নরসিংদী শহরে যানজট ভোগান্তি ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবি শহরবাসীর
সুমন বর্মণ, নরসিংদী | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
নরসিংদী শহরের প্রধান সড়কের ওপর আরশীনগর লেভেল ক্রসিং। লেভেল ক্রসিংয়ের আশপাশে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজটে নাকাল শহরবাসী। এই লেভেল ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন ৫৩টি ট্রেন আসা-যাওয়া করে। জনদুর্ভোগ লাগবে পৌর কর্তৃপক্ষ আন্ডারপাস নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও স্থায়ী সমাধানের জন্য ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবি শহরবাসীর।
নরসিংদী শহরের মাঝ দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ যাওয়ায় উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত হয়েছে শহর। একদিকে রয়েছে জেলা প্রশাসন ও নরসিংদী সরকারি কলেজসহ সব সরকারি অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ; অন্যদিকে পৌরসভা, বাজার, বাসস্ট্যান্ডসহ আবাসিক এলাকা। এসব এলাকায় যাতায়াতের জন্য পাঁচটি সড়ক থাকলেও বাসাইল ও আরশীনগরে রয়েছে লেভেল ক্রসিং। বাসাইল ক্রসিং দিয়ে সাহেপ্রতাব, সাটিরপাড়া হয়ে পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে শহরে প্রবেশ করতে হয়। বিকল্প সড়ক না থাকায় বেশিরভাগ শহরবাসী আরশীনগর লেভেল ক্রসিং হয়ে যাতায়াত করে। এতে প্রতিদিন এখানে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া শহরে ব্যাপক হারে বেড়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। পৌরসভার দেওয়া তথ্য মতে, শহরে নিবন্ধিত অটোরিকশা রয়েছে ২২০০। এর বাইরে অনিবন্ধিত অটোরিকশা রয়েছে আরো ৩০০০। এ ছাড়া রয়েছে রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে আরশীনগর লেভেল ক্রসিংয়ের যানজট। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আরশীনগরে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১টা ২০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন পার হওয়ার জন্য গেইট ফেলা হয়। এরই মধ্যে দুপাশে অসংখ্য অটোরিকশা, রিকশা ও প্রাইভেটকারের অসংখ্য যাত্রী আটকা পড়েন। ট্রেনটি চলে যাওয়ার ১০ মিনিট পর স্বাভাবিক হয় যানবাহন চলাচল।
ওই সময় নরসিংদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সুইটি আক্তার ও আতিক হোসেন বলেন, ‘আরশীনগর মানেই যানজটের ভোগান্তি। রেলগেট পড়লে যানজটের কারণে প্রতিবার আমাদের ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় নষ্ট হয়।’ নরসিংদী সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কালাম মাহমুদ বলেন, সাধারণ মানুষ এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য ফ্লাইওভার চায়। আরশীনগর লেভেল ক্রসিংয়ের গেইটম্যান আমিনুল হক বলেন, এই লেভেল ক্রসিং হয়ে প্রতিদিন মেইল, আন্তঃনগর ও কনটেইনারবাহী ৫৩টি ট্রেন যাওয়া-আসা করে। প্রতিবার ট্রেনের জন্য পাঁচ থেকে আট মিনিট ক্রসিং বন্ধ থাকে। নরসিংদী পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘জনদুর্ভোগ লাঘবে নরসিংদী পৌরসভা লেভেল ক্রসিংয়ের ১০০ মিটার দূরে আন্ডারপাস নির্মাণ করছে। আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে আন্ডারপাসটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আন্ডারপাস দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এতে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ যানজট কমে যাবে বলে আমাদের ধারণা।’
শেয়ার করুন
সুমন বর্মণ, নরসিংদী | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

নরসিংদী শহরের প্রধান সড়কের ওপর আরশীনগর লেভেল ক্রসিং। লেভেল ক্রসিংয়ের আশপাশে প্রতিদিন দীর্ঘ যানজটে নাকাল শহরবাসী। এই লেভেল ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন ৫৩টি ট্রেন আসা-যাওয়া করে। জনদুর্ভোগ লাগবে পৌর কর্তৃপক্ষ আন্ডারপাস নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও স্থায়ী সমাধানের জন্য ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবি শহরবাসীর।
নরসিংদী শহরের মাঝ দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ যাওয়ায় উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত হয়েছে শহর। একদিকে রয়েছে জেলা প্রশাসন ও নরসিংদী সরকারি কলেজসহ সব সরকারি অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ; অন্যদিকে পৌরসভা, বাজার, বাসস্ট্যান্ডসহ আবাসিক এলাকা। এসব এলাকায় যাতায়াতের জন্য পাঁচটি সড়ক থাকলেও বাসাইল ও আরশীনগরে রয়েছে লেভেল ক্রসিং। বাসাইল ক্রসিং দিয়ে সাহেপ্রতাব, সাটিরপাড়া হয়ে পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে শহরে প্রবেশ করতে হয়। বিকল্প সড়ক না থাকায় বেশিরভাগ শহরবাসী আরশীনগর লেভেল ক্রসিং হয়ে যাতায়াত করে। এতে প্রতিদিন এখানে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া শহরে ব্যাপক হারে বেড়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। পৌরসভার দেওয়া তথ্য মতে, শহরে নিবন্ধিত অটোরিকশা রয়েছে ২২০০। এর বাইরে অনিবন্ধিত অটোরিকশা রয়েছে আরো ৩০০০। এ ছাড়া রয়েছে রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে আরশীনগর লেভেল ক্রসিংয়ের যানজট। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আরশীনগরে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১টা ২০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন পার হওয়ার জন্য গেইট ফেলা হয়। এরই মধ্যে দুপাশে অসংখ্য অটোরিকশা, রিকশা ও প্রাইভেটকারের অসংখ্য যাত্রী আটকা পড়েন। ট্রেনটি চলে যাওয়ার ১০ মিনিট পর স্বাভাবিক হয় যানবাহন চলাচল।
ওই সময় নরসিংদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সুইটি আক্তার ও আতিক হোসেন বলেন, ‘আরশীনগর মানেই যানজটের ভোগান্তি। রেলগেট পড়লে যানজটের কারণে প্রতিবার আমাদের ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় নষ্ট হয়।’ নরসিংদী সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কালাম মাহমুদ বলেন, সাধারণ মানুষ এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য ফ্লাইওভার চায়। আরশীনগর লেভেল ক্রসিংয়ের গেইটম্যান আমিনুল হক বলেন, এই লেভেল ক্রসিং হয়ে প্রতিদিন মেইল, আন্তঃনগর ও কনটেইনারবাহী ৫৩টি ট্রেন যাওয়া-আসা করে। প্রতিবার ট্রেনের জন্য পাঁচ থেকে আট মিনিট ক্রসিং বন্ধ থাকে। নরসিংদী পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘জনদুর্ভোগ লাঘবে নরসিংদী পৌরসভা লেভেল ক্রসিংয়ের ১০০ মিটার দূরে আন্ডারপাস নির্মাণ করছে। আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে আন্ডারপাসটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আন্ডারপাস দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এতে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ যানজট কমে যাবে বলে আমাদের ধারণা।’