সোনারগাঁ পৌরসভা নির্বাচন
আ.লীগে দৌড়ঝাঁপ নীরব বিএনপি
রবিউল হুসাইন, সোনারগাঁ | ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০
আসন্ন সোনারগাঁ পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিশেষ করে পৌর মেয়র পদে মাঠপর্যায়ে আওয়ামী লীগের পাঁচ প্রার্থীর সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও নীরব রয়েছে বিএনপি। এখনো বিএনপির কোনো প্রার্থী নির্বাচনের ঘোষণা দেননি কিংবা প্রচারণায় নামেননি।
আসছে ডিসেম্বরে সোনারগাঁ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনই পাড়া-মহল্লায় মতবিনিময়, উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও ভোটারদের দোয়া ও সমর্থন চেয়ে পোস্টারিং শুরু করেছেন। এতে সোনারগাঁ পৌর এলাকায় আগেভাগেই শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী আমেজ। দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের পাঁচ সম্ভাব্য প্রার্থীই নৌকা প্রতীকের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
পৌরসভার বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমান সোনারগাঁ পৌরসভার টানা দুই মেয়াদে মেয়র পদে আছেন। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ থাকাকালীন সময় তিনি পাঁচ মেয়াদে ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। গত পৌর নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক চেয়ে বঞ্চিত হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন। এবারও তিনি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নৌকা প্রতীক পেতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তবে বর্তমান মেয়র বয়সের ভারে অনেকটাই ন্যুব্জ, তাই এ প্রার্থীকে নিয়ে পৌরবাসীর তেমন আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে না।
এছাড়া মনোনয়ন দৌড়ে আছেন জেলা যুব আইনজীবী পরিষদের সভাপতি ফজলে রাব্বী। তিনি ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেলেও ভোটে সাদেকুর রহমানের কাছে পরাজিত হন। অপরদিকে বর্তমান মেয়রের সঙ্গে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর রহমানও ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। গাজী মজিবুর রহমান এবারও মনোনয়নের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
তবে এবারের নির্বাচনে নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছগীর আহম্মেদ ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন সুলতানা ঝরা। আওয়ামী লীগের অন্যান্য প্রার্থীর মতো তারাও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সরব উপস্থিতিতে পুরো পৌর এলাকায় নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করলেও বিএনপি থেকে কোনো প্রার্থীই এখনো মাঠে নামেননি। গত পৌর নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নৌকার সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। তিনি ওই নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর পৌর এলাকায় তার কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। তাছাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নেতা জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ায় পৌর বিএনপি এখন অনেকটা বেকায়দায় বলেও মনে করছেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর জানান, যদি দলীয় সিদ্ধান্ত হয় সেক্ষেত্রে গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোশারফ হোসেনকেই প্রার্থী করা হবে।
শেয়ার করুন
রবিউল হুসাইন, সোনারগাঁ | ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০

আসন্ন সোনারগাঁ পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিশেষ করে পৌর মেয়র পদে মাঠপর্যায়ে আওয়ামী লীগের পাঁচ প্রার্থীর সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও নীরব রয়েছে বিএনপি। এখনো বিএনপির কোনো প্রার্থী নির্বাচনের ঘোষণা দেননি কিংবা প্রচারণায় নামেননি।
আসছে ডিসেম্বরে সোনারগাঁ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখনই পাড়া-মহল্লায় মতবিনিময়, উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও ভোটারদের দোয়া ও সমর্থন চেয়ে পোস্টারিং শুরু করেছেন। এতে সোনারগাঁ পৌর এলাকায় আগেভাগেই শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী আমেজ। দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের পাঁচ সম্ভাব্য প্রার্থীই নৌকা প্রতীকের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
পৌরসভার বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমান সোনারগাঁ পৌরসভার টানা দুই মেয়াদে মেয়র পদে আছেন। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ থাকাকালীন সময় তিনি পাঁচ মেয়াদে ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। গত পৌর নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক চেয়ে বঞ্চিত হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন। এবারও তিনি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নৌকা প্রতীক পেতে কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তবে বর্তমান মেয়র বয়সের ভারে অনেকটাই ন্যুব্জ, তাই এ প্রার্থীকে নিয়ে পৌরবাসীর তেমন আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে না।
এছাড়া মনোনয়ন দৌড়ে আছেন জেলা যুব আইনজীবী পরিষদের সভাপতি ফজলে রাব্বী। তিনি ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেলেও ভোটে সাদেকুর রহমানের কাছে পরাজিত হন। অপরদিকে বর্তমান মেয়রের সঙ্গে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর রহমানও ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। গাজী মজিবুর রহমান এবারও মনোনয়নের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
তবে এবারের নির্বাচনে নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছগীর আহম্মেদ ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন সুলতানা ঝরা। আওয়ামী লীগের অন্যান্য প্রার্থীর মতো তারাও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সরব উপস্থিতিতে পুরো পৌর এলাকায় নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করলেও বিএনপি থেকে কোনো প্রার্থীই এখনো মাঠে নামেননি। গত পৌর নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নৌকার সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। তিনি ওই নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর পৌর এলাকায় তার কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। তাছাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নেতা জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ায় পৌর বিএনপি এখন অনেকটা বেকায়দায় বলেও মনে করছেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর জানান, যদি দলীয় সিদ্ধান্ত হয় সেক্ষেত্রে গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোশারফ হোসেনকেই প্রার্থী করা হবে।