যুবলীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | ২৪ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০
জেলার সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাঙচুর করা হয়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে চরশাহীর রফিক মার্কেটে যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই ভাঙচুর হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ নেতারা চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদকে দায়ী করেছেন। তবে গোলজার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, ঘটনাটি সাজানো হতে পারে।
চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিয়াজ জানান, গোলজার চেয়ারম্যানের নির্দেশেই যুবলীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রবিন, জাসদ নেতা সালাউদ্দিন স্বপন, আবদুল, বাবলু ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুল আনসারীকে ভাঙচুর করতে দেখেছে স্থানীয় লোকজন। তারা চেয়ারম্যান গোলজারের অনুসারী।
তিনি আরও বলেন, ‘হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল, টেলিভিশনসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। পরিকল্পিত এ হামলার ঘটনা দুঃখজনক। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদ বলেন, ‘অফিসটি রিয়াজের ব্যক্তিগত, যুবলীগের নয়। যুবলীগ নেতা রিয়াজ নিজেই অফিস ভাঙচুর করিয়েছে। আমার কোনো লোক এই ঘটনায় জড়িত নয়। ওই অফিসে তারা বিভিন্ন অপকর্ম করে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।’
জানতে চাইলে জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়েছি। ভাঙচুরের ঘটনাটি সাজানো হতে পারে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি।’
শেয়ার করুন
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | ২৪ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০

জেলার সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাঙচুর করা হয়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে চরশাহীর রফিক মার্কেটে যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই ভাঙচুর হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ নেতারা চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদকে দায়ী করেছেন। তবে গোলজার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, ঘটনাটি সাজানো হতে পারে।
চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিয়াজ জানান, গোলজার চেয়ারম্যানের নির্দেশেই যুবলীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রবিন, জাসদ নেতা সালাউদ্দিন স্বপন, আবদুল, বাবলু ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবুল আনসারীকে ভাঙচুর করতে দেখেছে স্থানীয় লোকজন। তারা চেয়ারম্যান গোলজারের অনুসারী।
তিনি আরও বলেন, ‘হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল, টেলিভিশনসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। পরিকল্পিত এ হামলার ঘটনা দুঃখজনক। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদ বলেন, ‘অফিসটি রিয়াজের ব্যক্তিগত, যুবলীগের নয়। যুবলীগ নেতা রিয়াজ নিজেই অফিস ভাঙচুর করিয়েছে। আমার কোনো লোক এই ঘটনায় জড়িত নয়। ওই অফিসে তারা বিভিন্ন অপকর্ম করে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।’
জানতে চাইলে জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়েছি। ভাঙচুরের ঘটনাটি সাজানো হতে পারে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি।’