পার্বতীপুরে বন্ধ ৫ রেলস্টেশন
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | ১০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০
জনবল সংকটে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের একটি লোডিং পয়েন্টসহ পাঁচটি রেলওয়ে স্টেশন দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। ফলে এলাকার যাত্রী সাধারণের যোগাযোগ সমস্যাসহ ব্যবসা ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে সরকারি মালামাল।
পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পাথর খনি রেলওয়ে লোডিং পয়েন্টসহ ভবানীপুর, বেলাইচ-ী, মন্মথপুর ও খোলাহাটিÑ এই পাঁচটি রেলস্টেশন জনবলের অভাবে দীর্ঘদিন বন্ধ। মালামাল পরিবহন ও যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এসব রেলস্টেশন একসময় পুরোদমে চালু ছিল। পার্বতীপুরে একটি রেলওয়ে জংশনসহ পাঁচটি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। রেলওয়ে পাকশী বিভাগের অধীনে পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন, ভবানীপুর ও বেলাইচ-ী রেলস্টেশন। ভবানীপুর রেলস্টেশন তিন-চার বছর ধরে বন্ধ আছে। নেই স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টস ম্যান। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্টোররুমের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে।
রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের অধীনে খোলাহাটি ও মন্মথপুর রেলস্টেশন। স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টস ম্যান না থাকায় মন্মথপুর রেলওয়ের কার্যক্রম ১০-১২ বছর বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে রেলস্টেশনে তালা ঝুলছে। রেলওয়ে পাকশী বিভাগের অধীন মধ্যপাড়া রেলওয়ে লোডিং পয়েন্ট। ভবানীপুর রেলস্টেশন থেকে ২৬ কিলোমিটার জমি অধিগ্রহণ ও রেলপথ তৈরির মাধ্যমে পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পাথর খনি রেলওয়ে লোডিং পয়েন্ট নির্মাণ করা হয় ২০০৬ সালে। মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে পাথর পরিবহনের জন্য মধ্যপাড়া পাথর খনি এলাকায় বিশাল রেলওয়ে লোডিং পয়েন্ট নির্মাণ করা হলেও তা বর্তমানে পরিত্যক্ত। প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও পাথর লোডিং না হওয়ায় এ রেলওয়ে লোডিং পয়েন্টটি বর্তমানে অনেকটাই জঙ্গলে রূপ নিয়েছে। বিনষ্ট হচ্ছে রেলপথ ও স্টেশন ভবনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আবদুল্লাহ আল মামুন ও রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় পরিবহন সুপারিনটেনডেন্ট (ডিটিএস) শওকত জামিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, জনবল সংকটের কারণে রেলওয়ে স্টেশনগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশেষত স্টেশন মাস্টার সংকটের কারণেই স্টেশনগুলো চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। পাকশী বিভাগের ১২৪-এর মধ্যে ৫২টি রেলস্টেশন বন্ধ আছে।
শেয়ার করুন
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | ১০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০

জনবল সংকটে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের একটি লোডিং পয়েন্টসহ পাঁচটি রেলওয়ে স্টেশন দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। ফলে এলাকার যাত্রী সাধারণের যোগাযোগ সমস্যাসহ ব্যবসা ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে সরকারি মালামাল।
পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পাথর খনি রেলওয়ে লোডিং পয়েন্টসহ ভবানীপুর, বেলাইচ-ী, মন্মথপুর ও খোলাহাটিÑ এই পাঁচটি রেলস্টেশন জনবলের অভাবে দীর্ঘদিন বন্ধ। মালামাল পরিবহন ও যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এসব রেলস্টেশন একসময় পুরোদমে চালু ছিল। পার্বতীপুরে একটি রেলওয়ে জংশনসহ পাঁচটি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। রেলওয়ে পাকশী বিভাগের অধীনে পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন, ভবানীপুর ও বেলাইচ-ী রেলস্টেশন। ভবানীপুর রেলস্টেশন তিন-চার বছর ধরে বন্ধ আছে। নেই স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টস ম্যান। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্টোররুমের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে।
রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের অধীনে খোলাহাটি ও মন্মথপুর রেলস্টেশন। স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টস ম্যান না থাকায় মন্মথপুর রেলওয়ের কার্যক্রম ১০-১২ বছর বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে রেলস্টেশনে তালা ঝুলছে। রেলওয়ে পাকশী বিভাগের অধীন মধ্যপাড়া রেলওয়ে লোডিং পয়েন্ট। ভবানীপুর রেলস্টেশন থেকে ২৬ কিলোমিটার জমি অধিগ্রহণ ও রেলপথ তৈরির মাধ্যমে পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পাথর খনি রেলওয়ে লোডিং পয়েন্ট নির্মাণ করা হয় ২০০৬ সালে। মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে পাথর পরিবহনের জন্য মধ্যপাড়া পাথর খনি এলাকায় বিশাল রেলওয়ে লোডিং পয়েন্ট নির্মাণ করা হলেও তা বর্তমানে পরিত্যক্ত। প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও পাথর লোডিং না হওয়ায় এ রেলওয়ে লোডিং পয়েন্টটি বর্তমানে অনেকটাই জঙ্গলে রূপ নিয়েছে। বিনষ্ট হচ্ছে রেলপথ ও স্টেশন ভবনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আবদুল্লাহ আল মামুন ও রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় পরিবহন সুপারিনটেনডেন্ট (ডিটিএস) শওকত জামিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, জনবল সংকটের কারণে রেলওয়ে স্টেশনগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশেষত স্টেশন মাস্টার সংকটের কারণেই স্টেশনগুলো চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। পাকশী বিভাগের ১২৪-এর মধ্যে ৫২টি রেলস্টেশন বন্ধ আছে।