রাজবাড়ীর ৬৮ লেভেল ক্রসিং অরক্ষিত
রাজবাড়ী প্রতিনিধি | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলাতে রয়েছে কমবেশি রেলপথ। সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে এসব রেলপথে ৮৮টি রেলের লেভেলক্রসিং নির্মিত হলেও এর মধ্যে ৬৮টিই অরক্ষিত। এগুলোয় নেই কোনো প্রতিবন্ধক-গেইট বা গেইটম্যান। ফলে এসব রেলক্রসিং পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মাসে রাজবাড়ীর রেলপথে লেভেলক্রসিং পার হতে গিয়ে অন্তত ১৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ১৯ অক্টোবর বালিয়াকান্দির জামালপুরে রেলের লেভেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় ৪ এবং ২৪ নভেম্বর ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায় ১ জন। গত রবিবার সদরের বরাটে মারা গেছে আরো ১ জন। সদ্যবিদায়ী বছরের শুরু থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত লেভেল ক্রসিং দুর্ঘটনায় রাজবাড়ীতে অন্তত ১২জন মারা গেছে। ২০১৭ সালে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায় ২৩ জন।
রেলক্রসিং সংরক্ষণ ও গেইটম্যান না থাকাই এসব দুর্ঘটনার কারণ বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি গুরুত্বপূর্ণ ও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত গেইট নির্মাণ ও গেইটম্যান নিয়োগ করতে হবে।
রাজবাড়ী জেলা শহরের বাইরে অনেক ব্যস্ততম লেভেল ক্রসিং রয়েছে। সড়ক, মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক, জেলা ফিডার সড়ক, গ্রামীণ সড়ক, বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশেই এসব লেভেল ক্রসিংয়ের অবস্থান। ট্রেনের সময় অনুযায়ী অনেক সময় ক্রসিং এলাকায় থাকা সাধারণ মানুষ গেইটম্যানের দায়িত্ব পালন করে থাকেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে, কোনো সম্মানী বা ভাতা ছাড়াই। কোনো কোনো স্থানে নেই সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড ও রেলক্রসিংয়ের চিহ্ন পর্যন্ত। এসব কারণেই থেমে নেই দুর্ঘটনা।
সদরের দাতশী এলাকার শাহজাহান সান্টু (৫০) বলেন, এলাকার মানুষ ট্রেন আসার সময় আর কতদিন নিজেরা গেইটমেনের দায়িত্ব পালন করবে? রেলের কি কোনো দায়িত্বই নেই? বালিয়াকান্দির জামালপুরের রমা রানি (৬০) বলেন, রেললাইনে গেইট আর গেইটম্যান না থাহায় কত যে মানুষ ম’লো তার কি হিসাব আছে? এ মৃত্যুর দায়দায়িত্ব নিবি কিডা?
এ ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী বলেন, ‘এখানকার রেললাইন অনেক পুরোনো। বর্তমানে এলজিইডি ও সড়ক বিভাগের অনেক রাস্তা রেলপথ ক্রস করে নির্মিত হয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী রেল কর্তৃপক্ষ গেইট তৈরি করেনি। রেল লেভেল ক্রসিংয়ে গেইট তৈরির বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হবে।’
এ বিষয়ে রাজবাড়ী রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
শেয়ার করুন
রাজবাড়ী প্রতিনিধি | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলাতে রয়েছে কমবেশি রেলপথ। সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে এসব রেলপথে ৮৮টি রেলের লেভেলক্রসিং নির্মিত হলেও এর মধ্যে ৬৮টিই অরক্ষিত। এগুলোয় নেই কোনো প্রতিবন্ধক-গেইট বা গেইটম্যান। ফলে এসব রেলক্রসিং পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মাসে রাজবাড়ীর রেলপথে লেভেলক্রসিং পার হতে গিয়ে অন্তত ১৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত ১৯ অক্টোবর বালিয়াকান্দির জামালপুরে রেলের লেভেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় ৪ এবং ২৪ নভেম্বর ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায় ১ জন। গত রবিবার সদরের বরাটে মারা গেছে আরো ১ জন। সদ্যবিদায়ী বছরের শুরু থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত লেভেল ক্রসিং দুর্ঘটনায় রাজবাড়ীতে অন্তত ১২জন মারা গেছে। ২০১৭ সালে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায় ২৩ জন।
রেলক্রসিং সংরক্ষণ ও গেইটম্যান না থাকাই এসব দুর্ঘটনার কারণ বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি গুরুত্বপূর্ণ ও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত গেইট নির্মাণ ও গেইটম্যান নিয়োগ করতে হবে।
রাজবাড়ী জেলা শহরের বাইরে অনেক ব্যস্ততম লেভেল ক্রসিং রয়েছে। সড়ক, মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক, জেলা ফিডার সড়ক, গ্রামীণ সড়ক, বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশেই এসব লেভেল ক্রসিংয়ের অবস্থান। ট্রেনের সময় অনুযায়ী অনেক সময় ক্রসিং এলাকায় থাকা সাধারণ মানুষ গেইটম্যানের দায়িত্ব পালন করে থাকেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে, কোনো সম্মানী বা ভাতা ছাড়াই। কোনো কোনো স্থানে নেই সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড ও রেলক্রসিংয়ের চিহ্ন পর্যন্ত। এসব কারণেই থেমে নেই দুর্ঘটনা।
সদরের দাতশী এলাকার শাহজাহান সান্টু (৫০) বলেন, এলাকার মানুষ ট্রেন আসার সময় আর কতদিন নিজেরা গেইটমেনের দায়িত্ব পালন করবে? রেলের কি কোনো দায়িত্বই নেই? বালিয়াকান্দির জামালপুরের রমা রানি (৬০) বলেন, রেললাইনে গেইট আর গেইটম্যান না থাহায় কত যে মানুষ ম’লো তার কি হিসাব আছে? এ মৃত্যুর দায়দায়িত্ব নিবি কিডা?
এ ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী বলেন, ‘এখানকার রেললাইন অনেক পুরোনো। বর্তমানে এলজিইডি ও সড়ক বিভাগের অনেক রাস্তা রেলপথ ক্রস করে নির্মিত হয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী রেল কর্তৃপক্ষ গেইট তৈরি করেনি। রেল লেভেল ক্রসিংয়ে গেইট তৈরির বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হবে।’
এ বিষয়ে রাজবাড়ী রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।