মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে অশোভন আচরণ নবীনগরের ওসির
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | ২৬ মার্চ, ২০২০ ০০:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার ওসির বিরুদ্ধে মুক্তিযুুদ্ধকালীন কমান্ডার ও নবীনগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের নির্বাচিত কমান্ডার দপ্তর সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম লালুর সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রেস ক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা আজাহারুল ইসলাম লালু তার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে জরুরি কাজে হাসপাতালের আরএমওর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান তিনি। সেখানে তাকে না পেয়ে চলে আসার সময় হাসপাতালের ইনচার্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান তাকে ডেকে তার অফিসে নিয়ে যান। ওই মুহূর্তে নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ রহিস মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান কয়েকজন সহযোগীসহ হাসপাতালের ওই কক্ষে ঢুকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা না করেই তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে হত্যার হুমকি দেন। এদিনই সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে নবীনগর থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানার ওসি রণজিত রায়ের রুমে ঢুকতেই তিনি কোনো সৌজন্যবোধ না দেখিয়ে সরাসরি ‘আপনি কিসের মুক্তিযোদ্ধা, কেমন জাতের মুক্তিযোদ্ধা’ এমন অশোভন কথা বলে তার কক্ষ থেকে বের করে দেন। মেহেদীও ওই ওসির সঙ্গে ছিলেন।
এ ব্যাপারে ওসি রণজিত রায় বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়, আমি ওনাকে বলেছি এই সংকটময় মুহূর্তে এ বিষয় নিয়ে আসছেন, সবাইকে এখন ঘরে থাকার অনুরোধ করছি, পরে আসেন।’
শেয়ার করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | ২৬ মার্চ, ২০২০ ০০:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার ওসির বিরুদ্ধে মুক্তিযুুদ্ধকালীন কমান্ডার ও নবীনগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের নির্বাচিত কমান্ডার দপ্তর সম্পাদক আজাহারুল ইসলাম লালুর সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রেস ক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা আজাহারুল ইসলাম লালু তার লিখিত বক্তব্যে জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে জরুরি কাজে হাসপাতালের আরএমওর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান তিনি। সেখানে তাকে না পেয়ে চলে আসার সময় হাসপাতালের ইনচার্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান তাকে ডেকে তার অফিসে নিয়ে যান। ওই মুহূর্তে নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ রহিস মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান কয়েকজন সহযোগীসহ হাসপাতালের ওই কক্ষে ঢুকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা না করেই তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে হত্যার হুমকি দেন। এদিনই সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে নবীনগর থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানার ওসি রণজিত রায়ের রুমে ঢুকতেই তিনি কোনো সৌজন্যবোধ না দেখিয়ে সরাসরি ‘আপনি কিসের মুক্তিযোদ্ধা, কেমন জাতের মুক্তিযোদ্ধা’ এমন অশোভন কথা বলে তার কক্ষ থেকে বের করে দেন। মেহেদীও ওই ওসির সঙ্গে ছিলেন।
এ ব্যাপারে ওসি রণজিত রায় বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়, আমি ওনাকে বলেছি এই সংকটময় মুহূর্তে এ বিষয় নিয়ে আসছেন, সবাইকে এখন ঘরে থাকার অনুরোধ করছি, পরে আসেন।’