টাঙ্গাইল-২ আসন
ধরে রাখতে চায় আ.লীগ জয় দেখছে বিএনপি
এম এ রাজ্জাক, টাঙ্গাইল | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর ও গোপালপুর) আসন ধরে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। তাই নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকার প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনির। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু কারাগারে। ভোটের মাঠে থাকা তার সমর্থকরা বলছেন, বাধা-হয়রানি সত্ত্বেও ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক সাড়া আছে। সুষ্ঠু ভোট হলে টুকুই জিতবেন।
টানা দুইবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের খন্দকার আসাদুজ্জামান এবার নির্বাচন না করায় মনোনয়ন পান দলের জেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ছোট মনির। প্রথমদিকে প্রার্থী নিয়ে বিভক্তি থাকলেও এখন নেতারা নৌকার বিজয়ে একাট্টা হয়েই কাজ করছেন। নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন মনির। নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করতে প্রতিদিন চলছে উঠান বৈঠক। বিপুল ভোটে জয়ের আশায় জোরালো প্রচারের কথা জানিয়েছেন নৌকার এ প্রার্থী।
অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে রয়েছে ১৩৯টি মামলা। তার বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুস সালাম পিন্টু এ আসনে তিনবার নির্বাচিত হন। টুকুর অনুপস্থিতিতে গণসংযোগ করেছেন তার আরেক বড় ভাই জেলা বিএনপির সভাপতি সামছুল আলম তোফা। তিনি বলেন, ‘ভূঞাপুর-গোপালপুরে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।’ তোফা অভিযোগ করেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তো দূরের কথা, প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোট চাইতে বাধা দিচ্ছে। মামলা, পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার, অফিস-বাসা ভাঙচুরসহ নানাভাবে হয়রানি করছে। এর মধ্যেই কৌশলী গণসংযোগে তারা ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন।
শেয়ার করুন
এম এ রাজ্জাক, টাঙ্গাইল | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর ও গোপালপুর) আসন ধরে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। তাই নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকার প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনির। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু কারাগারে। ভোটের মাঠে থাকা তার সমর্থকরা বলছেন, বাধা-হয়রানি সত্ত্বেও ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক সাড়া আছে। সুষ্ঠু ভোট হলে টুকুই জিতবেন।
টানা দুইবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের খন্দকার আসাদুজ্জামান এবার নির্বাচন না করায় মনোনয়ন পান দলের জেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ছোট মনির। প্রথমদিকে প্রার্থী নিয়ে বিভক্তি থাকলেও এখন নেতারা নৌকার বিজয়ে একাট্টা হয়েই কাজ করছেন। নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন মনির। নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করতে প্রতিদিন চলছে উঠান বৈঠক। বিপুল ভোটে জয়ের আশায় জোরালো প্রচারের কথা জানিয়েছেন নৌকার এ প্রার্থী।
অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে রয়েছে ১৩৯টি মামলা। তার বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুস সালাম পিন্টু এ আসনে তিনবার নির্বাচিত হন। টুকুর অনুপস্থিতিতে গণসংযোগ করেছেন তার আরেক বড় ভাই জেলা বিএনপির সভাপতি সামছুল আলম তোফা। তিনি বলেন, ‘ভূঞাপুর-গোপালপুরে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।’ তোফা অভিযোগ করেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তো দূরের কথা, প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোট চাইতে বাধা দিচ্ছে। মামলা, পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার, অফিস-বাসা ভাঙচুরসহ নানাভাবে হয়রানি করছে। এর মধ্যেই কৌশলী গণসংযোগে তারা ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন।