নকল দুধ তৈরি করতেন তিনি
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় ২৭০ লিটার নকল দুধসহ আবদুর রাজ্জাক (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল আলম গতকাল বুধবার উপজেলার ফুকুরহাটি গ্রামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে রাজ্জাককে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
ইউএনও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর ৫টার দিকে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই পানির সঙ্গে এরারুড ও ইকোজেড কেমিক্যাল মিশিয়ে তিনি দুধ তৈরি করছেন। এ সময় ৯টি গ্যালনে ২৭০ লিটার দুধ এবং ২ কেজি এরারুড পাউডারসহ তাকে আটক করি।
উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিদিন ঢাকার মহাজনদের চাহিদামতো ৮-৯ মণ দুধ সরবরাহ করি। এক মণ পানির মধ্যে ৫ কেজি ইকোজেড ও ১০০ গ্রাম এরারুড দিলেই দুধ তৈরি হয়ে যায়। এ ব্যবসা শুধু আমিই নই অনেকেই করেন। বাজার থেকে দুধ কিনতে হয় ৭০-৮০ টাকা লিটার দরে। আর ঢাকার মহাজনরা ৫০ টাকা করে দাম দেন। তাই ৪০ লিটার দুধের মধ্যে ১৫ লিটার নকল দুধ দিয়ে ঢাকায় পাঠাই।
ইউএনও বলেন, বুধবার সকালেই উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে রাজ্জাককে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয় এবং ভেজাল দুধ নষ্ট করা হয়।
শেয়ার করুন
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় ২৭০ লিটার নকল দুধসহ আবদুর রাজ্জাক (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল আলম গতকাল বুধবার উপজেলার ফুকুরহাটি গ্রামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে রাজ্জাককে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
ইউএনও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর ৫টার দিকে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই পানির সঙ্গে এরারুড ও ইকোজেড কেমিক্যাল মিশিয়ে তিনি দুধ তৈরি করছেন। এ সময় ৯টি গ্যালনে ২৭০ লিটার দুধ এবং ২ কেজি এরারুড পাউডারসহ তাকে আটক করি।
উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিদিন ঢাকার মহাজনদের চাহিদামতো ৮-৯ মণ দুধ সরবরাহ করি। এক মণ পানির মধ্যে ৫ কেজি ইকোজেড ও ১০০ গ্রাম এরারুড দিলেই দুধ তৈরি হয়ে যায়। এ ব্যবসা শুধু আমিই নই অনেকেই করেন। বাজার থেকে দুধ কিনতে হয় ৭০-৮০ টাকা লিটার দরে। আর ঢাকার মহাজনরা ৫০ টাকা করে দাম দেন। তাই ৪০ লিটার দুধের মধ্যে ১৫ লিটার নকল দুধ দিয়ে ঢাকায় পাঠাই।
ইউএনও বলেন, বুধবার সকালেই উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে রাজ্জাককে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয় এবং ভেজাল দুধ নষ্ট করা হয়।