হাসপাতাল গেটে সন্তান প্রসব
চিকিৎসকের কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল গেটের সামনে খোলাস্থানে এক প্রসূতি সন্তান প্রসব করেছেন। গত রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে প্রসূতির স্বজনরা এ ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসক বনশ্রী সাহার বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন।
প্রসূতির স্বামী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রূপসাচর গ্রামের আবদুর রহিমের অভিযোগ, রবিবার রাত ১০টার দিকে তিনি স্ত্রী রহিমা খাতুনকে (২২) প্রসববেদনা নিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তি হওয়ার পর প্রসব ব্যথা অনুভব না থাকায় ও রক্ত স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বনশ্রী সাহা ছাড়পত্র দিয়ে রহিমাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। প্রসূতি ওয়ার্ড থেকে নামানোর পর রহিমার প্রসববেদনা তীব্রতর হলে তিনি হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে খোলাস্থানেই সন্তান প্রসব করেন। পরে চাপের মুখে চিকিৎসক রহিমাকে গাইনি ওয়ার্ডে ও নবজাতককে শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে যান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গাইনি ও প্রসূতি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফাহমিদা খাতুন ও শিল্পী খাতুন বলেন, প্রসূতি রহিমাকে বনশ্রী সাহা ছাড়পত্র দেওয়ায় আমরা তাকে চলে যেতে বলেছিলাম। রহিমার অভিযোগ, যখন প্রসবব্যথায় তিনি কাতর তখন হাসপাতালের সেবিকারাও তাকে সাহায্য করতে আসেননি। বনশ্রী সাহা বলেন, ‘রোগীর অবস্থা ক্রিটিকাল হওয়ায় তাকে রেফার্ড করা হয়েছিল।’ এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রমেশ চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয়টি জেনেছি। প্রসূতির অবস্থা জটিল হওয়ায় চিকিৎসক তাকে ছাড়পত্র দেন। চিকিৎসকের কর্তব্যে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।’
শেয়ার করুন
চিকিৎসকের কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি | ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল গেটের সামনে খোলাস্থানে এক প্রসূতি সন্তান প্রসব করেছেন। গত রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে প্রসূতির স্বজনরা এ ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসক বনশ্রী সাহার বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন।
প্রসূতির স্বামী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রূপসাচর গ্রামের আবদুর রহিমের অভিযোগ, রবিবার রাত ১০টার দিকে তিনি স্ত্রী রহিমা খাতুনকে (২২) প্রসববেদনা নিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তি হওয়ার পর প্রসব ব্যথা অনুভব না থাকায় ও রক্ত স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বনশ্রী সাহা ছাড়পত্র দিয়ে রহিমাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। প্রসূতি ওয়ার্ড থেকে নামানোর পর রহিমার প্রসববেদনা তীব্রতর হলে তিনি হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে খোলাস্থানেই সন্তান প্রসব করেন। পরে চাপের মুখে চিকিৎসক রহিমাকে গাইনি ওয়ার্ডে ও নবজাতককে শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে যান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গাইনি ও প্রসূতি ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফাহমিদা খাতুন ও শিল্পী খাতুন বলেন, প্রসূতি রহিমাকে বনশ্রী সাহা ছাড়পত্র দেওয়ায় আমরা তাকে চলে যেতে বলেছিলাম। রহিমার অভিযোগ, যখন প্রসবব্যথায় তিনি কাতর তখন হাসপাতালের সেবিকারাও তাকে সাহায্য করতে আসেননি। বনশ্রী সাহা বলেন, ‘রোগীর অবস্থা ক্রিটিকাল হওয়ায় তাকে রেফার্ড করা হয়েছিল।’ এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রমেশ চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয়টি জেনেছি। প্রসূতির অবস্থা জটিল হওয়ায় চিকিৎসক তাকে ছাড়পত্র দেন। চিকিৎসকের কর্তব্যে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।’