দিনাজপুর পৌরসভা নির্বাচন
প্রচারে সরব আ.লীগ নীরব বিএনপি-জাপা
আব্দুল মোমেন, দিনাজপুর | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় হতে যাচ্ছে দিনাজপুর পৌরসভা নির্বাচন। ভোটের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসায় নির্বাচনী আমেজ বাড়ছে উপজেলাজুড়েই। পাশাপাশি শেষ সময়ের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রার্থীরাও। তবে মাঠপর্যায়ে আওয়ামী লীগের সমর্থক-কর্মীদের যেমন প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি বা অন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তেমনটা চোখে পড়েনি। অনেকেরই ধারণা, বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা হয়তো এখন কৌশলী ভূমিকা পালন করছেন। ভোটের দিন ঠিকই হয়তো মাঠে থাকবেন তারা। অনেকে আবার এটাও মনে করছেন, গত দুবার মেয়র পদে থাকার পরও আশানুরূপ উন্নয়ন করতে পারেননি বিএনপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। তাই এবার হয়তো ছিটকে যেতে পারেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরে নির্বাচনী এলাকা সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দিনাজপুর পৌরসভার এবারের নির্বাচনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। তৃতীয়বারের মতো ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে দিনাজপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন টানা দুবারের নির্বাচিত মেয়র বিএনপির সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ। এছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে আহমেদ শফি রুবেল, বামজোট থেকে কাস্তে মার্কা নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন অ্যাডভোকেট মেহেরুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন মো. হাবিবুর রানা।
সাধারণ ভোটারদের অনেকেই জানান, দিনাজপুর পৌরসভায় এবার নতুন মুখ আনতে চায় পৌরবাসী। নতুন মুখ হিসেবে যুবলীগের রাশেদ পারভেজ ও জাতীয় পার্টির আহমেদ শফি রুবেলও চমক নিয়ে আসতে পারেন বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
পৌর এলাকার এনামুল হক বলেন, ‘আমরা পৌরসভার উন্নয়ন চাই। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি আর ভোট ফুরালেই যারা উধাও হয়ে যায় তাদের চাই না। যারাই নির্বাচনের পর পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করবে, আমরা সে রকমই প্রার্থীকেই ভোট দেব।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাশেদ পারভেজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ সবাই আমার সঙ্গে আছে। পৌরসভার উন্নয়নে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। আমার বিশ্বাস, এবার দিনাজপুর পৌরবাসী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে দিনাজপুর পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দেবেন।’
বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মানুষ আমাকে ভালোবাসে বলেই দুবার ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করতে অনেক বাধা এসেছে। আমি মানুষের ভালোবাসা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। কাজ করতে চাইলে কোনো বাধাই ঠেকাতে পারে না। আশা করি এবারও পৌরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে পাশে থাকবেন।’
শেয়ার করুন
আব্দুল মোমেন, দিনাজপুর | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় হতে যাচ্ছে দিনাজপুর পৌরসভা নির্বাচন। ভোটের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসায় নির্বাচনী আমেজ বাড়ছে উপজেলাজুড়েই। পাশাপাশি শেষ সময়ের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রার্থীরাও। তবে মাঠপর্যায়ে আওয়ামী লীগের সমর্থক-কর্মীদের যেমন প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি বা অন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তেমনটা চোখে পড়েনি। অনেকেরই ধারণা, বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা হয়তো এখন কৌশলী ভূমিকা পালন করছেন। ভোটের দিন ঠিকই হয়তো মাঠে থাকবেন তারা। অনেকে আবার এটাও মনে করছেন, গত দুবার মেয়র পদে থাকার পরও আশানুরূপ উন্নয়ন করতে পারেননি বিএনপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। তাই এবার হয়তো ছিটকে যেতে পারেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরে নির্বাচনী এলাকা সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দিনাজপুর পৌরসভার এবারের নির্বাচনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। তৃতীয়বারের মতো ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে দিনাজপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন টানা দুবারের নির্বাচিত মেয়র বিএনপির সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ। এছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে আহমেদ শফি রুবেল, বামজোট থেকে কাস্তে মার্কা নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন অ্যাডভোকেট মেহেরুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন মো. হাবিবুর রানা।
সাধারণ ভোটারদের অনেকেই জানান, দিনাজপুর পৌরসভায় এবার নতুন মুখ আনতে চায় পৌরবাসী। নতুন মুখ হিসেবে যুবলীগের রাশেদ পারভেজ ও জাতীয় পার্টির আহমেদ শফি রুবেলও চমক নিয়ে আসতে পারেন বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
পৌর এলাকার এনামুল হক বলেন, ‘আমরা পৌরসভার উন্নয়ন চাই। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি আর ভোট ফুরালেই যারা উধাও হয়ে যায় তাদের চাই না। যারাই নির্বাচনের পর পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করবে, আমরা সে রকমই প্রার্থীকেই ভোট দেব।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাশেদ পারভেজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ সবাই আমার সঙ্গে আছে। পৌরসভার উন্নয়নে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। আমার বিশ্বাস, এবার দিনাজপুর পৌরবাসী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে দিনাজপুর পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দেবেন।’
বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মানুষ আমাকে ভালোবাসে বলেই দুবার ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করতে অনেক বাধা এসেছে। আমি মানুষের ভালোবাসা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। কাজ করতে চাইলে কোনো বাধাই ঠেকাতে পারে না। আশা করি এবারও পৌরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে পাশে থাকবেন।’