হালদায় রেকর্ড ২৫ হাজার ৫০০ কেজি ডিম সংগ্রহ
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০
দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে ২৮০টি নৌকার মাধ্যমে ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও হালদা নদী গবেষক অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া এই তথ্য জানিয়েছেন।
হালদা নদীতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি, বালু উত্তোলন, ড্রেজার ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল বন্ধ থাকা এবং নদীতে ব্যাপক হারে রেণু পোনা অবমুক্ত করার কারণে নদীতে মা মাছের মজুদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নদীতে ভাটার সময় আজিমের ঘাট, কাগতিয়ার ঠেক, নাপিতের ঘাট, কুমারখালী, রামদাশ মুন্সিরহাট খাড়ির মুখে মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়ে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে মা মাছ নদীতে ডিম ছাড়া শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম ছাড়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে থাকে। গত বছরের চেয়ে ডিমের পরিমাণ এবার বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিম আহরণকারীরা চলতি অমাবস্যার তিথির জো’তে ডিম ছাড়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। সে কারণে জোর শুরু থেকে ডিম আহরণকারীরা নৌকা, ডিম আহরণের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে পালাক্রমে পাহারায় ছিলেন। উল্লিখিত এলাকায় নমুনা ছাড়ার বিষয়টি আহরণকারীদের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে নদীতে ডিম আহরণের জন্য নেমে পড়েন ডিম আহরণকারীরা।
গতকাল শুক্রবার সকালে নদীতে জোয়ার শুরু হলে মা মাছ হালদা নদীর বিভিন্ন এলাকায় ডিম ছাড়তে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম ছাড়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে থাকে। মা মাছ নদীতে ডিম ছাড়ার পূর্ব থেকে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় ডিম থেকে রেণু ফোটানোর সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত হ্যাচারিগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। হালদা নদীতে এবার মা মাছের মজুদ বেশি।
শেয়ার করুন
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০

দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে ২৮০টি নৌকার মাধ্যমে ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও হালদা নদী গবেষক অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া এই তথ্য জানিয়েছেন।
হালদা নদীতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি, বালু উত্তোলন, ড্রেজার ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল বন্ধ থাকা এবং নদীতে ব্যাপক হারে রেণু পোনা অবমুক্ত করার কারণে নদীতে মা মাছের মজুদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নদীতে ভাটার সময় আজিমের ঘাট, কাগতিয়ার ঠেক, নাপিতের ঘাট, কুমারখালী, রামদাশ মুন্সিরহাট খাড়ির মুখে মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়ে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে মা মাছ নদীতে ডিম ছাড়া শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম ছাড়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে থাকে। গত বছরের চেয়ে ডিমের পরিমাণ এবার বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিম আহরণকারীরা চলতি অমাবস্যার তিথির জো’তে ডিম ছাড়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। সে কারণে জোর শুরু থেকে ডিম আহরণকারীরা নৌকা, ডিম আহরণের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে পালাক্রমে পাহারায় ছিলেন। উল্লিখিত এলাকায় নমুনা ছাড়ার বিষয়টি আহরণকারীদের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে নদীতে ডিম আহরণের জন্য নেমে পড়েন ডিম আহরণকারীরা।
গতকাল শুক্রবার সকালে নদীতে জোয়ার শুরু হলে মা মাছ হালদা নদীর বিভিন্ন এলাকায় ডিম ছাড়তে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম ছাড়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে থাকে। মা মাছ নদীতে ডিম ছাড়ার পূর্ব থেকে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায় ডিম থেকে রেণু ফোটানোর সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত হ্যাচারিগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। হালদা নদীতে এবার মা মাছের মজুদ বেশি।