করোনায় দিশেহারা কুমিল্লার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা | ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০
ঈদকে সামনে রেখে ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীরা যখন ব্যস্ত হয়ে উঠতেন ঠিক এমন সময় করোনার ছোবলে দিশেহারা কুমিল্লার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
৩০ থেকে ৩৫ পদের প্রায় দুই সহস্রাধিক ব্যবসায়ী করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সরাসরি ক্ষতির সম্মুখীন। অর্থের হিসেবে এ ক্ষতি প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সমান বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। কর্মহীন এসব ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারী।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেওয়া লকডাউন উঠে গেলেও এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন এ চিন্তায় অস্থির। কুমিল্লার ব্যবসায়ীরা ঈদুল ফিতর সামনে রেখে যে পরিমাণ ব্যবসা করতেন, তাতেই কোনো রকমে একটি বছর কাটিয়ে দিতেন। কোনো কোনো ব্যবসায়ী ঈদের দুমাস আগেই ঢাকা-চট্টগ্রামের পাইকারদের অগ্রিম টাকা দিয়েছেন, কেউ কেউ ভারত এবং অন্যান্য দেশ থেকেও দামি ও আকর্ষণীয় মালামাল তুলতেন ঈদকে সামনে রেখে।
টাকা পুঁজি খাটিয়ে এখন ব্যবসা টিকিয়ে রাখা ও পুঁজি ফিরিয়ে আনার কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছেন না কুমিল্লার ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে রেডিমেড গার্মেন্টস, শাড়ি, থান কাপড় ও কসমেটিকস্ ব্যবসায়ীরা সরাসরি এ ক্ষতির সম্মুখীন। এসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ব্যাংক এবং বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ঋণ নিয়ে যে ব্যবসায় খাটিয়েছেন সে পাওনা পরিশোধেরও ব্যবস্থা নেই, সঙ্গে ঢাকার পাইকারদের তাগাদায় সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাড়িতে বসে সময় পার করছেন বলে কষ্টের সঙ্গে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কুমিল্লার ইস্টার্ন প্লাজা, খন্দকার হক টাওয়ার, টাউন হল সুপার মার্কেট, সাত্তার খান কমপ্লেক্স, হাজি প্লাজা বহুতল এসব মার্কেটগুলোকে কেন্দ্র করেই জমে ওঠে কুমিল্লার ঈদ বাজার। এ ছাড়াও কুমিল্লা ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের অবস্থা করোনায় আরও করুণ আকার ধারণ করেছে।
ব্যবসায়ীরা সরকার থেকে স্বল্পসুদে ঋণ পাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। কুমিল্লা সাত্তার খান কমপ্লেক্সের রেডিমেড কাপড়ের দোকান অঙ্গনা’র স্বত্বাধিকারী এনামুল হক স্বপন জানান, নববর্ষ ও ঈদের জন্য ফেব্রুয়ারিতেই ২৫ লাখ টাকার মালামাল সংগ্রহ করেছি। করোনার কারণে যার পুরোটাই আটকে গেছে।
কুমিল্লা দোকান মালিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, ক্ষতি পুষিয়ে ব্যবসায়ীরা যাতে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সেজন্য স্বল্পসুদে ঋণ দিতে হবে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা | ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০

ঈদকে সামনে রেখে ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীরা যখন ব্যস্ত হয়ে উঠতেন ঠিক এমন সময় করোনার ছোবলে দিশেহারা কুমিল্লার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
৩০ থেকে ৩৫ পদের প্রায় দুই সহস্রাধিক ব্যবসায়ী করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সরাসরি ক্ষতির সম্মুখীন। অর্থের হিসেবে এ ক্ষতি প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সমান বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। কর্মহীন এসব ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারী।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেওয়া লকডাউন উঠে গেলেও এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন এ চিন্তায় অস্থির। কুমিল্লার ব্যবসায়ীরা ঈদুল ফিতর সামনে রেখে যে পরিমাণ ব্যবসা করতেন, তাতেই কোনো রকমে একটি বছর কাটিয়ে দিতেন। কোনো কোনো ব্যবসায়ী ঈদের দুমাস আগেই ঢাকা-চট্টগ্রামের পাইকারদের অগ্রিম টাকা দিয়েছেন, কেউ কেউ ভারত এবং অন্যান্য দেশ থেকেও দামি ও আকর্ষণীয় মালামাল তুলতেন ঈদকে সামনে রেখে।
টাকা পুঁজি খাটিয়ে এখন ব্যবসা টিকিয়ে রাখা ও পুঁজি ফিরিয়ে আনার কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছেন না কুমিল্লার ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে রেডিমেড গার্মেন্টস, শাড়ি, থান কাপড় ও কসমেটিকস্ ব্যবসায়ীরা সরাসরি এ ক্ষতির সম্মুখীন। এসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ব্যাংক এবং বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ঋণ নিয়ে যে ব্যবসায় খাটিয়েছেন সে পাওনা পরিশোধেরও ব্যবস্থা নেই, সঙ্গে ঢাকার পাইকারদের তাগাদায় সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাড়িতে বসে সময় পার করছেন বলে কষ্টের সঙ্গে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কুমিল্লার ইস্টার্ন প্লাজা, খন্দকার হক টাওয়ার, টাউন হল সুপার মার্কেট, সাত্তার খান কমপ্লেক্স, হাজি প্লাজা বহুতল এসব মার্কেটগুলোকে কেন্দ্র করেই জমে ওঠে কুমিল্লার ঈদ বাজার। এ ছাড়াও কুমিল্লা ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের অবস্থা করোনায় আরও করুণ আকার ধারণ করেছে।
ব্যবসায়ীরা সরকার থেকে স্বল্পসুদে ঋণ পাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। কুমিল্লা সাত্তার খান কমপ্লেক্সের রেডিমেড কাপড়ের দোকান অঙ্গনা’র স্বত্বাধিকারী এনামুল হক স্বপন জানান, নববর্ষ ও ঈদের জন্য ফেব্রুয়ারিতেই ২৫ লাখ টাকার মালামাল সংগ্রহ করেছি। করোনার কারণে যার পুরোটাই আটকে গেছে।
কুমিল্লা দোকান মালিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, ক্ষতি পুষিয়ে ব্যবসায়ীরা যাতে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সেজন্য স্বল্পসুদে ঋণ দিতে হবে।