লালমনিরহাট- ৩
দুই হেভিওয়েটের ভোটযুদ্ধ হবে
লালমনিরহাট প্রতিনিধি | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
লালমনিরহাট-৩ আসনে ভোটারদের মন জয় করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ৪ প্রার্থী। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর মধ্যেই মূলত ভোটযুদ্ধ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ আসনে মহাজোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাসদের প্রার্থীও লড়ছেন। অন্য দুই প্রার্থী হলেন বাসদের আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আজমত হক পাটোয়ারী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোখলেছুর রহমান।
৯ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে লালমনিরহাট-৩ আসন। মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৫১ হাজার ৪৭৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৮ হাজার ১৭৬ ও নারী ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৩০০। লালমনিরহাটের তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে লালমনিরহাট সদর আসন অনেকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, কেননা এ আসনে লড়ছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী।
মহাজোটের হয়ে লড়ছেন জাপা কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রায় তিন হাজার ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রায় ২৪ হাজার ভোটে জিএম কাদের তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুকে পরাজিত করেন। মাঝে ২০০১ সালের নির্বাচনে আসাদুল হাবিব দুলু আ.লীগ প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ সাইদকে হারিয়ে সে সময়ের বিএনপি-জামায়াত সরকারের উপমন্ত্রী হন। নির্বাচনে আবু সালেহ মোহাম্মদ সাইদ দশ বছর পর আবারো ভোটের লড়াইয়ে একে অন্যের মুখোমুখি। তারা দিনরাত চষে বেড়াচ্ছেন ভোটের মাঠ। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বড় দুদলের প্রার্থী।
মহাজোটের প্রার্থী জাপার কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে জানান, এ আসনে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রয়েছে।
ভোটের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিএনপি প্রার্থী আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, প্রতিদিন পুলিশের গ্রেপ্তার চলছে, রাতে নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। তারপরেও গণতন্ত্র উদ্ধার ও নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তারা ভোটের মাঠে থাকবেন।
শেয়ার করুন
লালমনিরহাট প্রতিনিধি | ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

লালমনিরহাট-৩ আসনে ভোটারদের মন জয় করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ৪ প্রার্থী। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর মধ্যেই মূলত ভোটযুদ্ধ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ আসনে মহাজোট, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাসদের প্রার্থীও লড়ছেন। অন্য দুই প্রার্থী হলেন বাসদের আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আজমত হক পাটোয়ারী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোখলেছুর রহমান।
৯ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে লালমনিরহাট-৩ আসন। মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৫১ হাজার ৪৭৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৮ হাজার ১৭৬ ও নারী ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৩০০। লালমনিরহাটের তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে লালমনিরহাট সদর আসন অনেকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, কেননা এ আসনে লড়ছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী।
মহাজোটের হয়ে লড়ছেন জাপা কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রায় তিন হাজার ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রায় ২৪ হাজার ভোটে জিএম কাদের তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুকে পরাজিত করেন। মাঝে ২০০১ সালের নির্বাচনে আসাদুল হাবিব দুলু আ.লীগ প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ সাইদকে হারিয়ে সে সময়ের বিএনপি-জামায়াত সরকারের উপমন্ত্রী হন। নির্বাচনে আবু সালেহ মোহাম্মদ সাইদ দশ বছর পর আবারো ভোটের লড়াইয়ে একে অন্যের মুখোমুখি। তারা দিনরাত চষে বেড়াচ্ছেন ভোটের মাঠ। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বড় দুদলের প্রার্থী।
মহাজোটের প্রার্থী জাপার কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে জানান, এ আসনে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রয়েছে।
ভোটের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিএনপি প্রার্থী আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, প্রতিদিন পুলিশের গ্রেপ্তার চলছে, রাতে নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। তারপরেও গণতন্ত্র উদ্ধার ও নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তারা ভোটের মাঠে থাকবেন।