মুন্সীগঞ্জ-২ আসন
প্রচার মাঠে নৌকা, নেই ধানের শীষ
মামুনুর রশীদ খোকা, মুন্সীগঞ্জ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
নৌকার প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে মুন্সীগঞ্জ-২ আসন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন দিনরাত। তবে মাঠে দেখা যাচ্ছে না ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মিজানুর রহমান ও তার সমর্থকদের।
স্থানীয়রা জানান, সর্বশেষ ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন নির্বাচনী এলাকায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও দলের প্রার্থী মিজান সিনহা। ওইদিন জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদ এলাকায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে মিজান সিনহা ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলী আজগর রিপন মল্লিকের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে টঙ্গীবাড়ি থানায় মিজান সিনহাকে প্রধান আসামি করে তার সমর্থিত দলীয় দেড়শতাধিক নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬০০ জনের নামে পৃথক তিনটি মামলা হয়। এ ঘটনার কয়েকদিন পর লৌহজং উপজেলার গাওদিয়া এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায়ও লৌহজং থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের করা হয়। এতে লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তারের ভয়ে নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি দেশ রূপান্তরকে বলেন, মানুষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। কিন্তু বিএনপি এর মধ্যে আমার নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন ও ভাঙচুর তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা নিজেরা মারামারি করেছে। তাই তারা এখন ভোটের মাঠে নেই। বিএনপি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তার। এ ব্যাপারে বিএনপি প্রার্থী মিজানুর রহমান সিনহা ও লৌহজং উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান খানসহ স্থানীয় নেতাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টঙ্গীবাড়ি ও লৌহজং উপজেলা নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে ভোটকেন্দ্র ১২৮টি। ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫ হাজার ৯৮৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩ এবং নারী ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৪। আসনটিতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান ও সফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুনসুর হোসেন, জাকের পার্টির আশ্রাফুল আলম ও বিএনএফের বাচ্চু শেখ।
শেয়ার করুন
মামুনুর রশীদ খোকা, মুন্সীগঞ্জ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

নৌকার প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে মুন্সীগঞ্জ-২ আসন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন দিনরাত। তবে মাঠে দেখা যাচ্ছে না ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মিজানুর রহমান ও তার সমর্থকদের।
স্থানীয়রা জানান, সর্বশেষ ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন নির্বাচনী এলাকায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও দলের প্রার্থী মিজান সিনহা। ওইদিন জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদ এলাকায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে মিজান সিনহা ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলী আজগর রিপন মল্লিকের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে টঙ্গীবাড়ি থানায় মিজান সিনহাকে প্রধান আসামি করে তার সমর্থিত দলীয় দেড়শতাধিক নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬০০ জনের নামে পৃথক তিনটি মামলা হয়। এ ঘটনার কয়েকদিন পর লৌহজং উপজেলার গাওদিয়া এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায়ও লৌহজং থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের করা হয়। এতে লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তারের ভয়ে নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি দেশ রূপান্তরকে বলেন, মানুষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। কিন্তু বিএনপি এর মধ্যে আমার নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন ও ভাঙচুর তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা নিজেরা মারামারি করেছে। তাই তারা এখন ভোটের মাঠে নেই। বিএনপি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তার। এ ব্যাপারে বিএনপি প্রার্থী মিজানুর রহমান সিনহা ও লৌহজং উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান খানসহ স্থানীয় নেতাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টঙ্গীবাড়ি ও লৌহজং উপজেলা নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে ভোটকেন্দ্র ১২৮টি। ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫ হাজার ৯৮৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩ এবং নারী ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৪। আসনটিতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান ও সফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুনসুর হোসেন, জাকের পার্টির আশ্রাফুল আলম ও বিএনএফের বাচ্চু শেখ।