ওসিকে ঘুষ দিতে গিয়ে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক আটক
নড়াইল প্রতিনিধি | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
সদর থানার ওসিকে ঘুষ দিতে গিয়ে নড়াইল-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী, জেলা বিএনপি সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটক করা হয়। আটক রিয়াজুল ইসলাম (৩৮) শহরের মহিষখোলা এলাকার বাসিন্দা।
রিয়াজুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘নড়াইল-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মাহাবুব মোর্শেদ জাপল একটি খামের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তা নড়াইল সদর থানার ওসিকে দিয়ে আসতে বলেন। আমি নড়াইল জজকোর্টে অ্যাডভোকেট মাহাবুব মোর্শেদ জাপলের অধীনে প্র্যাকটিস করি। তাই কোনো কিছু না ভেবেই টাকার খামটি নিয়ে থানায় চলে আসি। টাকার খামটি দেওয়ার সময় পুলিশ আমাকে আটক করে।’ নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল সদর থানার ওসিকে প্রভাবিত করতে নড়াইল-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম তার এজেন্ট দিয়ে টাকা পাঠান। তখন সদর থানার ওসি টাকাসহ রিয়াজুলকে আটক করেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মাহাবুব মোর্শেদ জাপলের কাছে জানতে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদিকে প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
শেয়ার করুন
নড়াইল প্রতিনিধি | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

সদর থানার ওসিকে ঘুষ দিতে গিয়ে নড়াইল-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী, জেলা বিএনপি সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটক করা হয়। আটক রিয়াজুল ইসলাম (৩৮) শহরের মহিষখোলা এলাকার বাসিন্দা।
রিয়াজুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘নড়াইল-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মাহাবুব মোর্শেদ জাপল একটি খামের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তা নড়াইল সদর থানার ওসিকে দিয়ে আসতে বলেন। আমি নড়াইল জজকোর্টে অ্যাডভোকেট মাহাবুব মোর্শেদ জাপলের অধীনে প্র্যাকটিস করি। তাই কোনো কিছু না ভেবেই টাকার খামটি নিয়ে থানায় চলে আসি। টাকার খামটি দেওয়ার সময় পুলিশ আমাকে আটক করে।’ নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল সদর থানার ওসিকে প্রভাবিত করতে নড়াইল-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম তার এজেন্ট দিয়ে টাকা পাঠান। তখন সদর থানার ওসি টাকাসহ রিয়াজুলকে আটক করেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মাহাবুব মোর্শেদ জাপলের কাছে জানতে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদিকে প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।