রায় কার্যকরের দাবিতে পরিবারের মানববন্ধন
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৬ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামের বহুল আলোচিত টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাকিয়া সুলতানা রূপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার গতকাল রবিবার দুই বছর পূর্ণ হয়। এ উপলক্ষে এদিন রূপার পরিবার তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে আসামিদের দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবিতে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
রূপার মা হাসনা হেনা বেগম (৫৭) জানান, রূপা তার ভাইবোনদের জন্য সবকিছু করার প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করতেন। স্বপ্ন দেখতেন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একদিন বড় কর্মকর্তা হবেন। এখন তাদের একটাই দাবি দ্রুত আসামিদের রায় কার্যকর করা হোক।
রূপার বড় ভাই পত্রিকার এজেন্ট (ব্যবসায়ী) হাফিজুর রহমান জানান, দ-প্রাপ্ত আসামিরা ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করে। এরপর গত ১৯ মাসেও চাঞ্চল্যকর এ মামলায় শুনানি শুরু হয়নি। নিম্ন আদালতে দ্রুততম সময়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম। তবে উচ্চ আদালতে আসামিপক্ষের আপিলের পর মামলাটি গত দেড় বছর ঝুলে থাকায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ছোঁয়া পরিবহনের বাসটি পরিবারকে দেওয়ার যে আদেশ আদালত দিয়েছেন, তা-ও কার্যকর করা হয়নি। বিচারের সর্বশেষ পর্যায়ে যেতে কত দিন সময় লাগবে তা আমাদের জানা নেই। তত দিনে হয়তো বাসটি ভাঙাড়ি হিসেবে বিক্রি করতে হবে। এতে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশাও ক্ষীণ।
রূপার মায়ের সঙ্গে মানববন্ধনে অংশ নেন রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান, ছোট ভাই উজ্জ্বল হোসেন ও তার স্ত্রী টুম্পা খাতুন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের রাস্তার পাশ থেকে রূপার লাশ উদ্ধার করে মধুপুর থানা পুলিশ। পরিচয় না পেয়ে ২৬ আগস্ট ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর ২৭ আগস্ট নিহতের বড় ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় রক্তাক্ত লাশের ছবি শনাক্ত করেন যে অজ্ঞাত তরুণী তার ছোট বোন ও ঢাকা আইডিয়াল ল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপার। পরে ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন রাতেই সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসামবাড়ি গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয় লাশ। নিহত রূপা ওই গ্রামের মৃত জেলহাজ প্রামাণিকের মেয়ে।
শেয়ার করুন
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৬ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামের বহুল আলোচিত টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাকিয়া সুলতানা রূপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার গতকাল রবিবার দুই বছর পূর্ণ হয়। এ উপলক্ষে এদিন রূপার পরিবার তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে আসামিদের দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবিতে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
রূপার মা হাসনা হেনা বেগম (৫৭) জানান, রূপা তার ভাইবোনদের জন্য সবকিছু করার প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করতেন। স্বপ্ন দেখতেন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একদিন বড় কর্মকর্তা হবেন। এখন তাদের একটাই দাবি দ্রুত আসামিদের রায় কার্যকর করা হোক।
রূপার বড় ভাই পত্রিকার এজেন্ট (ব্যবসায়ী) হাফিজুর রহমান জানান, দ-প্রাপ্ত আসামিরা ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করে। এরপর গত ১৯ মাসেও চাঞ্চল্যকর এ মামলায় শুনানি শুরু হয়নি। নিম্ন আদালতে দ্রুততম সময়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম। তবে উচ্চ আদালতে আসামিপক্ষের আপিলের পর মামলাটি গত দেড় বছর ঝুলে থাকায় আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ছোঁয়া পরিবহনের বাসটি পরিবারকে দেওয়ার যে আদেশ আদালত দিয়েছেন, তা-ও কার্যকর করা হয়নি। বিচারের সর্বশেষ পর্যায়ে যেতে কত দিন সময় লাগবে তা আমাদের জানা নেই। তত দিনে হয়তো বাসটি ভাঙাড়ি হিসেবে বিক্রি করতে হবে। এতে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশাও ক্ষীণ।
রূপার মায়ের সঙ্গে মানববন্ধনে অংশ নেন রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান, ছোট ভাই উজ্জ্বল হোসেন ও তার স্ত্রী টুম্পা খাতুন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের রাস্তার পাশ থেকে রূপার লাশ উদ্ধার করে মধুপুর থানা পুলিশ। পরিচয় না পেয়ে ২৬ আগস্ট ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এরপর ২৭ আগস্ট নিহতের বড় ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় রক্তাক্ত লাশের ছবি শনাক্ত করেন যে অজ্ঞাত তরুণী তার ছোট বোন ও ঢাকা আইডিয়াল ল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপার। পরে ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন রাতেই সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসামবাড়ি গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয় লাশ। নিহত রূপা ওই গ্রামের মৃত জেলহাজ প্রামাণিকের মেয়ে।