্রামের মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘হাই মাস্টার খুব ভালো মানুষ। আমরা তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি। নাগেশ্বরী বাজারের সমশের মিয়া বলেন, ‘ভালো মানুষদের ভোট দেয় না জনগণ। হাই মাস্টার জিতবেন কেমন করে?’