ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাত
যশোরে ৩২ হাজার ৫১৬ হেক্টরের ফল-ফসল নষ্ট
যশোর প্রতিনিধি | ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবজি, আম, লিচু, পানসহ মোট ৩২ হাজার ৫১৬ হেক্টর জমির ফল ও ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কৃষি বিভাগের হিসাবে এ ক্ষতির কথা বলা হলেও প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক ড. আখতারুজ্জামান গতকাল শুক্রবার জানান, যশোরে এবার পাট চাষ হয়েছিল ২৩ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে, এর মধ্যে ১১ হাজার ৭৮৩ হেক্টর জমির পাটই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শাকসবজি চাষ হয়েছিল ১৪ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৭৪৮ হেক্টর জমির শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। পেঁপে চাষ হয়েছিল ৭৫০ হেক্টর জমিতে, ক্ষতি হয়েছে ৬০০ হেক্টর জমির। ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছিল, ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ১২৫ হেক্টর জমির। এছাড়া মরিচ, মুগডাল, তিল, ভুট্টার বেশ ক্ষতি হয়েছে।
কৃষক রমজান আলী বলেন, করোনার কারণে আমরা এমনিতে সবজি বিক্রি করতে পারছিলাম না। গত কয়েক দিন ধরে ঢাকার মোকামে সবজি পাঠাতে শুরু করেছি। ঠিক সেই মুহূর্তে এ ধরনের ধাক্কায় আমাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
ড. মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান বলেন, ‘এমনিতেই করোনার কারণে কৃষক সমস্যায় ছিল। তারপর এ ক্ষতি বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।
শেয়ার করুন
যশোর প্রতিনিধি | ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবজি, আম, লিচু, পানসহ মোট ৩২ হাজার ৫১৬ হেক্টর জমির ফল ও ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কৃষি বিভাগের হিসাবে এ ক্ষতির কথা বলা হলেও প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক ড. আখতারুজ্জামান গতকাল শুক্রবার জানান, যশোরে এবার পাট চাষ হয়েছিল ২৩ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে, এর মধ্যে ১১ হাজার ৭৮৩ হেক্টর জমির পাটই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শাকসবজি চাষ হয়েছিল ১৪ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৭৪৮ হেক্টর জমির শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। পেঁপে চাষ হয়েছিল ৭৫০ হেক্টর জমিতে, ক্ষতি হয়েছে ৬০০ হেক্টর জমির। ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছিল, ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ১২৫ হেক্টর জমির। এছাড়া মরিচ, মুগডাল, তিল, ভুট্টার বেশ ক্ষতি হয়েছে।
কৃষক রমজান আলী বলেন, করোনার কারণে আমরা এমনিতে সবজি বিক্রি করতে পারছিলাম না। গত কয়েক দিন ধরে ঢাকার মোকামে সবজি পাঠাতে শুরু করেছি। ঠিক সেই মুহূর্তে এ ধরনের ধাক্কায় আমাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
ড. মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান বলেন, ‘এমনিতেই করোনার কারণে কৃষক সমস্যায় ছিল। তারপর এ ক্ষতি বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।