চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩ আসন
ফলাফলে ভূমিকা রাখবে তরুণ ভোটাররা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনের এবার ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়া ৪০ হাজার ৯২৭ তরুণ ভোটার। তাদের বক্তব্য, জীবনের প্রথম ভোট। যে ভালো কাজ করবেন, তরুণদের চাওয়া-পাওয়া বুঝবেন, পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে ভূমিকা রাখবেন তাকে ভোট দেব।
নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি-জামায়াতের ভোটব্যাংক রয়েছে। এখানে ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া শক্তিশালী অবস্থানে থাকলেও তরুণ প্রার্থী আর সাংগঠনিক অবস্থার বিচারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সামিলউদ্দিন আহম্মেদ শিমুলও ভালো অবস্থানে আছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের জিয়াউর রহমান ও বিএনপির আমিনুল ইসলামের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের আবদুল ওদুদ, বিএনপির হারুনুর রশিদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল ভোটের মাঠে। এখানে বিএনপি-জামায়াতের ভোট যোগ করলে আওয়ামী লীগের অবস্থা নাজুক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত পৃথকভাবে নির্বাচনী দৌড়ে থাকায় আওয়ামী লীগ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ তিন আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পাঠানপাড়ার ইমন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘তরুণদের সঙ্গে যারা মিলেমিশে কাজ করতে পারবেন, যারা তরুণদের চাওয়া-পাওয়াটা বুঝতে পারবেন, পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারবেন তাকে ভোট দেব।’ একই এলাকার খাদিজা খাতুন বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে সুশাসন ও জবাবদিহিতা জড়িয়ে আছে। যে ভালো কাজ করবেন, যার মাধ্যমে আমরা শান্তিতে থাকতে পারব তাকেই ভোট দেব।’ পৌর এলাকার আজাইপুর গ্রামের তাজকেরা খাতুন বলেন, ‘জীবনের প্রথম ভোট দেব। তাই অনুভূতিটায় ভিন্ন। যে দেশের উন্নয়ন করতে পারবেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন, তাকেই নির্বাচিত করব।’
গত বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ৪০ হাজার ৯২৭ জন যুক্ত হওয়ার আগে ২০১৪ থেকে ’১৬ সাল পর্যন্ত নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে আরো ৯৫ হাজার ৪৫১ জন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর এসব ভোটার স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেও তারাও জাতীয় নির্বাচনের প্রথম ভোটার। সেই হিসেবে ২০১৪ সালের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৮৫ জন।
শেয়ার করুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনের এবার ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়া ৪০ হাজার ৯২৭ তরুণ ভোটার। তাদের বক্তব্য, জীবনের প্রথম ভোট। যে ভালো কাজ করবেন, তরুণদের চাওয়া-পাওয়া বুঝবেন, পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে ভূমিকা রাখবেন তাকে ভোট দেব।
নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি-জামায়াতের ভোটব্যাংক রয়েছে। এখানে ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া শক্তিশালী অবস্থানে থাকলেও তরুণ প্রার্থী আর সাংগঠনিক অবস্থার বিচারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সামিলউদ্দিন আহম্মেদ শিমুলও ভালো অবস্থানে আছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের জিয়াউর রহমান ও বিএনপির আমিনুল ইসলামের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের আবদুল ওদুদ, বিএনপির হারুনুর রশিদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল ভোটের মাঠে। এখানে বিএনপি-জামায়াতের ভোট যোগ করলে আওয়ামী লীগের অবস্থা নাজুক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত পৃথকভাবে নির্বাচনী দৌড়ে থাকায় আওয়ামী লীগ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ তিন আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পাঠানপাড়ার ইমন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘তরুণদের সঙ্গে যারা মিলেমিশে কাজ করতে পারবেন, যারা তরুণদের চাওয়া-পাওয়াটা বুঝতে পারবেন, পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারবেন তাকে ভোট দেব।’ একই এলাকার খাদিজা খাতুন বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে সুশাসন ও জবাবদিহিতা জড়িয়ে আছে। যে ভালো কাজ করবেন, যার মাধ্যমে আমরা শান্তিতে থাকতে পারব তাকেই ভোট দেব।’ পৌর এলাকার আজাইপুর গ্রামের তাজকেরা খাতুন বলেন, ‘জীবনের প্রথম ভোট দেব। তাই অনুভূতিটায় ভিন্ন। যে দেশের উন্নয়ন করতে পারবেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন, তাকেই নির্বাচিত করব।’
গত বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ৪০ হাজার ৯২৭ জন যুক্ত হওয়ার আগে ২০১৪ থেকে ’১৬ সাল পর্যন্ত নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে আরো ৯৫ হাজার ৪৫১ জন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর এসব ভোটার স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেও তারাও জাতীয় নির্বাচনের প্রথম ভোটার। সেই হিসেবে ২০১৪ সালের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনে ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৮৫ জন।